পিরগাছা ইউএনও এর বাসভবনে ঘোরাঘুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এবার শশুর বাড়ি রংপুরে গিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম । বেশ কিছু জায়গার ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। আরো বেশ কিছু জায়গার ঘুরার ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়নি। এবার ঘুরতে ঘুরতে পীরগাছা ইউএনও এর বাসায় গিয়েছিলাম। যদিও ফাঁকা ছিল একদম এজন্যই হয়তো ঢুকতে পেরেছিলাম। সরকারি বাসভবন গুলোর এই এক সুবিধা অনেক বেশি গাছ-গাছালি দিয়ে ভরপুর থাকে। দেখতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া শহরে এরকম গাছ-গাছালি দেখতে পাওয়া খুবই মুশকিল। এখানে অনেক আগে নাকি সরকারি কোর্ট বসতো। আমার হাজবেন্ড ছোটবেলায় দেখেছে। সেই গল্প করল। ওরা নাকি ছোটবেলায় কোর্ট কিভাবে চলে তা দেখার জন্য এখানে আসতো। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ ছাড়াও কিছু মেহগনির গাছ এবং পিছনে অনেক বড় একটি পুকুর দেখলাম। খুব ভালো লাগলো পুকুরটি দেখে। তাছাড়া একটি বিলবোর্ডে উন্নয়নের কি কি কাজ করেছে তাও সুন্দরভাবে টানানো। তাছাড়া শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বড় ছবিও এক পাশে বাধাই করা। বেশ ভালই লেগেছে আমার কাছে। তাই ভাবলাম যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি।
এখানে সুন্দর একটি শহীদ মিনার এবং তার সামনে সিঁড়ি বাঁধাই করা। অনেকেই দেখলাম যে খালি পায়ে শহীদ মিনারের উপরে উঠেছে। এই জিনিসটি দেখে ভালো লাগলো যে গ্রামের মানুষও এই জিনিস টা মেনে চলার চেষ্টা করে। শহরের মানুষরাই মানতে চায় না। তাছাড়া নিচের যে বিল্ডিংটি দেখছেন এটা উপজেলা ভিজিটরসদের জন্য।
গাছ গাছালি গুলো দেখে বুঝতে পারছেন যে কি পরিমান সবুজ এখানে। তাছাড়া নিচের এই ঘরটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। লোকজনের বিশ্রামের জন্য এই ছোট্ট ছাউনি ঘরটি তৈরি করা।
এই যে এই বোর্ডটিতে এক নজরে উপজেলা উন্নয়নের যাবতীয় কার্যক্রম লেখা রয়েছে। যে কেউ এটি পড়লেই বুঝতে পারবে যে কি কি উন্নয়ন এখানে হয়েছে।
এই যে সেই পুকুরটি। বিশাল বড় একটি পুকুর এবং পুকুরের চারপাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফল গাছ লাগানো। তাছাড়া শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক বড় একটি ছবি এখানে বানানো।
উপরের বিল্ডিংটি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়। এর নিচের যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি এখানে ঢোকার রাস্তা।
বেশ কিছুক্ষণ এখানে বসে থেকে বেশ ভালই লাগছিলো। এত সবুজের মাঝে বসে থাকতে কার না ভালো লাগে। যাইহোক সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ইউএনও এর বাসভবনে ঘোরাঘুরি করে চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ইউএনও এর বাসভবনের নিরিবিলি পরিবেশটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। একই সাথে বিশাল আকৃতির পুকুরটি দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। শহীদ মিনারের পরিবেশটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদের ছুটির জন্য পরিবেশটা বেশ নিরিবিলি ছিল। শহীদ মিনারের পরিবেশটা আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
জায়গাটা খুবই নিরিবিলি এবং খুব সুন্দর। বলতে গেলে চারদিকে সবুজের ছড়াছড়ি। এটা ঠিক বলেছেন আপু, সরকারি বাসভবন গুলোর চার পাশে অনেক গাছপালা দেখা যায়। ইউএনও এর বাসভবনের শহীদ মিনারটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। শহীদ মিনারটা আসলেই অনেক সুন্দর। আর পুকুরটাও দেখছি খুব বড়। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
শহীদ মিনারে পাশের ছোট ঘরটাও খুব চমৎকার লাগছিল দেখতে। তাছাড়া বৃষ্টি হওয়ার কারণে আরো বেশি সবুজ লাগছিল চারপাশ। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
পীরগাছা ইউএনও এর বাসভবনে আপনি তো দেখছি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলেন। এরকম জায়গা গুলোতে পুরোপুরি করলে মনটা একেবারে ফ্রেশ থাকে। আর এই জায়গাটার পরিবেশ অনেক সুন্দর এবং নিস্তব্ধ যা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আপনার মুহূর্তটা খুবই ভালো কেটেছিল যা আমি দেখেই বুঝতে পারছি। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছিলেন এবং আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম।
ঈদের ছুটির জন্য পরিবেশটা একেবারে নিরিবিলি ছিল। এমনি দিন হলে এতটা নিরিবিলি পাওয়া যেত না। নিরিবিলি জন্যই ঘুরে আরাম পাওয়া গিয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঈদের সময় শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে অনেক জায়গাতে ঘুরেছেন আপনি আপনার কিছু পোষ্টের মধ্যে দেখতে পেলাম। আজকে আপনি পিরগাছা ইউএনও এর বাসভবনে ঘুরাঘুরি পোস্ট করলেন। ঠিক বলেছেন সরকারি ভবনগুলোতে একটা সুবিধা গাছ-গাছ ওয়ালি থাকে। তবে মনে হয় ওখানে পরিবেশ দেখতে অনেক সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে বোঝা যাচ্ছে। এ ধরনের পরিবেশে ঘুরতে গেলে মন এমনি ভালো হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সরকারি বাসভবন গুলো অনেক জায়গা জুড়ে হয় এবং অনেক বেশি গাছ-গাছালি থাকে জন্যই দেখতে এবং ঘুরতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
শশুর বাড়ি রংপুরে গিয়ে অনেক জায়গাতে ঘুরতে গেলেন। আসলে এসব জায়গা গুলোর মধ্যে ঘুরতে গেলে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। আপনি ঠিক বলেছেন সরকারি ভবনগুলোর মধ্যে গেলে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে পরিবেশটা খুব চমৎকার লাগে। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে বোঝা যাচ্ছে পরিবেশ ওখানে খুব চমৎকার। তবে আপু শহীদ মিনারে যারা জোতা নিয়ে ওঠে তারা মনে হয় কাজটি ভালো করে না। গ্রাম অঞ্চলে ও মানুষগুলো শহীদ মিনার উঠে জুতা খুলে ওঠে। অনেক সুন্দর হয় পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শহরে অনেকেই দেখা যায় যে শহীদ মিনারে জুতা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি দেখলে আসলেই খারাপ লাগে। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টাইটেল দেখে ভাবলাম যে আপনি বোধ হয় ইউএনও এর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেছেন 😅। ভেতরে এসে উল্টে গেলাম। তবে সব থেকে সুন্দর লাগলো শহীদ মিনার আর পুকুর টা। চারপাশে এত সুন্দর সবুজ সব কিছু, বিকেলের একটু মুক্ত বাতাস লাগলে প্রাণ জুড়িয়ে যাবে একদম।
ইউএনও তো দাওয়াত দেয়নি। দাওয়াত দিলে হয়তো ঘুরতে যেতাম। তবে নওগাঁর সিভিল সার্জন দাওয়াত দিয়েছে। সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। খুব সুন্দর বাসভবন। গেলে ভেতরটা ও শেয়ার করতে পারবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
পীরগাছা ইউ এন ও এর বাসভবনে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন দেখছি । জায়গাটা মনে হচ্ছে খুবই ঠান্ডা । গাছগাছালিতে একদম ভরপুর । এরকম গাছ-গাছালি পূর্ণ জায়গাগুলোতে ঘুরে বেড়ালে সত্যি বেশ ভালো লাগে । লোকজনের বিশ্রামের জন্য ছাউনি ঘরটি দেখতে খুবই চমৎকার । বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ।
জ্বী আপু জায়গাটা অনেক ঠান্ডা ছিল। বিশেষ করে এত গাছগাছিলের কারণে আরো বেশি চমৎকার পরিবেশ ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।