জন্মদিনে ছেলের আয়োজন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। ছবি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে জন্মদিন ছিল আমার। গত সোমবার। আমরা সাধারণত জন্মদিন পালন করি না। ইসলামী দৃষ্টিতে জন্মদিন পালন করা ঠিক না। এজন্য বাচ্চাদেরকেও ওভাবেই অভ্যস্ত করেছি। ওরাও জন্মদিন আসলে কেকের জন্য বায়না করে না। কিন্তু কারো জন্মদিন আসলে ঐদিন আমরা বাইরে খাওয়া দাওয়া করি। অথবা বাসায় আমি রান্না করি। এটুকু তো করতেই হয়।
এবার কেন যেন আমার বড় ছেলে আমার জন্মদিন নিয়ে খুব এক্সাইটেড। অনেকদিন আগে থেকেই সে আমার জন্মদিনে আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য বাবার সঙ্গে প্ল্যান করছিলো। কিন্তু সমস্যা হল সে সারপ্রাইজ রাখতে পারে না। কোন ভাবে যার জন্য সারপ্রাইজ তাকে হিন্টস দিয়েই দেয়। সেদিন যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়েছিলাম। তখন বাবা ছেলে মিলে আমার জন্য গিফট কেনার চেষ্টা করেছে। যখন পছন্দ করতে পারেনি তখন আমাকে ডেকেছিল ব্যাগ কিনে দেওয়ার জন্য। আমি পরে গিফট নিবো জন্য আর কিনিনি। কিন্তু ছেলে ঠিকই চুপিচুপি বেলুন কিনে নিয়ে এসেছে।
হাসবেন্ড ও অফিস থেকে তাড়াতাড়ি চলে এসেছে। রাতে বাইরে খাবার খাব জন্য। আমরা গিয়েছিলাম স্টার কাবাবে। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম এখানে যাব। এখানে গিয়ে আমরা বেশ কিছু খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম। এখানকার খাবার গুলো আসলে বেশ মজা। অন্যান্য রেস্টুরেন্ট এর মত এত ডেকোরেশন করা না কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিড় থাকে। খাবার মানের জন্যই এত ভিড় এই রেস্টুরেন্টিতে।
এখানে খাসির লেগ রোস্ট বিখ্যাত। আমারও শুরুতে গিয়েই এই খাবারটির কথাই মনে পড়েছে। তাছাড়া খাসির মগজ ভুনাও অর্ডার দিয়েছিলাম।
এটা খাসির শিক কাবাব। বড় ছেলের খুবই পছন্দ হয়েছিল এই কাবাব।
এটি চিকেন ঝাল মাসালা। যেমন মনে করে খাবারটি অর্ডার দিয়েছিলাম আমার কাছে অতটা মজা লাগেনি।
তাছাড়া এর সাথে পরোটা অর্ডার দিয়েছিলাম। পরোটা ছাড়া এগুলো তো খাওয়া যাবে না।
খাওয়া শেষে দই এবং তরমুজের জুস খেলাম। অসময়ে তরমুজের জুস খেতে বেশ মজা লেগেছিল।
বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। এসে ঘুমিয়ে যাব কিন্তু দেখি বড় ছেলে আর ছেলের বাবা যেন কি করছে। আমাকে যেতে দিচ্ছে না। কিন্তু ছোট ছেলে এসে চুপি চুপি বলছে মা তোমার জন্য বেলুন ফুলাচ্ছে বাবা আর ভাইয়া। পরে দেখলাম যে তারা বেলুন ফুলিয়ে রুম ভর্তি করে ফেলেছে এবং কেক ও নিয়ে এসেছে।
যাই হোক বেশ আনন্দে কেটেছে এবারের জন্মদিন। সবই বড় ছেলে প্লান্ট। যদিও হাজবেন্ডের কাছ থেকে গিফট বাকি রয়েছে। পরে বড় কিছু নিয়ে নিব জন্যই এখন নেইনি। যাইহোক সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আবার নতুন করে বলছি শুভ জন্মদিন আপু।
আমি কিন্তু আপনাকে জন্মদিনের গিফট পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।
সবগুলোই তো খাসির মজাদার সব রেসিপি তবে খাসির মগজ ভুনা রেসিপিটা বেশী লোভনীয় লাগছে। আর সবশেষে বাসায় এসে বেলুন ফুলিয়ে আপনাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে আবার কেক নিয়ে এসেছে। সব জন্মদিনটা ভালোই কেটেছে।
খাসির মগজ ভুনা টা আমার কাছে বেশি মজাদার লাগেনি। বেশি মজা লেগেছিল খাসির লেগ রোস্টটি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ আপু ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মদিন পালন করা ঠিক না। যেটা আমিও বোঝার পর থেকে এই বিষয়ে অনেক সচেতন। বর্তমান সময়ে অনেকেই জন্মদিন পালন করে যেটা ঠিক নয়। আপনি সেই দিনটি এড়িয়ে গিয়ে চেষ্টা করেন নিজে ভালো খাবার রান্না করে পরিবারের সাথে খাওয়ার। তার পাশাপাশি বাইরে গিয়ে পরিবার সাথে এরকম খাবার উপভোগ করতে অনেক ভালো লাগে । সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে আপনাদের কাটানো মুহূর্ত।
বর্তমান সময়ের চারপাশে সবার জন্মদিন পালন করা দেখে বাচ্চারাও মাঝে মাঝে বায়না করে। আসলেই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যা ইসলামিক দৃষ্টিতে ঠিক নয়, তার পরেও অনেক সময় আনন্দ আবেগে তা করা হয়ে থাকে। যদি আপনার ধারণা ছিল না এরপরে আপনার ছেলে আপনার জন্য সুন্দর একটা প্লান পরিকল্পনা করছিল জন্মদিন উপলক্ষে আপনাকে আনন্দ প্রদান করবে, তবে এই আনন্দটা কিন্তু মনে প্রাণে গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ নিজের সন্তান খুশি হয়ে যখনই আপনার মনকে খুশি করাতে চেয়েছে এর চেয়েও ভালোলাগা আর কি হতে পারে। যাইহোক আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন পড়ে খুশি হলাম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সন্তানেরা বাবা-মার জন্য কোন কিছু করলে তাতে আনন্দের সীমা থাকে না। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই - শুভ জন্মদিন। জন্মদিন প্রত্যেক মানুষের কাছে খুবই একটা আনন্দের দিন। নিজের জন্মদিনে পরিবারের সকলকে নিয়ে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সবার সাথে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপনার ছেলেকে ধন্যবাদ জানাই জন্মদিনের চমৎকার মুহূর্ত আয়োজন করার জন্য। জন্মদিনের মুহূর্তের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই পরিবারের সাথে অনেক আনন্দে কেটেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। আমি কখনো জন্মদিন পালন করিনি তবে এখন ছেলের খুশির জন্য শুধু কেক কাটা হয়। ছেলে এবার তার মা কে অনেক বড় সারপ্রাইজ দিল। সেটা যেভাবেই হোক না কেন। আপনি সব বুঝতে পেরেছেন ঠিকই তারপরও ছেলের এমন সারপ্রাইজ পেয়ে নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে। এছাড়া আপনারা বাহিরে খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে আরও ভালো লাগলো।
আমিও জন্মদিন পালন করি না। কিন্তু এইবার ছেলে এরকম আয়োজন করেছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
যদিও আপু আপনার জন্মদিন চলে গিয়েছে তবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল। আপনার ছেলে কিন্তু আপনার জন্মদিন নিয়ে বেশ ভালোই প্ল্যান করেছে আপনারা স্টার কাবাবে গিয়ে দেখছি বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছিলেন। আর বাসায় আসার পরে কেক কাটা হয়েছিল এটা জেনে ভালো লাগলো। দিনটা বেশ ভালোই কেটেছিল বুঝতে পারছি।
সে তার বাবার সঙ্গে মিলে চুপিচুপি এরকম প্ল্যান করেছে আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
আপনার জন্মদিনে আপনার ছেলের সুন্দর আয়োজন দেখে খুব ভালো লেগেছে। আপনার ছোট ছেলে কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে আপনাকে বলে দিয়েছিল। তবে না বললে আরো বেশি ভালো হতো। যাইহোক কেকটা কিন্তু অনেক সুন্দর। নিশ্চয়ই এটা অনেক টেস্টি ছিল। আর স্টার কাবাবের খাবার গুলো অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। মুহূর্তটা বেশ ভালো উপভোগ করেছিলেন বোঝা যাচ্ছে।
জ্বী ভাইয়া ছোট ছেলে লুকিয়ে লুকিয়ে বলে দিয়েছিল। আমিও কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম। তারপরও না বোঝার ভান করে ছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মদিন পালন করা যায় না। আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভকামনা জানাই আপু। অনেক সুন্দর ভাবে জন্মদিনে আয়োজন করেছেন। খাবার গুলো দেখে লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল ।
খাবারগুলো আসলেই বেশ মজাদার ছিল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মাঝে মাঝে পরিবারের আনন্দ দেখলে নিজের মনটাও ভালো হয়ে যায়। সত্যি আপু যদিও জন্মদিন সেভাবে পালন করেন না। তবে আপনার বড় ছেলে এবং আপনার হাসবেন্ড মিলে বেশ ভালোই প্ল্যান করেছে। সবাই মিলে বাইরে খাওয়া দাওয়া করেছেন। আর সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য ভাইয়া এবং বাবু দুজনে মিলে বেলুন দিয়ে সাজিয়েছে আর কেক নিয়ে এসেছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো আপু। আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর ভাইয়ার কাছ থেকে কি গিফট নিবেন সেটা অবশ্যই কোন একটি পোস্টে জানাবেন আপু। 😍😍
কেকটা দেখে আসলেই সারপ্রাইজ হয়েছিলাম। কারণ আমরা কেক জন্মদিনে কাটিনা। এইবারই ছেলের আবদার রাখতে বাবা কেক নিয়ে এসেছিল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।