গ্যাংটক এর গণেশ টক এ ঘুরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম গ্যাংটক শহরের আরেকটি দর্শনীয় স্থানে ঘোরাঘুরি এবং ফটোগ্রাফি নিয়ে। গতদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম "এনচে মঠ" সম্পর্কে কিছু কথা এবং ফটোগ্রাফি। সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা গাড়িতে উঠে চলে এসেছিলাম "গণেশ টোক"। সেদিন বৃষ্টি যেন আমাদের পিছুই ছাড়ছিল না। যেখানেই যাচ্ছি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়েই যাচ্ছে। বৃষ্টির জন্য সবগুলো পয়েন্টে গিয়ে সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারিনি। কারণ মেঘে ঢাকা ছিল বেশিরভাগ জায়গা। তারপরও মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছিল যে বৃষ্টি যেন চারপাশে পাহাড়ের সৌন্দর্য আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
গণেশ টক গ্যাংটক শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। হিন্দুদের ভগবান গণেশকে কেন্দ্র করে এই মন্দিরটি নির্মিত। এটি ১৯৫২ থেকে ৫৩ সালে সিকিমের প্রাক্তন রাজনৈতিক নেতা শ্রী আপ্পা বি পন্ত নির্মাণ করেন। এখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকেরা পূজা অর্চনা করে। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন বেশ কিছু লোকজনকে দেখছিলাম যে বিভিন্ন জায়গায় পূজা করছে। কেউ কেউ গণেশ এর মূর্তির সামনে পুজো করছে। কেউ কেউ আবার পাশের জায়গায় পুজো করছে। এই জায়গাটি বেশ খানিকটা উপরে তৈরি করা। এ জন্য অনেক দূর সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয়। এই জায়গাটি পুজো করা ছাড়াও চারপাশের প্রকৃতি দেখার জন্য বিখ্যাত। উপরে দাঁড়ালে দূর-দূরান্তে অনেক পাহাড় দেখা যায়। খুবই চমৎকার লাগে দেখতে তখন। কিন্তু সেদিন মেঘের জন্য দূরের দৃশ্য তেমন একটা দেখতে পারছিলাম না। মাঝেমধ্যে দুই একবার একটু দেখা যাচ্ছিল। সেই ফটোগ্রাফি গুলোই আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
যখনই প্রকৃতি একটু ভালো হয়েছিল তখনই দূরের পাহাড়ের ছবি নিতে গিয়েছি। কিন্তু সাথে সাথে আবার মেঘে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এখানকার গাছগুলোতে এমন বিভিন্ন জরিওয়ালা কাপড় লাগানো। হয়তো পুজো করে লোকজন এখানে এগুলো লাগায়।
হঠাৎ এক ঝলক সূর্যের দেখা পেয়েছিলাম। তখন দূরের পাহাড়গুলো এত ভালো লাগছিল যে সেই জায়গার থেকে আসতে ইচ্ছা করছিল না। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে চারপাশে সৌন্দর্য উপভোগ করে নিচে নামলাম। নিচে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান রয়েছে। তাছাড়া এখানে ট্রেডিশনাল পোশাক ও ভাড়া পাওয়া যাচ্ছিল।
এখানে দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল আমরা যেন মেঘের উপরে চলে এসেছি। মেঘগুলো সব নিচ দিয়ে ভেসে যাচ্ছে।
নিচে নেমে আমরা ভেজ মোমো খেলাম এবং বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন চিপস, জুস কিনে আবারো গাড়িতে উঠে গেলাম নতুন একটি জায়গায় যাওয়ার জন্য।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কোন জায়গা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
গ্যাংটক এ গণেশ টক এর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লাগলো। আসলে এই ধরনের জায়গাগুলোতে ঘুরলে মনটাও ভালো হয়। প্রকৃতি তার অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মাঝে বিলিয়ে দেয়। আর সেই প্রকৃতির সৌন্দর্য আপনি কিছুক্ষণ উপভোগ করলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি এবং সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপু।
পাহাড়ের সৌন্দর্য যে কত চমৎকার তা সামনাসামনি না দেখলে বোঝা যায় না। খুব ভালো লাগে এমন পরিবেশে গেলে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আপু বৃষ্টি পড়া অবস্থায় পাহাড়ের সৌন্দর্য অনেকাংশে বেড়ে যায়। গণেশ টক তো তাহলে গ্যাংটক শহর থেকে মোটামুটি কাছাকাছি। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গেল। সবুজের সমারোহ দেখতে আমার সবসময়ই খুব ভালো লাগে। যাইহোক এতো মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া এগুলো গ্যাংটক সিটি ট্যুরের ভিতরেই পড়বে একটি গাড়ি নিলে এক প্যাকেজেই সব হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গ্যাংটক এর গণেশ টক এর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রতিটা ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। আমার তো এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে সেখানে চলে যেতে ইচ্ছে করছে। এটা ঠিক বলেছেন আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে আপনারা মেঘের রাজ্যে দাড়িয়ে রয়েছেন। মেঘগুলো দেখে হাত দিয়ে স্পর্শ করতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু জায়গাটা আসলেই খুবই চমৎকার। যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে গেলে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি ছোটবেলায় গ্যাংটক এর অনেক বিষয় নিয়ে পড়েছিলাম। কখনো সামনাসামনি দেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু আজ আপনার ফটোগ্রাফীর মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে সব কিছু জায়গায় দেখতে পেলাম।
আমার গ্যাংটক ভ্রমণের পোস্ট গুলো দেখলে জায়গাগুলো ফটোগ্রাফিও দেখতে পারবেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনাদের ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। গ্যাংটকের গনেশ টক এ গিয়ে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিলেন এবং ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। উপর থেকে নিচে নেমে আপনারা ভেজ মোমো খেয়েছিলেন এবং বাচ্চাদের জন্য বেশ কিছু খাবার কিনেছিলেন এটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
আসলেই আপু বেশ ভালই উপভোগ করেছিলাম জায়গাগুলো। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
গ্যাংটকের গণেশ টকে ঘোরাঘুরি ফটোগ্রাফি আমাকে মুগ্ধ করলো। এর আগের পর্ব দেখেছিলাম আপু। অনেকে ভালো লাগছিল এবং আজকে আবারো দেখার সৌভাগ্য হল। জি আপু আকাশ টা মেঘে ঢাকা হলেও চারপাশে পাহাড়ের সৌন্দর্য কয়েকগুণ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিচ্ছিল। অনেক ভালো লাগছিল পরিবেশটা দেখে। এরকম কিছু যদি দেখতে পারতাম মেঘগুলো মনে হচ্ছে নিচে ভেসে যাচ্ছে। সত্যি মনোরম দৃশ্য এরকম দৃশ্য দেখলে মন এমনি এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। অনেক সুন্দর মুহূর্ত ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। ভীষণ ভালো লাগলো আপু
আগের পর্ব এবং এই পর্ব যেহেতু দেখেছেন আশা করি বাকি পর্বগুলো দেখবেন এবং অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গাও দেখতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনারা এখন তাহলে নতুন নতুন জায়গায় গিয়ে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করছেন এবং সময় কাটাচ্ছেন। আজকে গ্যাংটক এর গণেশ টক এ ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। পরিবেশটা কিন্তু অনেক সুন্দর যদিও আকাশে অনেক বেশি মেঘ জমে ছিল। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
ভাইয়া এখন তো ঘোরাঘুরি করছি না। ঘোরাঘুরি শেষ চলে এসেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু গণেশ টক গ্যাংটক শহর এর নাম তো আমি জীবনে প্রথম শুনলাম। কিন্তু নাই বা শুনি। আজ তো আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এ তো যেন মেঘের রাজ্য। এত সুন্দর প্রকৃতি। যে কেউ তো প্রকৃতির এমন রূপ দেখে তাক লেগে যাবে। আর আপনিও বেশ সুন্দর তরে গণেশ টক গ্যাংটক শহর এর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন। সেই সাথে তুলে ধরেছেন সুন্দর বর্ণনাও। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু এটি ভারতের সিকিমের রাজধানী। খুব চমৎকার একটি জায়গা। আমার পোষ্টের মাধ্যমে নতুন নাম শুনলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্দিরটি দেখে মনে হচ্ছে অনেকটা উপরে অবস্থিত । তাই আশেপাশের পাহাড় খুব সহজে দেখা যায় । কিন্তু বৃষ্টি না হলে আপনার আরো ভালোভাবে দেখতে পারতেন আশেপাশের পাহাড় গুলো । পাহাড়ে ওঠার পরে আশেপাশে দৃশ্য গুলো দেখে এমনিতেই মনটা ভালো হয়ে যায় ।
জ্বি ভাইয়া বেশ খানিকটা উপরে ছিল। উঠতে উঠতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল বাচ্চারা। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।