জালি কুমড়া দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আল্লাহর রহমতে আমরা গ্যাংটোক এ সুস্থ মত পোঁছে গিয়েছি।চারপাশে বড় বড় পাহাড় দেখতে দেখতে। খুব ক্লান্ত ছিলাম তারপরেও পাহাড় দেখে চোখ বন্ধ করতে মন চাচ্ছিলো না।
যাই হোক আজকের এই রেসিপি পোস্টটি আমি আগেই রেডি করে এনেছিলাম। তাই পোস্ট করতে পারছি।
আজকে জালি কুমড়া দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি শেয়ার করবো। এই ব্লগে অনেককেই দেখি জালি কুমড়া দিয়ে মাছ রান্না করতে। সেজন্য আমিও জালি কুমড়া দিয়ে মাছ রান্না করেছি। আগে কখনো জালি কুমড়া দিয়ে মাছ রান্না করিনি। জালি কুমড়া শুধু ভাজি খাওয়া হয়েছে। আরেকটু সমস্যা আছে। এই রেসিপিটি অনেকদিন আগে করেছিলাম। এখন ভুলে গিয়েছি এটি কাতলা মাছ ছিল না রুই মাছ ছিলো। কাতলা মাছ আর রুই মাছ আমার কাছে একই রকম লাগে। আমি অবশ্য বেশিরভাগই মাছ চিনি না। কিন্তু তারপরও মনে হচ্ছে এটি কাতলা মাছই ছিলো। আপনারা কেউ মাছটি চিনে থাকলে অবশ্যই জানাবেন। রুই আর কাতলা মাছ যাই হোক না কেন রেসিপিটি খেতে কিন্তু বেশ মজাদার হয়েছিলো। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
জালি কুমড়া
আলু
পিঁয়াজ
কাঁচামরিচ
পিঁয়াজ বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
হলুদের গুঁড়া
ধনিয়া গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
জিরা গুঁড়া
লবণ
ধনিয়া পাতা
সরিষার তেল
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়েছি। পিঁয়াজ মরিচ কুচি গুলো ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি। বাটা মশলাগুলো একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে গুড়া মশলা সব দিয়ে দিয়েছি।
মসলা ভালোমতো কষিয়ে নিয়ে মাছগুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে মাছগুলো কষিয়ে নিব।
মাছগুলো ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে মাছগুলো একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি। তারপর সেই মসলার মধ্যে জালি কুমড়া এবং আলু দিয়ে দিয়েছি।
জালি কুমড়া এবং আলুগুলো মসলার সঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব। সবজিগুলো যখন আধা সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন মাছগুলো দিয়ে দিব।
এখন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য। রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে তখন প্রথমে জিরা গুড়া এবং পরে ধনিয়া পাতা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করে ঝোল কমে আসলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি।
এভাবে আমার আজকের রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
মজাদার এই রেসিপিটা আমি আগে কখনো তৈরি করেছি বলে আমার মনে হচ্ছে না। আর এই মাছটা কাতলা মাছ নাকি রুই মাছ এটা তো আমিও বুঝতে পারছি না। তবে যে মাছই হোক না কেন , দেখেই বুঝতে পারছি রেসিপিটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। এই দুপুরবেলায় এরকম মজাদার রেসিপি দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন আপনি। আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই ভাত এনে খেয়ে ফেলতে মাছের একটা টুকরো নিয়ে।
আপনি যেহেতু আগে এভাবে তৈরি করেননি তাহলে একদিন অবশ্যই বাসায় রান্না করে দেখবেন। খুবই ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
জেনে ভালো লাগলো সুস্থভাবে আপনি গ্যাংটোক পৌঁছে গিয়েছেন। আসলে আপু তরকারিতে দেখে বুঝতে পারছি না এটি কাতলা মাছ নাকি রুই মাছ। তবে জালি কুমড়ো দিয়ে এভাবে রেসিপি তৈরি করে খেলে অনেক ভালো লাগে। আমিও মাছএবংজালি কুমড়ো দিয়ে এভাবে রান্না করি আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপির কালার টি অনেক সুন্দর আসছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাদের কাছ থেকেই এভাবে রান্না করা শিখেছি। আমি আগে কখনো এভাবে রান্না করিনি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিনিয়ত আপনার কাছ থেকে খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু রেসিপি দেখে আসছি। আর আজকেও খুবই সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে চলে আসলেন।
আজকের আপনার এই রেসিপির মধ্যে খুবই ভালোভাবে এটি তৈরির ধাপগুলো শেয়ার করেছেন যা সকলের কাছে বোধগম্য। আমিও এরকম একটি রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করব।
আপনি সবসময় আমার রেসিপি পোস্টগুলো দেখেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
জালি কুমরো দিয়ে কাতলা মাছ রান্না আমি জালি কুমরো দিয়ে ইলিশ মাছের ঝোল খাওয়ার কথা শুনেছি এবং খেয়েছিও অনেক স্বাদ লাগে খেতে।আপনি কাতলা মাছের রেসিপি করেছেন অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
জালি কুমড়া দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপিও খুবই মজা লাগে। আপনিও বাসায় তৈরি করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওয়াও আপু আপনি আজ আমাদের মাঝে,জালি কুমড়া দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি, প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ছিল সাজানো গোছানো। রেসিপির কালারটি দেখে ই জিভে জল চলে এসেছে। রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু লোভনীয় ছিল দেখে বোঝা যাচ্ছে ধন্যবাদ।
মাছের রেসিপির ধাপ গুলো সহজ ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। যাতে সহজে কেউ বুঝতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু কুমড়া দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলেই খেতে দারুন লাগে। আর কাতলা মাছ আসলে অনেক বড়ো হয়। আর বড়ো কাতলা মাছ দিয়ে আপনি দেখছি কুমড়া রান্না করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর আপনার রান্না করা রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
ছোট কাতলা মাছ খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। এজন্য সবসময় বড় কাতলা মাছই খাওয়া হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
কাতলা মাছ ও জালি কুমড়া, বাহ দারুন কম্বিনেশন তো। আশা করছি খুব মজা করেই খেয়েছেন।আর দেখেই কিন্তু মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। যাইহোক আপু আমাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপনারা সুস্থভাবে গ্যাংটোক পৌঁছে গিয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আসলে আপু আপনার অবস্থা এবং আমার অবস্থা ঠিক একই রকম। আমিও কাতলা মাছ এবং রুই মাছের পার্থক্য বুঝিনা, দুটো আমার কাছেও একই রকম মনে হয়। যার কারণে আমি বলতে পারলাম না এটা আসলে কি মাছ। তবে যাই হোক রেসিপি টা দেখেই বুঝতে পারছি অনেক মজাদার হয়েছিল। সব মিলিয়ে মজাদার রেসিপিটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
সামনাসামনি দেখলেই দুটি মাছের পার্থক্য বুঝতে পারিনা। আর অনেকদিন আগে রান্না করে রাখলে তো বোঝা আরো মুশকিল। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপনি গ্যাংটকে সুস্থ মত পোঁছে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।আমার কাছে ও এটি কাতলা মাছ লাগছে।এই জালি কুমড়াকে আমরা চাল কুমড়া বলি।সত্যি বলতে এই কুমড়া আমার কাছে একদম ভালো লাগে না, কেমন পানসে লাগে খেতে।যাইহোক তবে আপনার রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে।দেখে মনে হচ্ছে স্বাদের হয়েছে বেশ, ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছেও মাঝে মাঝে ভালো লাগে না আবার মাঝে মাঝে ভালই লাগে। যাইহোক আপু ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।