ছুটির দিনের খাওয়া দাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ছুটির দিন মানেই পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটানো। যারা চাকরিজীবী তারা সবাই এই ছুটির দিনের অপেক্ষা করে। শুক্রবার আসলে সবার একটা অন্যরকম আনন্দ কাজ করে। যদিও মেয়েদের কোন ছুটি নেই। তাদের সব দিনই কাজ করতে হয়। তারপরও হাজবেন্ড এবং বাচ্চাদের শুক্র শনি ছুটি থাকে জন্য আমার নিজের কাছেও ভালো লাগে। কারণ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর ঝামেলা নেই। একটু আরামে ঘুমানো যায়। তাছাড়া সপ্তাহের পাঁচ দিন তো ঘরেই থাকতে হয়।শুক্র শনিবার আসলে একটু বাইরে বের হওয়া হয়। ছুটির দিনে বাইরে না গেলেও বাচ্চাদের নিয়ে এক বেলা বাইরে খেতেই হয়। খুব বেশি দূরে যেতে ইচ্ছা না করলে বাসার পাশেই এ রেস্টুরেন্টটিতে চলে যাই। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই রেস্টুরেন্টটিতে গিয়েছি। আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। কিন্তু রেস্টুরেন্টের রাতের সৌন্দর্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়নি। রাতের বেলায় আমিও প্রথম গিয়েছি। উপরের ডেকোরেশনটা এমনিতেই আমার কাছে খুবই ভালো লাগতো। রাতের বেলা যে এর সৌন্দর্য আরও বেড়ে যাবে বুঝতে পারিনি। উপরের এত সুন্দর লাইটিং এ বসে থাকতেই ভালো লাগছিল।
এই রেস্টুরেন্টের নাম ফুডহল। নিচতলা এবং দোতলায় ফুড হল এবং তিনতলায় রেস্টুরেন্টটির নাম সানফ্লাওয়ার। যদিও এদেরই রেস্টুরেন্ট কিন্তু নাম ভিন্ন। আমরা শুরুতেই দোতলায় গিয়ে দুটি সেট মেন্যু অর্ডার দিয়েছিলাম। এই রেস্টুরেন্টটিতে এই খাবার দুটি আমরা সব সময় খাই। খাবার গুলো খুবই মজাদার হয়ে থাকে। বাচ্চাদের জন্য চিকেন চাপ ও লুচি আর আমার জন্য ফ্রাইড রাইস,তান্দুরি চিকেন ও ভেজিটেবল অর্ডার দিয়েছিলাম। আমার হাজবেন্ড অবশ্য শুরুতে গিয়ে দই ফুচকা খেয়েছিল। আমার দই ফুচকার ছবি তুলতে মনে ছিল না।
আমরা সন্ধ্যার দিকে গিয়েছিলাম। তাই বিকেলের চা খাওয়া হয়েছিল না। এখানে সানফ্লাওয়ার এর চা খুবই মজাদার। মালাই চা। মাটির ভারে দেয়। খেতেই খুব ভালো লাগে। বাচ্চারা কোলড্রিংস খাবে আর আমরা চা খাওয়ার জন্য তিনতলায় চলে গিয়েছিলাম। তিনতলায় গিয়ে এত সুন্দর ডেকোরেশন দেখতে পেলাম।
যদিও ফ্রিজের ঠান্ডা কোলড্রিংস বাচ্চাদের খাওয়ানোর কোন ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু কোলড্রিংস দেখে কি আর বাচ্চারা চুপ থাকে। তাই দুটি কোলড্রিংস নিতেই হলো। আর আমাদের জন্য চা। চা দেখে নিশ্চয়ই লোভ লেগে যাচ্ছে আপনাদের। দেখতেও যেমন খেতেও তেমন মজাদার এখানকার চা।
তিনতলার রেস্টুরেন্টটির চারপাশ খোলা। এজন্য পরিবেশটা আরো বেশি সুন্দর লাগে। আমরা বেশ কিছুক্ষণ এখানে সময় কাটালাম। তারপর বাসায় চলে এসেছি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ছুটির দিনে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাইরে সময় কাটিয়েছেন। সেখানকার রাতের সৌন্দর্যটা অনেক ভালো লেগেছে আর বিশেষ করে তিন তালা ছাদের উপরে এমন ফাঁকা জায়গায় রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্য আর রাতের বেলায় বেশি ভালো লাগবে এটা স্বাভাবিক। জায়গাটা যেমন সুন্দর ছিল খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল।
আসলে রাতে এরকম খোলা রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন কাটে অন্যরকম আনন্দে।বিশেষ করে বাচ্চাদের স্কুল না থাকলে বেশি ভালো লাগে তাছাড়া পরিবারে সবার সাথে ভালো সময় কাটানো যায়।যার যদি বাহিরে খাওয়া দাওয়া হয় তাহলে তো ঘরের কাজকর্ম একেবারে কমে যায়।রেস্টুরেন্টের ছবি দেখে মনে হচ্ছে দেখতে বেশ সুন্দর। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বুঝা যাচ্ছে। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
বাচ্চাদের স্কুল না থাকলে সকালবেলা একটু আরাম করে ঘুমানো যায়। রেস্টুরেন্টটি আসলেই বেশ সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
সানফ্লাওয়ারের চা!!
বাহ্ দারুণ নাম তো। রেস্টুরেন্টের নামের সাথে চায়ের কথাটা অনেক সুন্দর মানিয়েছে। শুনে মনে হচ্ছে স্পেশাল কোন চা হবে হয়তো।
আর আমার কাছে কিন্তু চিকেন চাপ আর লুচিটাই সবচেয়ে বেশি লোভনীয় লাগছে।
যাইহোক আপনারা কিন্তু অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপু।
এই রেস্টুরেন্টটি মালাই চায়ের জন্য বিখ্যাত। মাটির ভাড়ে খুব মজা লাগে চা খেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে সময় কাটানো অনেক আনন্দের। কেননা পরিবারের
সবাই একত্রে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মতো আত্মতৃপ্তি আর কিছু নেই। দারুন মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা। খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল। ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে বেশ ভালো ও সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু।বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
ছুটির দিন হলেই বাচ্চাদেরকে বাইরে নিয়ে যেতেই হয়। আসলে সপ্তাহে অন্যান্য দিন তো আর ঘুরতে যাওয়া হয়না। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ানো বেশ আনন্দের । তবে রেস্টুরেন্ট এর লাইটিং টা কিন্তু দারুন। আর উপরের ফ্লোর খোলামেলা হওয়াতে বেশ ভালো লাগলো। খাবারগুলোও বেশ লোভনীয় লাগছে।আর চা প্রেমিদের চা দেখলে লোভ লাগবে তা স্বাভাবিক। বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন পরিবারের সবার সাথে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
এই রেস্টুরেন্ট এর উপরের ডেকোরেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে লাইটিং এর কারণে আরো সুন্দর লাগছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছুটির দিনে বাচ্চাদের ঘুরতে নিয়ে ভালোই লাগে। একটা সপ্তাহ পড়াশোনা আর বাসার ভিতরেই আবদ্ধ থাকতে। একটু রিফ্রেশমেন্ট তো প্রয়োজন। যাক খুব ভালো করেছেন রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে। সব চেয়ে ইন্টারেস্টিং লাগলো আপু রেস্টুরেন্ট টির আলাদা দুই নাম! তবে খাবারে মান যে ভালো সেটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। চা দেখে আসলেই লোভ লেগে গেল আপু
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পুরো সপ্তাহ ঘরেই থাকতে হয়। ছুটির দিন হলে একটু বাইরে যাওয়া হয়। এখানে একই মালিকের দুটি রেস্টুরেন্ট। এজন্যই আলাদা নাম। খাবার ও আলাদা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ছুটির দিনগুলোতে আপনি তাহলে আপনার হাসবেন্ড আর বাচ্চাদের সাথে অনেক সুন্দর সময় পার করেন দেখছি আপু। প্রথমে দোতলা থেকে দারুণ লোভনীয় কিছু খাবার খেয়ে, তিনতলায় বাচ্চাদের কোল্ড ড্রিংকস খাওয়াতে আর আপনারা মালাই চা খেতে গিয়েছিলেন দেখছি। মালাই চা দেখে কিন্তু সত্যি অনেক টেস্টি মনে হচ্ছে আপু। ছুটির দিনে খাওয়া-দাওয়ার পর্বটি কিন্তু দারুন ছিল।
তিন তলায় গিয়েছিলাম মূলত মালাই চা খাওয়ার জন্য। ওই রেস্টুরেন্টের মালাই চা খুবই মজাদার। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এটা কিন্তু ঠিক কথা বলেছেন আপু যারা চাকরিজীবী মানুষ তারা এই ছুটির দিনের জন্যই অপেক্ষা করে থাকে । এই দিনটাতে পরিবারের সাথে একটু টাইম কাটানোর সুযোগ পায় তারা । আপনি ছুটির দিনে পরিবারের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং দারুন দারুন খাবার-দাবার খেয়েছেন যা দেখতে পেলাম। খাবার গুলো দেখে আমারও তাই লোভ লেগে গেল! মাটির ভারে করে মালাই চা খেতে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আমাদের এইদিকেও এই ধরনের চা পাওয়া যায় এবং যা অনেক বেশি জনপ্রিয়।
ছুটির দিনে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকে জন্যই বেশি ভালো লাগে। কারণ সকালে ওঠার ঝামেলা থাকে না। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
ছুটির দিনে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছেন আপু। আপনারা দোতলায় প্রথমে গিয়েছিলেন এবং কিছু খাবার অর্ডার দিলেন। রেস্টুরেন্ট টা দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুন্দর। রাতের বেলায় গিয়েছিলেন বলে মিউজিক গুলা বেশ সুন্দরভাবে দেখতে পেরেছেন। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
রেস্টুরেন্টেই আসলে বেশ সুন্দর ছিল। রাতের বেলা হওয়ার কারণে আরও বেশি ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।