হোয়াইট চ্যাপলে সোনারগাঁ রেস্টুরেন্টে কিছুক্ষণ
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
বাচ্চাদের স্কুল হলিডে শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৬ সপ্তাহের জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।জুলাইয়ের ২২ তারিখে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়, আর খুলবে সেপ্টেম্বরের ৪/৫ তারিখে।বাচ্চারা যতগুলো স্কুল হলিডে পায় এই সামার হলিডে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের।সেপ্টেম্বর থেকে তাদের নতুন ক্লাস শুরু হয়।বাংলাদেশে যেমন জানুয়ারি থেকে নতুন ক্লাস শুরু হয় তেমনি এ দেশে সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হয়।এদেশে জুলাইতে একটি ক্লাসের পরিসমাপ্তি ঘটে।তাই এই জুলাইতে সবচেয়ে বড় স্কুল হলিডে তারা পেয়ে থাকে।যেহেতু স্কুল হলিডে চলছে তাই হাজব্যান্ড লন্ডনের হোয়াইট চাপলের সোনারগাঁও রেস্টুরেন্টে বাফেট এর জন্য বুকিং দিয়েছিল।সেখানে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে এলাম।
বাফেট মানেই তো বুঝতে পারছেন হরেক রকম আইটেমের সমাহার, যে যত পারো খেয়ে নাও।আমার কিন্তু খাবার-দাবারের প্রতি তেমন কোন নেশা নেই। আমার তেমন ভালো লাগে না রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে। কিন্তু বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড গুলো খেতে।যাই হোক বেলা তিনটার সময় আমাদের বুকিং ছিল।যেহেতু এটি বাঙালি রেস্টুরেন্ট তাই যত রকমের বাঙালি খাবার ছিল সেখানে।এ যেন বাঙ্গালীদের ছোটখাটো একটি মিলন মেলা। সকলকেই দেখলাম বেশ তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে।সকলেই লাইন ধরে একটি পর একটি আইটেম নিয়ে যাচ্ছে।আর এই রেস্টুরেন্টে যতগুলো ওয়েটার ছিল সকলেই ছিল মহিলা।মহিলারা অনেক সুন্দর ভাবে তাদের দায়িত্ব গুলো পালন করছিল।আগে কখনো আমরা এই রেস্টুরেন্টে যাইনি, এই প্রথম এই রেস্টুরেন্টে খেয়েছি।
ফটোতে দেখতেই পাচ্ছেন কত রকমের আইটেম ছিল সেখানে। এক একটি ডিশ শেষ হয়ে যাচ্ছে আবার তারা ফিল আপ করে দিচ্ছে। আইটেমগুলোর মধ্যে ছিল ভাত, পোলাও, চিকেন বিরিয়ানি, ছোলার ডাল, মসুরের ডাল, চিকেন, শিপ, কালা ভুনা, চিংড়ি মাছ, বোয়াল মাছ, আম দিয়ে মাছের টক, নাগেট, চিকেন উইংস, চিপস, অনিয়ন চিপস, পাপড়, সিঙ্গারা, কয়েক রকমের ভর্তা, ডিজার্ট সহ কয়েক রকমের ফ্রুট, এছাড়াও নাম না জানা আরও কয়েক রকমের আইটেম ছিল।এতগুলো আইটেম তো টেস্ট করা সম্ভব নয়, তারপরও যতটুকু পেরেছি ততটুকু টেস্ট নিয়েছি।কিছু আইটেম বেশ ভালোই লেগেছিল, আর কিছু কিছু আইটেম মোটেও টেস্ট ছিল না।আমি আর আমার হাজব্যান্ড কিছু খেয়ে নিলাম। আমার কাছে কালা ভুনা, আর আমের টক সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল। কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে বাচ্চারা কোন কিছুই খেতে চাচ্ছিল না, তারা দু’একটি আইটেম জাস্ট টেস্ট করেছিল।
অবশেষে খাওয়া দাওয়া শেষে বিল দেওয়ার পালা।জনপ্রতি ১৪ পাউন্ড করে নিয়েছিল যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় মোট ৮,০০০ টাকার মত হবে। বাচ্চাদের জন্য কোন ছাড় নেই, সকলের জন্যই একই প্রাইজ কেউ খাক বা না খাক।আসলে আমরা যেখানে থাকি সেখানে এমন বাঙালি রেস্টুরেন্ট নেই বললেই চলে। এখানে বাঙালি খুবই কম, শুধু ইংলিশরাই বেশি থাকে এই এলাকায়।তাই বেশি একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া হয় না।ফাস্ট ফুড গুলো অর্ডার করে খাওয়া হয়। এছাড়া হাজব্যান্ডের রেস্টুরেন্টেও অনেকগুলো ফাস্টফুড জাতীয় খাবার রয়েছে।সেখান থেকে প্রায়ই খাওয়া হয়।যাইহোক এই রেস্টুরেন্টের অনেক নাম শুনেছিলাম, তাই খেয়ে একটু অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আগামীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
Location | Sonargaon Restaurant London |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
বাফেট মানেই তো তৃপ্তি সহকারে খাওয়া দাওয়া করা। তবে যারা একেবারেই কম খেতে পারে, তাদের জন্য মূলত বাফেট না। যাইহোক বাহিরের দেশে এতো আইটেম এর দেশী খাবার খেতে পারলে খুব ভালো লাগে। আমি যখন দক্ষিণ কোরিয়াতে ছিলাম, ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে প্রায়ই যেতাম বাফেট লাঞ্চ করতে। যাইহোক হোয়াইট চ্যাপেলের সোনারগাঁ রেস্টুরেন্টে আপনারা মোটামুটি ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন আপু। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।