বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেড়ানোঃ পর্ব-১৭ (London zoo)

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।


IMG_9798.jpeg

আবার অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেড়ানোর ১৭ তম পর্ব নিয়ে।হ্যাঁ বন্ধুরা বিগত দিনগুলোতে আপনাদের সাথে Eastbourne Sea beach এর ১০ টি সিরিজ পর্ব শেয়ার করেছিলাম।আজ থেকে লন্ডন জু এর সিরিজ পর্ব শুরু হল। ৩৬ একর জায়গা নিয়ে এই চিড়িয়াখানাটি গঠিত।এটি বিশ্বের প্রাচীনতম বৈজ্ঞানিক চিড়িয়াখানা যা ১৮২৮ সালে প্রথম চালু হয়।পরে ১৮৪৭ সালে জনসাধারণের জন্য খোলা হয়েছিল।আমার কাছে মনে হয়েছে বৃহৎ এলাকা।এত হাঁটা হেঁটেছি তারপরও পুরো এলাকা ভালোভাবে দেখতে পারিনি।অনেক অনেক পশুপাখি রয়েছে সেখানে। এ কারনে অনেক অনেক ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, যা একটি পর্বের মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই অনেক গুলো পর্ব নিয়ে এই সিরিজ টি সাজিয়েছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

সকল পশু পাখির মধ্যে ফিফটি পার্সেন্ট আমার চেনা, আর বাকিটা অজানা। জানা-অজানা হরেক রকমের পশু-পাখির সমাহার দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।কিন্তু একটানা হাঁটতে অনেক কষ্ট হয়েছিল।সকাল ১০ টা থেকে হাঁটা শুরু করেছিলাম, আর বিকাল ৪ টায় শেষ হয়েছিল। হাঁটতে হাঁটতে পায়ের অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছিল। শেষমেষ বাচ্চারা অস্থির হয়ে গিয়েছিল বাসায় যাওয়ার জন্য।তারা খুবই টায়ার্ড হয়ে পড়েছিল।যাইহোক প্রতিবারের মতো এবারও লন্ডন জু-তে যাওয়া থেকে আশা পর্যন্ত ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।

IMG_6959.jpeg

যাওয়ার পথে দেখলাম লোকটি গান করছে, আর অনেকেই তাকে পয়সা দিচ্ছে।

IMG_6960.jpeg

রাস্তা ক্রস হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম।

IMG_6961.jpeg

IMG_6963.jpeg

IMG_6966.jpeg

IMG_6969.jpeg

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে নিলাম।

IMG_6964.jpeg

IMG_6965.jpeg

ব্রিজের উপর দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম তখন নিচের দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই চমৎকার লাগছিল। পানিতে অনেকগুলো বোট চলছিল।লোকজন উপভোগ করছিল বোট এ উঠে। ঐদিন আমাদের হাতে সময় ছিল না তাই আর বোটে ওঠা হয়নি।

IMG_6968.jpeg

IMG_6970.jpeg

অবশেষে টিকেট চেকের জন্য অপেক্ষা।আমরা আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম। টিকিটের মূল্য খুবই এক্সপেন্সিভ ছিল।অ্যাডাল্ট এর টিকেট মূল্য হবে বাংলাদেশি টাকার প্রায় ছয় হাজার টাকার মত( জনপ্রতি)আর ছোটদের জনপ্রতি ছিল ৪০০০ টাকার মত।

IMG_6971.jpeg

IMG_6972.jpeg

অবশেষে সকলে মিলে জু তে প্রবেশ করি।

IMG_6973.jpeg

IMG_6974.jpeg

একটি গরিলা দেখতে পাচ্ছেন বাচ্চাদেরকে বিনোদন দেওয়ার জন্য। এটি কিন্তু রিয়েল না, জাস্ট একটি মূর্তি।

IMG_6975.jpeg

IMG_6976.jpeg

IMG_6977.jpeg

এরপর সকলে মিলে একটি টানেলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করছিলাম।

বন্ধুরা আজ তাহলে এতটুকুই। আগামী পর্ব থেকে পশুপাখি দিয়ে শুরু করবো আমার বাকি পর্বগুলো।

Photographer@tangera
DeviceI phone 13 Pro Max
Location

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।

পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 9 months ago 

আপু আপনার এই হলিডে এর ঘুরাফিরার পর্ব গুলো পড়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় জানতে পারছি। এই যেমন আজকের পর্বটি পড়ে লন্ডন চিড়িয়াখানা নিয়ে বেশ কিছু অজানা তথ্য জানতে পারলাম। তবে সেই সাথে আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা না করে কিন্তু পারছি না। অসাধারন কিছু দৃশ্য দেখতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের কে দেখার ‍সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

 9 months ago 

চিড়িয়াখানাগুলো সব সময় এমন বড় বড়ই হয়। দেশের চিড়িয়াখানাগুলো আমি নিজেও ঘুরে শেষ করতে পারিনাআর টিকিটের দাম টা একটু বেশি মনে হল। । যাইহোক ভেবেছিলাম পশু পাখির ফটোগ্রাফি দেখব। এখন পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

 9 months ago 

চিড়িয়াখানায় গেলে এতো বড় এড়িয়া যে হেঁটে শেষ করা যায় না।পায়ের বারোটা বেজে যায়।আপনারা ১০ টার দিকে গিয়ে বিকেল ৪ টায় ও শেষ করতে পারেন নি। আরও অনেক দেখার বাকি ছিল।কিন্তু বাচ্চারা এতো হাঁটতে আসলে চায় না।তাইতো বাসায় যাওয়ার জন্য বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলো। আমি অবশ্য যখন মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম চিড়িয়াখানায় সেখানে ছোট ছোট ট্রলি ট্রেনে বসে বসে দেখেছিলাম।আপনি বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন চিড়িয়াখানার ভেতর প্রবেশ করার আগ মুহূর্তের। যা দেখে অনেক কিছুই দেখা হলো। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। আগামী পর্বে চিড়িয়াখানার ভেতরের অংশ দেখতে পারব। ধন্যবাদ আপনাকে আপু শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

এতো বড় এরিয়া হেঁটে শেষ করাটা খুবই কঠিন। তবে চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের চেনা অচেনা জীবজন্তু দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক আপনারা তাহলে ৬ ঘন্টা হাঁটাহাঁটি করেছেন চিড়িয়াখানার ভেতরে। এতক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে পায়ের অবস্থা তো খারাপ হওয়ারই কথা। এন্ট্রি টিকেটের দাম তো ভালোই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আশা করি পরবর্তী পর্বে বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুর ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59249.61
ETH 2526.11
USDT 1.00
SBD 2.46