বাগানের জন্য প্রস্তুতি পর্বঃ ১
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনারা অনেকেই জানেন প্রতিবছর আমি ছোটখাটো একটা বাগান করে থাকি। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়।মাশাআল্লাহ বাগান করার জন্য একটি বড় জায়গা রয়েছে আমার বাসার পিছনে। প্রতিবছর এখানে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল ও ফুলের চাষাবাদ করে থাকি যা আমার খুবই পছন্দ। অবশ্য ফলমূলের জন্য এতটা প্রিপারেশন নিতে হয়না কারণ আমার বাগানে রয়েছে আপেল, আঙ্গুর, চেরি ও ফিগ ফল গাছ যা শীতের সিজনে মারা যায়না শাকসবজি ও ফুলের মত। অবশ্য আমার বাগানে কতগুলো গোলাপ গাছ রয়েছে যা সারা বছরই থাকে। কিন্তু অন্যান্য ফুলের গাছ যা প্রতিবছর লাগানো হয় যেমন পিটুনিয়া, জেরানিয়াম এবং আরও কিছু ফুল গাছ রয়েছে শুধু একবারই হয়, শীতের সিজনে সব মারা যায়।এখনও ফুলের চারাগুলো আনা হয়নি, সময় পেলে একবার নিয়ে আসবো। আর ভেজিটেবল গুলোর জন্য সরাসরি বিচি থেকে চারা উৎপাদন করে ফেলি। এবছর একটু দেরি হয়ে গিয়েছে।আরও দু এক মাস আগে করলে ভালো হতো, কিন্তু ঠাণ্ডা খুব বেশি ছিল তাই করা হয়নি। এখন ওয়েদার মোটামুটি বাগান করার জন্য খুবই উপযুক্ত। আজকের পর্বে দেখাবো বিচি মাটিতে কিভাবে বপন করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
আগের দিন সবগুলো বিচি পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। বিচি গুলোর মধ্যে রয়েছে লাউ, শিম, টমেটো কাঁচা মরিচ, বোম্বাই মরিচ, শশা, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, তরমুজ, বরবটি, পুঁইশাক, করলা।
চারা বানানোর জন্য অবশ্যই কম্পোস্ট লাগবে।এক বস্তা কিনে আনা হয়েছে চারা লাগানোর জন্য। আর এই চারা বানানোর দায়িত্বে আছে আমার হাসবেন্ড, আমি জাস্ট তার পাশে থেকে একটু সাহায্য করি।
আর চারাগুলো লাগানোর জন্য কতগুলো প্লাস্টিকের পট লাগবে। প্রথমে একটি পটে কম্পোস্ট সার দিয়ে দেওয়া হয়েছে।তারপর বিচিগুলো রেখে তার ওপর হালকা মাটি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এরপর সামান্য পানি ছিটিয়ে একটি ক্লিন পেপার দিয়ে এর মুখটি ভালোভাবে ঢেকে দিতে হবে।
সবগুলো পট এভাবে রেডি করে তৈরি করা হয়েছে।
আর এই বড়-বড় পটগুলোতে লাল শাক, ডাটা শাক, আর লাই শাকের বীজ বুনেছি। ছোট ছোট পটগুলো জানালার পাশ দিয়ে রেখে দিয়েছি, আরো বড় পট গুলো ঘরের বাইরে রেখেছি। যখন বিচিগুলো থেকে চারা গজাবে তখন দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে যাব।
| Photographer | @tangera |
|---|---|
| Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR











বাগানের জন্য প্রস্তুতি খুবই সুন্দর ভাবে নিয়েছেন আপনি। আপনি তো দেখছি চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছেন। প্রত্যেকটা সর্ষে দানা খুবই সুন্দর ভাবে প্রথমে ভিজিয়ে রেখেছিলেন তারপরে টবের মধ্যে রেখেছিলেন এরপর প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে রেখে দিয়েছিলেন বীজ থেকে চারা গজানোর জন্য। আশা করছি প্রত্যেকটা বীজ থেকে খুবই সুন্দর সুন্দর চারা গজাবে এবং শাকসবজি গুলো ও বেশ ভালো হবে। প্রথম পর্বের মাধ্যমে এটি আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। চার গজানোর বিষয়টি দ্বিতীয় পর্বে দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ম্যাম আপনি তো দেখি চাষাবাদ শুরু করছেন ৷ অনেক সবজি চারা রোপন করলেন ৷আসলে বাগান করা একটা বড় শখ ৷ আর এসব সবজি আমাদের প্রতিনিয়ত প্রয়োজন ৷ যেসব শাখসবজি খেলে শরীরের জন্য অনেকটা উপকার করে ৷ ভালো লাগলো আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এসব চারা গাছ হয়ে উঠবে ৷
প্রতিবছর আপনার এরকম ঘটা করে বাগান করা দেখতে বেশ ভালই লাগে। তাছাড়া ফল গাছগুলো মারা যায় না জেনে ভালো লাগলো। কিছু ফুলগাছ আছে যা প্রতি সিজনে লাগাতে হয়। গোলাপ গাছ গুলো বারোমাসই ফুল দেয় এজন্য এগুলো লাগাতে ভালো লাগে। আপনার বাগানের প্রিপারেশন দেখে ভালো লাগলো। আশা করি ফুলগুলো ফুটলে আরো বেশি ভালো লাগবে।
আপনার বাগানের বিভিন্ন কিছুর ফটোগ্রাফি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখে থাকি। সেগুলো দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। নিজের এরকম একটি বাগান থাকলে আসলে অন্যরকম একটা প্রশান্তি কাজ করে। এবার বিভিন্ন শাক সবজির চারা লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন দেখছি। পোস্ট টি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আপনি তো দেখছি খুবই সুন্দর একটা উদ্যেগ নিয়েছেন। আপনার বাগানের প্রিপারেশনটা কিন্তু খুবই ভালো দেখছি। আপনি সবেমাত্র সবজির বীজ রোপন করেছেন। ফুল গাছ এবং ফুল গাছ ও লাগাবেন তাহলে আপনার বাগানে। আপনি প্রতিবছর বাগান তৈরি করেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আসলে এরকম সবজি নিজের হাতে চাষাবাদ করলে খেতে সেগুলো একটু বেশি ভালো লাগে সেগুলোর স্বাদ ভিন্ন রকমের হয়। বীজগুলো থেকে চারা গজানোর সেই মুহূর্তটাও আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন এটা জেনে অনেক খুশি হয়েছি। অনেকগুলো টবের মধ্যে রোপন করেছেন। আশা করছি সবগুলোর থেকে ভালো ফল পাবেন।
আপনার উদ্যোগটা কিন্তু খুবই ভালো। যেহেতু বাগান করার জন্য আপনাদের বাড়ির পেছনে একটা জায়গা আছে সেখানে আপনারা বাগান করে থাকেন প্রতিবছর। বিভিন্ন রকমের শাকসবজি ফলমূল এবং ফুলের বাগান করেন আপনারা আপনাদের উদ্যোগ দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। এই বিচিগুলো থেকে যখন চারা গজাবে সেই বিষয় টা ২য় পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করবেন জেনে খুশি হলাম এবং ভালো লাগলো।
আপু আপনি প্রতিবছর এত আয়োজন করে বিভিন্ন গাছ লাগান এবার ই আমি প্রথম দেখছি।যদিও আরও দুই এক মাস আগে লাগালে ভালো হতো।কিন্তু শীত বেশী তাই লাগাতে পারেননি।গোলাপ গাছ বারো মাসই দেখা যায়। আপনি বেশকিছু সবজির বিচি পানিতে ভিজিয়ে রেখে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন।খুব ভালো লাগলো আপু।আসলে বাগান করতে আমারও খুব ভালো লাগে।প্রয়োজনীয় জায়গা হলে বাগান করা যায়। পরবর্তী পর্বে হয়ত ছোট চারা গাছ দেখতে পাবো।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেবার জন্য। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপু আপনি সত্যিই অনেক পরিশ্রমী একজন মানুষ। নিজের ব্যস্ততার মাঝেও ভালোলাগার কাজগুলো করছেন দেখে ভালো লাগলো। এর আগেও আপনার শখ করে তৈরি করা বাগান দেখেছিলাম। বিভিন্ন রকমের ফুল ফলে ভরে উঠেছিল আপনার বাগান। এবারও যেহেতু প্রস্তুতি নিয়েছেন তাই আশা করছি আমরা খুব শীঘ্রই আপনার বাগানের চিত্র দেখতে পাবো। অনেক অনেক শুভকামনা এবং ভালোবাসা রইলো আপু।
আপু, আপনি বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করেন তা আমরা জানি। আপনার বাসায় ভিন্ন ভিন্ন রকমের সবজি বীজ বপন করেন, আর সবজি উৎপাদন করেন এ ব্যাপারটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি ও আপনার হাসবেন্ড দুজনে মিলে কত যত্ন সহকারে আপনার বাগানে বীজ বপনের কাজ সম্পন্ন করেছেন। আর এই বীজ যেন পরিপূর্ণভাবে চারা বের হয়, আর সেই চারা থেকে যেন ভালো সবজি উৎপাদন হয় এই কামনা করছি। আপনার বাগানের প্রস্তুতি নিয়ে খুব সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এর আগেও এরকম আয়োজন দেখেছিলাম আপু। ব্যাপারটা সত্যিই দারুন। তবে সব কিছু এত সুন্দর করে গুছিয়ে আমি কাউকে বাগান করতে দেখি নি। এজন্যই হয়তো আপনার বাগানের ফলন এত ভালো হয়। আমরা তো এমনি নরমাল ভাবে মাটিতে ফেলে দেই। তাই জন্য অনেক সময় গাছ ঠিকমত হয় না। যাই হোক কিছুদিন পর যখন গাছগুলো একটু একটু বাড়তে শুরু করবে , তখন মনের ভেতর কতটা আনন্দ হবে, সেটা ভাবতেই আমার চমৎকার লাগছে।