অনেক ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গেল আজকের দিনটি
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
আজ অনেক ব্যস্ততার সাথে কেটে গেল দিনটি। আসলে আজকে বাসায় একজন গেস্ট এসে ছিল। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ থেকে এসেছে। আমার হাজবেন্ডের দুঃর সম্পর্কের এক আত্মীয়। তো সেদিন ফোন করে বলল আমাদের বাসায় হাজবেন্ডের সাথে দেখা করতে আসবে। তো তার জন্য ছিল ছোট্ট একটা আয়োজন। যেহেতু ছেলেটি একাই এসেছে তাই খুব বেশি আয়োজন করিনি। মোট ৪-৫টি আইটেম করেছিলাম তার জন্য।
ইদানিং ঘুম খুব কম হচ্ছে, কারণ বেডে যেতে যেতে লেট হয়ে যাচ্ছে। আর ঘুমানোর তিন চার ঘন্টা পরে ফজরের টাইম হয়ে যায়। এরপর ফজর নামাজ পড়ে দুই ঘন্টা ঘুমিয়ে আবার উঠে যেতে হয় বাচ্চাদেরকে স্কুলে রেডি করে দেয়ার জন্য। তারমানে একটানা ঘুম হচ্ছে না।এখন দিন ছোট হয়ে যাওয়ার কারণে এই অবস্থা হয়েছে। আগে একটানা ছয় সাত ঘন্টা ঘুমিয়ে ফজরের নামাজ পড়ে বাচ্চাদেরকে স্কুলে রেডি করে দিতাম। কিন্তু এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে বাচ্চাদেরকে স্কুলে দিয়ে আবার একটু ঘুমিয়ে নিই। কিন্তু আজকে যেহেতু গেস্ট আসবে কাজের একটু চাপ তাই কোন রকম একটু ঘুমিয়ে উঠে গিয়েছি। কারণ ঘুম না হলে কাজকর্মে মন বসে না। আজকে আবার আরেকটি প্রোগ্রাম ছিল। আজ কাউন্সিলার নির্বাচনের ভোট ছিল। সে কারণেই গতকাল সন্ধ্যার সময় দুটি আইটেম করে রেখেছিলাম যেন আজ একসাথে কাজের প্রেসার না পরে। কাউন্সিলার নির্বাচনের ভোটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই বাদ দেওয়া ঠিক হবে না।
যাইহোক দ্রুত নাস্তা করে চলে গেলাম রান্না ঘরে। আর রান্নাঘরে আমাকে হেল্প করেছে আমার হাজব্যান্ড। সে দ্রুত কাটাকাটির কাজটি করে দিয়েছে। কুকিং করতে করতে ছেলেটির ফোন এসে যায়, সে চলে এসেছে স্টেশনে।এরপর আবার আমাদের ভোটের টাইম হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রান্না শেষ করতে পারিনি কারণ তখন বাজে বারোটা। আরেকটু সময় থাকলে রান্না শেষ করে ফেলতে পারতাম। তাই তখন কুকার বন্ধ করে রেখে আমি আর আমার হাজব্যান্ড চলে যাই ছোলটিকে পিক আপ করতে।এরপর ছেলেটিকে পিকআপ করে তাকে সহ চলে যাই পোলিং স্টেশনে ভোট দেওয়ার জন্য। ভোটের কেন্দ্র খুব বেশি দূরে নয়, আমাদের বাসার কাছে।
ফ্ল্যাগ দিয়ে রাস্তার উপরে ডেকোরেশন করেছে ভোটের কারণে।
এরপর পছন্দমত ক্যান্ডিডেট কে গোলাপ ফুল মার্কায় ভোট দিয়ে চলে এলাম বাসায়। তখন বাজে বেলা সারে বারোটা।এরপর বাসায় এসে ছেলেটিকে কিছু নাস্তা দিয়ে বাকি রান্নাটুকু শেষ করে ফেলি।
আজকে এই রান্নাগুলো করেছিলাম। বাকি রান্নাটা গতকাল সেরে রেখেছিলাম।সেগুলোর ফটো তোলা হয়নি আর।
এরপর বাচ্চারা চলে আসে স্কুল থেকে।এরপর আমাদের লাঞ্চ টাইম শুরু হয়ে যায়।ঠিক তখনই হ্যাংআউট শুরু হয়। এ কারণে আজকের হ্যাংআউট এ আর জয়েন হতে পারিনি। যাইহোক ছেলেটি অনেক তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে। তার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল আমার রান্নাগুলো। সে আরো বলেছিল লন্ডনে আসার পর এতগুলো আইটেম একসাথে এই প্রথম খেয়েছে। কারণ যেখানে সে কাজ করে সেখানে প্রতিদিন একটি করে আইটেম রান্না করা হয়। যাইহোক সারাদিন অনেক কষ্ট করে রান্না করে তাকে খাওয়ানোর পর যথেষ্ট তৃপ্তি পেলাম মনে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আপনার বাসায় আসা গেস্টের জন্য আপনি অনেক যত্ন সহকারে মজাদার খাবার রান্না করেছেন।মেহমানের জন্য রান্না করা তখন সার্থক হয় যখন সে তৃপ্তি সহকারে খায়।আপনার বাসায় আসা মেহমান আপনারা রান্না অনেক। মজা করে খেয়েছে। নিশ্চয়ই অনেক দিন মনেও রাখবে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহূর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
রাতে দেরি করে ঘুমালে সমস্যা। ঠিক মতন ঘুম হতে চায় না। আমারও বাচ্চাদের স্কুল থাকলে একটানা ঘুম হয় না। বিশেষ করে মাঝে নামাজ পড়তে উঠতে হয় তার জন্য। যদি তাড়াতাড়ি ঘুমানো যায় তাহলে ফজরের নামাজ পড়তে উঠতে খুব একটা কষ্ট হয়না। বাসায় গেস্ট আসবে জন্য বেশ ব্যস্ততায় দিনটি কেটেছে আপনার আজকে। তাছাড়া মজার মজার খাবার রান্না করেছেন দেখছি।
বাপরে বাপ কত রকমের রান্না করলেন একেবারে। আবার বাহিরেও গেলেন। আমি তো এতগুলো কাজ এক সাথে করতেই পারতাম না। মরেই যেতাম। বেশ ব্যাস্ততার মাঝেই গিয়েছে আপু আপনার সময়। তবুও যে রান্না করেছেন সেগুলো কিন্তু সব গুলোই বেশ লোভনীয় মনে হলো। ধন্যবাদ আপু এমন ব্যাস্তময় দিনের কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে ব্যস্তময়ী জীবন অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার পোস্ট টি পড়ে জানতে পারলাম আপনি আজকের দিনটি অনেক ব্যস্ততার মাঝে কাটিয়েছেন। যাইহোক, দিনটি ব্যস্ততার মাঝে কাটলেও খুবই সুন্দর একটি দিন ছিল আপনার। বিশেষ করে আপনার মেয়ে কে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন।
আপু, আপনারা তাহলে লন্ডনের স্থায়ী বাসিন্দা? ভোট দিয়েছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। আসলে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সবকিছু এলেমেলো লাগে। এখন যেহেতু আপনাদের দিকে দিন ছোট হয়ে গিয়েছে তাই হাতের কাজগুলো আগে শেষ করে ঘুমাতে পারলে। ফজর টাইমে উঠে দেন সারাদিন ক্লান্তি লাগবে না। আপনাদের গেস্ট আপনার খাবার পছন্দ করেছে জেনে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া আমরা ব্রিটিশ নাগরিক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আসলে কষ্ট করে রান্না করে খাওয়ানোর পর যদি কেউ তৃপ্তি পায়,তাহলে কিন্তু রান্না করার কষ্ট একেবারেই দূর হয়ে যায়। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনার হাতের রান্না আসলেই খুব ভালো। যাইহোক গেস্টের জন্য রান্না করা, গেস্টকে পিক আপ করা এবং ভোট দেওয়া, সবমিলিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন আপু। শত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করবেন রাতের বেলা অন্ততপক্ষে ৬ ঘন্টা একটানা ঘুমানোর জন্য। যাইহোক আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল আপু।
আপু আপনি কাল ব্যস্ত ছিলেন শুনেছি।এখন পোস্ট পড়ে বুঝলাম আসলে কি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সত্যি ঘুম ঠিকমতো না হলে কোন কাজ ঠিক মতো করা হয়ে উঠে না।আপনার রান্না করা খাবার খেয়ে গেস্ট ভীষণ প্রশংসা করেছে আপু।সত্যি কথা বলতে রান্না গুলো দেখতে সত্যি ই খুব লোভনীয় হয়েছে।কেউ খেয়ে প্রশংসা করলে শুনতে আসলে ভালো ই লাগে।যাই হোক খুব ব্যস্ততার মাঝেই আসলে আপনার প্রতিটি দিন কাটে।পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন আশাকরি।