ভ্যালেনটাইনস ডে উপলক্ষে মাকে দেয়া ছোট মেয়ের তৈরি কার্ড
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
প্রথমেই valentines day উপলক্ষে সবাইকে জানাই অনেক অনেক ভালোবাসা। এই দিনটির উদ্দেশ্য শুধু প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে যেন সীমাবদ্ধ না থাকে, যেন তা ছড়িয়ে পরে সকলের মধ্যে। ভালোবাসাটা যেন আমাদের থাকে সকলের জন্য। এই দিনটি সেলিব্রেশন এর মাধ্যমে যেন আমাদের সকলের প্রতি ভালোবাসা যেন বৃদ্ধি পাক এটিই যেন হয় ভালোবাসা দিনের একমাত্র উদ্দেশ্য। আর এ কারণে এবারের কনটেস্টের বিষয়বস্তু ছিল ভালোবাসা দিন উপলক্ষে প্রিয়জনের জন্য তৈরি কার্ড। আর এই প্রিয়জন বলতে বুঝিয়েছিলাম আমাদের আপনজন দেরকেই। আর এই প্রিয়জন গুলো হচ্ছে আমাদের স্বামী- স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা, মা-বাবা,ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন এমনকি আমাদের পরিচিত এবং আশপাশে যারা রয়েছেন তারাও হতে পারে আমাদের আপনজন।
এবার চলে যাচ্ছি আমার আজকের মূল পর্বে। টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন আমার আজকের পোস্ট সম্পর্কে। হ্যাঁ বন্ধুরা আমার ছোট মেয়েটি ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে আমার জন্য এই কার্ডটি তৈরি করেছে। এবার বলছি এই কার্ড তৈরীর আইডিয়াটা তার মাথায় কিভাবে এলো। ছোট মেয়েটি বেশিরভাগ সময় আমার পাশে এসে বসে এবং দেখে আমার পোস্ট করা। কি পোস্ট করছি? আবার কি পোস্ট করব তা আমাকে জিজ্ঞাসা করে।আমি যখন ইউজারদের তৈরি কার্ডগুলো দেখছিলাম তখন সে এসে দেখে। তখন আমি তাকে বললাম এটি একটি কনটেস্ট। যার কার্ড সুন্দর হবে সে হবে ইউনার। এ কথা শুনে সে বলল আমি একটি বানাতে পারবো? আমি বললাম হ্যাঁ পারবে। ওমা বলার সাথেই দেখি ৩০ মিনিটের মধ্যেই সে কার্ডটি বানিয়ে নিয়ে এসেছে আমার জন্য। এরপর বলছে এখন পোস্ট করে দাও আমি উইনার হব। আমি তখন ওই মুহূর্তে বৃষ্টি আপুর পোস্টটি দেখছিলাম। তখন তাকে বললাম তুমি যদি উইনার হও তাহলে ইনি কি হবে?তখন ও বলল বৃষ্টি সেকেন্ড হবে আর সে প্রথম হবে।🤩
যাইহোক আমি পড়লাম বিপদে এখন কিভাবে তার তৈরি কার্ডটি প্রতিযোগিতায় দিব? কারণ প্রতিযোগিতায় অনেকগুলো রুলস থাকে। স্টেপ বাই স্টেপ দেখাতে হয়।তার তো কিছুই নেই। তাই তার এই কার্ডটা নিয়ে নরমাল একটি পোস্ট করে ফেললাম শুধুমাত্র তাকে খুশি করার জন্য। তাকে পোস্টটি দেখালাম। তখন সে বলল দেখবে আমি উইনার হব। সবাই আমারটাই পছন্দ করবে।
লাল যে ফুলটি দেখতে পাচ্ছেন, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম এই ফুল কিভাবে বানিয়েছ? তখন সে বলল ওর একটি খেলনা ফ্লাওয়ার থেকে পাঁপড়ি গুলো খুলে গ্লু দিয়ে লাগিয়েছে। সত্যি তার এই আইডিয়াটা আমাকে অবাক করেছে।
ভেতরে আবার একটু লেখাও আছে।
আমার মেয়ের তৈরি এই কার্ডটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম। আসলে আমার এই মেয়েটি কোন কিছু তৈরি করতে খুব পছন্দ করে। আমি যখন আর্ট করি তখন সেও আমার সাথে বসে বসে আর্ট করে। কোন কিছু আর্ট করলে বা কিছু তৈরি করলে বলে এটি পোস্ট করতে পারবে? বড় হলে নাকি সেও আমার মত স্টিমিট এ এ্যাকাউন্ট খুলে পোস্ট করবে। যাইহোক আশা করি ওর তৈরি কার্ডটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপনার ছোট মেয়ের আইডিয়া দেখে তো আমি নিজেও মুগ্ধ হলাম এবং সাথে অবাক হলাম। আপনি যখন এই কন্টেস্টের কথা তাকে বলেছিলেন, তখন সেও অংশগ্রহণ করবে বলে সুন্দর একটা কার্ড তৈরি করেছে আপনার জন্য এটা দেখে ভালো লাগলো। আপনার মেয়ে তাহলে উইনার হয়ে গেল আপু। কারণ তার নিজের উপর অনেক আত্মবিশ্বাস রয়েছে। তাই তো সেই আত্মবিশ্বাস থেকে বলেছে সবাই ওরটাই সিলেক্ট করবে। ভিতরে অনেক সুন্দর করে একটা লেখা ও লিখেছে। আপনার মেয়ের কাজ দেখে তো ভালো লাগলো।
আপনার ছোট মেয়ের আইডিয়া তো অনেক সুন্দর ছিল আপু। আপনি পোস্ট করার সময় আপনার ছোট মেয়ে আপনার পাশে এসে বসে থাকে অনেক সময় এবং পোস্ট দেখে জেনে ভালো লাগলো। সে নিজের হাতে একটা কার্ড তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ করেছে দেখে ভালো লেগেছে। আর তার খেলনা ফ্লাওয়ার এর পাপড়ি
নিয়ে ফুল তৈরি করেছে দেখে ভালো লেগেছে। সত্যি আপু আপনার মেয়ের হাতের কাজ এটা ভালো লেগেছে। এই কাজগুলো করার প্রতি তাকে সব সময় উৎসাহিত করলে সে ভালো ভালো কাজগুলো করতে পারবে। তারও ইচ্ছে রয়েছে বড় হলে এখানে কাজ করার এটা দেখে তো আরো ভালো লেগেছে।
আপু আপনার ছোট মেয়ে কিন্তু ভালোই বলেছে 😂। তবে আপনার ছোট মেয়ের আগ্রহ দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। কার্ডটি কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে, তাছাড়া কার্ডের ভিতরের লেখাগুলোও চমৎকার হয়েছে। আমার বিশ্বাস সে বড় হয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ডাই,অরিগ্যামি এবং আর্ট করতে পারবে। মোটকথা ভবিষ্যতে আমরা ভালো মানের একজন ব্লগার দেখতে পাবো। আপনার কাজ দেখতে দেখতে ক্রমাগত তার আগ্রহ আরও বাড়বে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে বাচ্চারা নিয়মিত যা দেখে তাই শিখে। এজন্যই তো আপনার ব্লগিং দেখে তারও ব্লগিং করার আগ্রহ নিয়ে বেড়েছে। তাছাড়া মাঝেমধ্যে দেখি সে আপনার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ডাই এবং আর্ট তৈরি করে। সে ঠিকই তো বলেছে এত ছোট বয়সে এত সুন্দর একটি কার্ড তৈরি করেছে ফাস্ট না হয় উপায় আছে। খুব সুন্দর হয়েছে কার্ডটি।। অনেক অনেক দোয়া রইল ওর জন্য।
আপনাকেও ভ্যালেন্টাইনস ডে এর শুভেচ্ছা জানাই আপু। আপনার জীবন যেন আরো বেশি সুন্দর এবং সুখময় হয়ে ওঠে সেই কামনা করি। আপনি তো অনেক লাকি আপু, আপনার ছোট মেয়ের নিজের হাতে তৈরি করা এত সুন্দর একটা গিফট পেয়েছেন। যদিও মেয়ের আবদারে আপনি এই পোস্ট করেছেন। তবে এটা কিন্তু অনেক ভালো লাগলো। আমরা নিজেরাও নতুন কিছু দেখতে পারলাম, সেটা শুধুমাত্র আপনার ভিতর সীমাবদ্ধ থাকলো না। ছোট হাতে তৈরি করলেও দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে।