মজাদার ছোট চিংড়ি মাছের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি মজাদার চিংড়ি মাছের একটি রেসিপি নিয়ে। আর এই চিংড়ি মাছগুলো অনেক ছোট। নরমালি আমরা বড় চিংড়ি মাছগুলো ভুনা করে থাকি। তবে এই রেসিপিটি একেবারে ভুনা নয়, সামান্য একটু ঝোল থাকবে। সিলেটে দেখেছি এই ছোট চিংড়ি মাছ গুলো এভাবে ভুনা করে। আর তখন থেকেই এই রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তাই আমিও আজ এই রেসিপিটি করে ফেললাম।খেতে কিন্তু দারুণ হয়েছিল। আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদেরও অনেক ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চিংড়ি মাছ | ২০০ গ্রাম |
পিঁয়াজ কুচি | দেড় কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৪/৫ টি |
টমেটো কুচি | হাফ কাপ |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
কারিপাউডার | দেড় টেবিল চামচ |
মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
তেজপাতা | ১ টি |
আস্ত জিরা | এক চিমটি |
সূর্যমুখী তেল | দেড় টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমে পেঁয়াজ, টমেটো ও কাঁচা মরিচ কেটে নিয়েছি। এরপর চিংড়ি মাছগুলো বের করে নিয়েছি বরফ ছাড়ানোর জন্য।এরপর বেছে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখেছি।
এরপর একটি হাঁড়িতে জিরা দিয়ে নেড়েচেড়ে তাতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, টমেটো ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি পেঁয়াজ গলে যাওয়ার জন্য।
এরপর পেঁয়াজ গলে গেলে সকল গুড়া মসলা গুলো দিয়ে অল্প আঁচে কয়েক মিনিট কষিয়ে নিয়েছি।
এরপর বেছে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে অল্প আঁচে দুই তিন মিনিট নেড়ে চেড়ে নিয়েছি।
এরপর এক কাপ পানি অ্যাড করে মিডিয়াম আঁচে ৫-৬ মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি।ব্যাস হয়ে গেলে আমার মজাদার চিংড়ি মাছের রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হ্যা রেসিপি টা দেখেও একটু ভিন্ন মনে হচ্ছে। অর্থাৎ পুরোপুরি ভুনা না ঝোল এর পরিমাণ বেশি। চিংড়ি মাছগুলো একেবারে ছোট। এগুলো কে কুচো চিংড়ি বলা হয়ে থাকে আমাদের দিকে। চিংড়ি মাছের রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন আপু। রেসিপি টা দেখে লোভনীয় লাগছে। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আমার প্রিয় রেসিপি গুলোর মধ্যে অন্যতম।আপনি অনেক বেশি লোভনীয় ভাবে চিংড়ি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন আপু।ধাপ গুলিও অত্যন্ত সুন্দর এবং সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন।সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ আপু।
চিংড়ি মাছের রেসিপি আমার অনেক অনেক ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে চিংড়ি মাছের রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে প্রস্তুত করে দেখিয়েছেন। আপনার চমৎকার এই রেসিপি আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। রেসিপির ধাপ গুলো বেশ সুন্দর ছিল আপু।
ছোট চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আর রেসিপি কালারটা অসাধারণ হয়েছে, দেখতে পেয়ে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে।
ছোট চিংড়ি গুলো বেশিরভাগ সময়ে শাক বা ভাজিতে খেতেই বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া বেশি পেঁয়াজ দিয়ে ভুনা করলেও খেতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু এভাবে কখনো ঝোলের মতো করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খুব মজাদার হয়েছিল। একদিন এরকম করে বাসায় রান্না করতে হবে। সিলেট থেকে বেশ মজাদার একটি রেসিপি শিখেছেন। ভালো লাগলো দেখে।
ঠিক বলেছেন আপু, বড় চিংড়ি গুলো ভুনা করলে খেতে কিন্তু ভালো লাগে। তবে আবার একটু ঝোল ঝোল করলেও কিন্তু অন্যরকম একটা মজা হয়। আর আজকে কিন্তু ছোট চিংড়ির ভুনাটাও দেখতে মজাদার মনে হচ্ছে। অনেক সময় এরকম একটু ঝোল করে রান্না করলেও ভীষণ ভালো লাগে খেতে। মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটাও মজাদার হয়েছে খেতে।
সেই ছেলেবেলা হতেই চিংড়ি মাছ আমার বেশ প্রিয়। আর যদি চিংড়ি মাছ ভূনা করে রান্না করা হয় তাহলে তো খেতে আরও বেশী স্বাদ লাগে। আপনি আজকে আপনার রান্না দেখে একদম মন ভরে গেল। বেশ সুন্দর করে আপনি আজকের চিংড়ি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখতে মনে হচ্ছে রেসিপিটি বেশ স্বাদের ছিল।
চিংড়ির যেকোনো রেসিপিই আমার ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর একটা চিংড়ির রিসিপি দিয়েছেন। দেখতে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি রিসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোট চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। বিশেষ করে রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে। লোভনীয় এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি সিলেটিদের কাছ থেকে অনেক মজার মজার রেসিপি শিখে ট্রাই করছেন । আপনার রেসিপি দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে । এরকম করে কখনো ছোট চিংড়ি মাছ রান্না করা হয়নি । চিংড়ি মাছের যে সুন্দর কালার এসেছে বোঝাই যাচ্ছে খুবই মজা হয়েছিল খেতে ।