অনেক ব্যস্তময় একটি দিন কেটে গেল
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
যেহেতু বাচ্চাদের স্কুল খুলেছে, আর দুজন দুই স্কুলে যাচ্ছে তাই এখন তাদের আনা নেয়ায় ব্যস্ততা আরও বেশি বেড়ে গিয়েছে। আগে দুজন একই স্কুলে ছিল আর ট্যাক্সিতে করে যাওয়া আসা করতো তাই বুঝতেই পারতাম না আনা নেয়া এত কষ্ট। আর এখন খুব বেশি গরম পড়েছে, ঘর থেকে বের হওয়া অনেক কষ্টকর। যাইহোক এখন ভোর সাড়ে পাঁচটায় উঠতে হয় ঘুম থেকে। ফজরের নামাজ পড়েই বাচ্চাদেরকে রেডি করে দিতে হয় স্কুলে যাওয়ার জন্য।প্রথমে ছোট মেয়েকে রেডি করে দেই ৭ টার সময় ।এরপর বড় মেয়েকে ৮ টার সময়। হাজবেন্ড নিয়ে যায় ছোট মেয়েকে আর আমি নিয়ে যাই বড় মেয়েকে। আজকে দুজনকে স্কুলে দিয়ে হাজবেন্ড আর আমি বের হই একটু দরকারি কাজে রেড হিল টাউন সেন্টারে। রেডহিল অনেক সুন্দর একটি শহর।এখানের হসপিটালে আমার দুটি বাচ্চা জন্মগ্রহণ করেছিল। কিন্তু এই শহরটাকে এর আগে ভালোভাবে দেখা হয়নি, আজকে দেখে বেশ ভাল লাগলো।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছেন কত গরম ও রোদ্র ছিল।
এরপর আমাদের জরুরী কাজগুলো শেষ করে স্ট্রিট শপ গুলোতে দেখলাম অনেক সুন্দর সুন্দর সবজি ও ফলমূল সাজিয়ে রেখেছে। সেখান থেকে হাজবেন্ড একটি তরমুজ, লেবু আর কিছু কমলা কিনে ফেলল। সেখানে অজানা কিছু ফল দেখতে পেলাম। একটি ফল দেখলাম গায়ে কেমন কাটা কাটা, ফলটির নাম লেখা ছিল মেলানো।
এরপর সেখান থেকে বের হওয়ার পর রাস্তায় দেখলাম বড় একটি গাড়িতে সমুদ্রের ফ্রেশ মাছ বিক্রি করছে। মাছের সাথে সামুদ্রিক আরও অনেক কিছু ছিল যেগুলো খাওয়া যায়। সবগুলো মাছ অচেনা শুধু শ্যামন মাছ ছাড়া। যেহেতু ঘরে ফ্রিজে অনেক মাছ রয়েছে তাই আর কেনা হয়নি।
এরপর আবার রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দেখি হালাল গ্রোসারী শপ লিখে একটি সাইন বোর্ড টানানো। সেখানে ঢুকে গেলাম, সেখান থেকে বাচ্চাদের জন্য কিছু ফ্রোজেন চিকেন নাগেট, চিকেন ফ্রাই, বার্গার এবং কাবাব কিনে নিলাম।
অনেক ক্ষুধার্ত ছিলাম দুজনেই কারণ সকাল বেলা আমরা না খেয়ে বের হয়েছিলাম বাচ্চাদেরকে স্কুলে দেওয়ার জন্য।আশপাশে হালাল কোন রেস্টুরেন্ট খুঁজেছিলাম নাস্তা করার জন্য কিন্তু পেলাম না। কিন্তু কি আর করা? বাসায় এসে বেলা বারোটার সময় দুজনেই নাস্তা করি। এরপর নাস্তা করেই চলে যাই কিচেনে রান্না করার জন্য। এরপর রান্না করেই জোহরের নামাজ পড়ে আবার দুজনে বের হয়ে যাই বাচ্চাদেরকে স্কুল থেকে আনার জন্য। স্কুল থেকে এনে খাওয়া দাওয়ার পর দুপুরে হ্যাংআউট এ জয়েন হই। কিন্তু শরীরটা খুব খারাপ লাগছিল তাই হ্যাংআউট থেকে বের হয়ে যাই। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট হালকা একটু ঘুমিয়ে যাই। ঘুম থেকে উঠে আবার চলে যাই গার্ডেনে পানি দেওয়ার জন্য। এরপর সন্ধ্যা লেগে যায়। যথারীতি বাকি কাজগুলো সেরে এশার নামাজ পড়ে আজকের পোস্টটি শেষ করলাম।
এভাবে অনেক ব্যস্ততার সাথে আজকের দিনটি কেটে গেল। এরপর দ্রুত বেডে যাই কারণ চোখ আর খুলে রাখতে পারছি না। আগামীকাল আবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় উঠতে হবে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
অনেক ব্যস্তময় একটি দিন পার করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাদের রেডি করানো থেকে শুরু করে স্কুলে দিয়ে আবার সেখান থেকে মার্কেটে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করে আবার তাদের স্কুল থেকে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে রান্নাবান্নায় অনেক সময় ব্যয় করেছেন। মানুষ আসলে সব সময় ফ্রি থাকে না কোন না কোন একটা সময় তাকে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে যেতে হয় সেটা হয়তো বা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণেই। যাইহোক আপনার এই ব্যস্তময় দিনের গল্পটা আমাদের মাঝে আপনি চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সারাদিনেই অনেক প্রেসারে ছিলেন, বাচ্চাদেরকে স্কুলে দেওয়া আবার স্কুল থেকে নিয়ে আসা। বাসার ছোটখাটো কাজ, বাগানে পানি দেওয়া তাছাড়া খাওয়া দাওয়া একটু এলোমেলো হলে শরীর বেশি ক্লান্ত হয়।
বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আবার সেটা যদি হয় এমন সুদর্শনীয় সমৃদ্ধশালী একটি রাষ্ট্রের বিষয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। যা হোক সেখানে যথেষ্ট ব্যস্তময় মুহূর্তের মাঝে আপনি ফটোগ্রাফি করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এতে আমি অনেক খুশি। ব্যস্তময় মুহূর্তের কারণে হ্যাংআউটের সঠিক সময় দিতে পারেননি এদিকে বাচ্চাদের জন্য খাবার কেনা পাশাপাশি বাগানে পানি দেওয়া এ থেকে বুঝতে পারলাম কতটা শরীরের উপর প্রেসার গেছে আপনার। তবু ও ভালো লাগলো বিস্তারিত বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ব্যস্ততার মাঝেও। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা করি যেন সর্বসময় আমাদের পাশে এভাবেই থাকতে পারেন।
ছোটজন যে আগে স্কুল বাসে যেত এখন ওর স্কুল বাস কি হয়েছে? তাছাড়া বড়জনের নতুন স্কুলে পিকআপ সার্ভিস নেই? তাহলে তো খুব কষ্ট হয়ে যাবে রোজ নেওয়া আনা করতে। আসলেই বেশ ব্যস্ততম একটি দিন পার করেছেন। এখন থেকে তো প্রতিদিনই এরকম ব্যস্ত দিন পার করতে হবে মনে হচ্ছে।
ছেলেমেয়েকে স্কুলে আনানেয়া করতে হলে সময়র্টা আসলে ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটে।এরপর আবার কিছু কেনাকাটা করলেন।বাইরে নাস্তা করার মতো খাবারও পাননি।এরপর ১২ টার সময় বাসায় এসে নাস্তা করলেন।এরপর আবার সেই রান্না। আবার মেয়েদের আনতে যাওয়া।খুব ব্যস্ত সময়ই কাটালেন। আশাকরি এতো ব্যস্ততার ভীড়ে ও নিজের যত্ন করবেন।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
সারাদিন অনেক ব্যস্ততার মাঝে সময় কাটিয়েছেন।সকালে রান্না বান্না শেষ করে বাচ্চাদের ঘুম থেকে উঠিয়ে স্কুলের জন্য রেডি করে দেওয়া এবং বাসার টুকি টাকি কাজ গুলো করতে হয়।ব্যস্ততার মাঝে কাটানো অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
দুজনকে দুই স্কুলে যেতে হয় বলে এখন ব্যস্ততা আরও বেড়ে গেছে আপু। দুজনে মিলে পুরোটা দিন অনেক ব্যস্ত ছিলেন বুঝতে পারছি আপু।মেলানো ফলটি আজকে প্রথম দেখলাম। ফলটি দেখতেও একেবারে আলাদা রকমের। একদিকে ব্যস্ততম দিন কাটিয়েছেন অন্যদিকে বাহিরে সত্যি অনেক রোদ ছিল। আপু আপনি পুরোটা দিন ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়ে আমাদের মাঝে এই পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
খুবই ব্যস্তময় একটি দিন কাটিয়েছেন আপু। বাচ্চাদের স্কুলে আনা নেওয়া করতে হলে আসলেই ব্যস্তময়ই দিন কাটে। মেলানো ফলটি প্রথম দেখলাম এবং নামও প্রথম শুনলাম। যাইহোক, আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপু তাহলে তো আপনি এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন ।আসলে দুই বাচ্চা দুই স্কুলে এটা তো খুবই সমস্যার ব্যাপার হয়ে গেল ।তারপর আবার দুজনকে নিয়ে যেতে হবে আবার নিয়ে আসতে হবে বিষয়টা সত্যি অনেক সময়ের ব্যাপার ।তার পরেও দুজনে বাচ্চাদেরকে স্কুলে দিয়ে বেশ ঘুরে ফিরে বেরিয়েছেন এবং কেনাকাটা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে মেলানো ফলটি দেখতে যেমন নামটিও তেমন অদ্ভুত। খেতে না জানি কেমন হবে। আপনারা কিনেছিলেন নাকি জানতে পারলাম না।বেশ ভালো ছিল প্রতিটি ফটোগ্রাফি।ধন্যবাদ
আসলে আপু বাচ্চাদের প্রতি প্রত্যেকটি মায়ের অনেক দায়িত্ব থাকে। আপনিও যেমন প্রতিদিন আপনার মেয়েদেরকে স্কুলে দিয়ে আসছেন এবং নিয়ে আসছেন এবং সংসারের অনেক কাজকর্ম করছেন সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ততার মাঝে দিন পার করেছেন জানতে পারলাম। আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম একই হসপিটালে আপনার দুটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে পোস্টি লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।