রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে। সপ্তাহে একদিন চেষ্টা করি ফটোগ্রাফির পোস্ট করতে।পোস্টে একটু ভিন্নতা না থাকলে দেখতে ভালো লাগে না,তাই চেষ্টা করি একটু ভিন্নতা আনতে।যাইহোক আজকে হাজির হয়েছি রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে।গত মঙ্গলবার লন্ডনে বড় ভাসুরের বাসায় গিয়েছিলাম।এছাড়া সেখানে হাজব্যান্ডের আরো কিছু কাজ ছিল, এ কারণে কিছু ফটোগ্রাফি নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল।এই ফটোগ্রাফিগুলো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
আমাদের যাত্রাটি ছিল ট্রেনে।আমাদের বাসা থেকে প্রথমেই চলে যাই হোয়াইট চ্যাপলে।বাসা থেকে হোয়াইট চ্যাপলে যেতে প্রায় দেড় ঘন্টার মত সময় লাগে।যেহেতু দেড় ঘন্টার জার্নি তাই ট্রেনে এ ধরনের জার্নি আসলে খুবই ভালো লাগে। বাচ্চারা খুব এনজয় করে ট্রেন জার্নি।যাইহোক হাসব্যান্ডের জরুরী কিছু কাজ সেরে আমরা চলে যাই হোয়াইট চ্যাপলের কাঁচা বাজারে।
হোয়াইট চ্যাপলের কাঁচা বাজার।
যাবতীয় শাকসবজি সহ ফলমূল সবকিছুই বিক্রি হয় এখানে। বাঙালিরাই এখান থেকে কেনাকাটা করে থাকে।এছাড়া ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানিরা ও কিছু কিছু শপিং করে এখান থেকে। মূলত হোয়াইট চ্যাপল হচ্ছে বাংলাদেশীদের প্রাণকেন্দ্র। এখানে বেশি বাংলাদেশীরা বসবাস করে।এখান থেকে কিছু শাক-সবজি কিনে নিলাম।এ শাক সবজির বেশিরভাগই আসে বাংলাদেশ থেকে। এছাড়াও এখানে কেউ কেউ নিজ বাগানে কিছু সবজি চাষাবাদ করে সেখান থেকে এখানের দোকানিদের কাছে বিক্রি করে।আর সেই সবজিগুলো বেশি টাটকা হয়।
কেনাকাটা ও কিছু কাজকর্ম সেরে যখন বড় ভাসুরের বাসায় দোতালা বাসে করে যাচ্ছিলাম।
বাসে কোথাও যেতে গেলে আমার মেয়েরা আগে দোতলা বাসে উঠে বসবে।নিচতলা তাদের মোটেও ভালো লাগেনা।আমারও দোতলা বেশি ভালো লাগে।যখন শহরের মধ্য দিয়ে এই বাসগুলো চলতে থাকে তখন চারিপাশের পরিবেশ দেখতে খুবই ভালো লাগে।আর পরিষ্কারভাবে সবকিছু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
কত সুন্দর বড় একটি পাথরের টব।এই টবে ফুল ফুঁটলে দেখতে দারুন লাগতো।যে গাছ লাগানো হয়েছে তাতে কোন ফুল নেই। জানিনা এটি কি গাছ।
ভাশুরের বাসায় বাচ্চারা যখন মার্বেল দিয়ে খেলছিল তখন এই ফটোগ্রাফি দুটি নিয়েছিলাম। দারুণ রংবেরঙের মার্বেলগুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আগে যখন গ্রামে যেতাম তখন রাস্তাঘাটে মার্বেল নিয়ে ছেলেপেলেদের খেলতে দেখতাম। যদিও খেলা কিছুই বুঝতাম না, কিন্তু মার্বেল আমার খুবই ভালো লাগতো। ছোটবেলায় রাস্তাঘাটে কোথাও যদি মার্বেল পেতাম তখন সেগুলো কুড়িয়ে বাসায় নিয়ে আসতাম। মার্বেল আমার খুবই ভালো লাগতো।
সব শেষে নিচে যে সুন্দর টয়োটা গাড়িটি দেখতে পাচ্ছেন এটি আমার ভাসুরের বড় ছেলের। ৪২ হাজার পাউন্ড দিয়ে গাড়িটি কিনেছে (এক পাউন্ড সমান বাংলাদেশী টাকার ১৫৫ টাকার মতো)।গাড়িটির বেশি সুবিধা হচ্ছে এটি ইলেকট্রিক, শুধু চার্জ দিলেই হয়ে যায়।ফুল চার্জ দিতে ২০ পাউন্ডের মত খরচ হয়।তবে এই গাড়ির অসুবিধাও আছে, যাত্রা পথে চার্জ ফুরিয়ে গেলে তখন পড়তে হবে বিপাকে।তাই হিসাব করেই রাস্তায় বের হতে হবে যে কত ঘন্টা চার্জ থাকবে।আসলে গাড়িটি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, তাই এ কারণেই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
লন্ডনে হোয়াইট চ্যাপল বাংলাদেশীদের প্রাণকেন্দ্র এই কথাটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। দোকানের মধ্যে সবজিগুলোর ফটোগ্রাফি টা দেখেই মনে হচ্ছিল এটা বাংলাদেশীদের হবে। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। পাথরের টব টা তো দেখতে খুব সুন্দর। আর সাইজেও বেশ বড় মনে হচ্ছে। মার্বেলের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু, ফটোগ্রাফি গুলো পুরোপুরি স্বচ্ছ ভাবে উপস্থাপন করেছেন যার কারণে বেশি ভালো লেগেছে। আপনার ফটোগ্রাফি করার দক্ষতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু চমৎকার লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো। আর ফটোগ্রাফির সাথে সাথে বর্ননা গুলো তুলে ধরেছেন পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। বাইরের দেশের দোতলা বাস গুলো সত্যি ই খুব ভালো। লাগে। তাইতো আপনার মেয়েরা সেখানেই বসতে পছন্দ করে।আপু আপনার মতো আমার ও মার্বেল খুব ভালো লাগে।আমিও মার্বেল পেলে তুলে নিয়ে আসতাম বাসায়।আর আপনার ফটোগ্রাফির মার্বেল গুলো কালারফুল তাইতো আরো বেশী ভালো লেগেছে আপনার।চমৎকার বর্ননার মাধ্যমে সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এত সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো দেখতে খুব ভালো লাগতেছে। এই ধরনের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আমি অনেক পছন্দ করি দেখতে। শাকসবজির দোকানে তো দেখছি কমবেশি সব শাকসবজি রয়েছে। আর ওখানকার ওই জায়গাটা বাংলাদেশীদের প্রাণ কেন্দ্র, এই বিষয়টা জানতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। গ্রামের দিকে কিন্তু মার্বেল দিয়ে এখন খুব কমই খেলা হয় দেখি। তবে এটা আগে বেশি খেলা হতো দেখতাম। খুব সুন্দর হয়েছে সবগুলো ফটোগ্রাফি।
হোয়াইট চ্যাপলের কাঁচা বাজার দেখে তো মনে হচ্ছে বাংলাদেশের কোনো সবজির দোকান। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে আপু। গাড়িটা আসলেই খুব সুন্দর। ইলেকট্রিক গাড়ির সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও আছে। ছোটবেলায় রংবেরঙের মার্বেল দিয়ে কতো খেলেছি। যাইহোক প্রতিটি ব্লগারের উচিত পোস্টের মধ্যে ভ্যারিয়েশন আনা। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।