মজাদার সুজির বরফি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে একেবারে সহজ একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। এসিপিটি হচ্ছে সুজির বরফি। সুজির হালুয়া/ বা বরফি আমরা কম বেশি সকলেই খেয়ে থাকি।তবে এই হালুয়া গুলো বেশি বানানো হতো শবেবরাতে। এখন আর সেই দিনগুলো নেই। খুব ভালো লাগতো খেতে সুজির বরফি, ছোলার ডালের বরফি, পেঁপের বরফি। আর সাথে চালের রুটি। এখন আর কেউ এভাবে বানায় না। এবার শবে বরাতে আমার খুব ইচ্ছে হয়েছিল এগুলো খেতে। তাই শুধু নরমাল এই সুজির বরফি আর রুটি বানিয়ে ছিলাম। আমার হাজবেন্ডের তো খুবই ভালো লেগেছে। সে বলেছে আরো বানিয়ে রাখতে। এছাড়া আরো বলেছে এবার প্রথম রোজায় আমি যেন এই হালুয়া বানিয়ে দেই তার রেস্টুরেন্টের স্টাফ এর জন্য। যাইহোক আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
সুজি | ২ কাপ |
পানি | ১ কাপ |
গুঁড়া দুধ | দেড় টেবিল চামচ |
দারচিনি | ৩/৪ টি |
চিনি | হাফ কাপ |
ঘি | ৩ মিনিট |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমে একটি হাঁড়িতে ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে তাতে দারচিনিগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে তাতে সুজিগুলো দিয়ে দিয়েছি ভেজে নেওয়ার জন্য। এ সময় অনবরত নাড়তে হবে যেন নিচে না ধরে যায়।
এরপর যখন ভাজা ভাজা হয়ে যাবে তখন তাতে চিনি অ্যাড করে দিয়েছি। এরপর ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে গুঁড়ো দুধ অ্যাড করে দিয়েছি।
এরপর গুঁড়ো দুধ দিয়ে কয়েক মিনিট নেড়েচেড়ে নরমাল তাপমাত্রার পানি অ্যাড করে দিয়েছি। এরপর অল্প আঁচে চার পাঁচ মিনিট আরও নেড়েচেড়ে ঘি অ্যাড নিয়েছি।
এরপর ঘি দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে যখন হাঁড়ি থেকে সুজি গুলো উঠে এসেছে তখন নামিয়ে নিয়েছি। এরপর সুজিগুলো একটু ঠান্ডা হলে তার কিছু অংশ একটি বোর্ডে নিয়ে সমান করে নিয়েছি।
এরপর ছুরি দিয়ে এভাবে বরফির মত কেটে নিয়েছি। এরপর বাকি সুজিটুকু আবার এভাবে সমান করে তা কুকি কাটার দিয়ে বিভিন্ন শেপে কেটে নিয়েছি।
ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার বরফির রেসিপি।
এরপর কাজুবাদাম ছিটিয়ে দিয়েছি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু আপনার এমন রেসিপি দেখে সেই ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আগে কত রকমেরই না বরফি খাওয়া হতো। যাই হোক আপু বেশ সুন্দর করে শবেবরাতে বরফি করে নিয়েছেন। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচেছ যে কতটা স্বাদের হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সুজির বরফি তৈরির রেসিপি। আসলে এই রেসিপি আমাদের সকলের কাছে কম বেশি বেশ পরিচিত। কিছুদিন আগেও এই রেসিপি বাড়িতে তৈরি করে খেয়েছিলাম বেশ সুস্বাদু ছিল। আপনার তৈরির রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশি সাধু হবে আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি তো দেখছি অনেক মজাদার সুজির বরফি রেসিপি তৈরি করেছেন। সুজির বরফি আমার কয়েকবার খাওয়া হয়েছে। এটা অনেক বেশি মজাদার হয়ে থাকে। ভাইয়ার কাছে এটা অনেক বেশি ভালো লেগেছিল জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু। আশা করছি আপনি এটা উনার রেস্টুরেন্টের স্টাফদের জন্য হালুয়া তৈরি করবেন। আমি এটা নিজ হাতে কখনো তৈরি করে খাইনি, ভাবছি একবার হলেও এরকম ভাবে এটা তৈরি করব। আশা করছি অনেক বেশি মজা করে খাওয়া যাবে।
আপু এটা আসলেই ঠিক ৷আমার বাড়ির পাশে অনেক মুসলিম একসাথে বসবাস করি ৷ আমি বিগত বছর গুলিতে দেখেছি ৷ চালের গুরা দিয়ে রুটি হালুয়া এসব বানাতো ৷
এখন না কি এসব খাওয়া যায় না ৷ঠিক জানি না কেনো ৷
যা হোক. আপনার তৈরি করা রেসেপিতে মজাদার সুজির বরফি করেছেন ৷ সুজি তো খেয়েছি তবে এভাবে করে খাওয়া হয় নি ৷ইউনিক মজাদার সুজির বরফি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
সুজির বরফি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার এই রেসিপি তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। একই সাথে সুজির বরফি তৈরির বর্ণনা গুলো খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অত্যন্ত সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ্! বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। সুজির হালুয়া বা বরফি আমার খুব পছন্দ। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, ছোটবেলায় দেখতাম শবে বরাতের দিন চালের রুটি, সুজির হালুয়া, বুটের হালুয়া এবং আরও অনেক কিছুই তৈরি করা হতো প্রায় প্রতিটি বাড়িতে। কিন্তু এখন এসব খুবই কম দেখা যায়। যাইহোক আমাদের ভাইয়ার খুব ভালো লেগেছে এই রেসিপিটা,এটা জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সত্যিই আপু আগের মতো শবে বরাতে তেমন কেউ আর হালুয়া রুটি বানায় না।আর বানালেও ঘরে ঘরে আর বিলি করা হয়না।আমরা যেমন আনন্দ নিয়ে করতাম ছেলেবেলা।আমার তো ছোলার ডালের বরফি ভীষণ প্রিয়।আপনি সুজির বরফি করেছেন।এই বরফি খেতে ও ভীষণ মজার।আপনি খুব সুন্দর ভাবে বরফি তৈরি করার ধাপগুলো তুলে ধরেছেন। সাথে কাজু বাদাম দিলে এর টেস্ট আরো বৃদ্ধি পায়।আমি এর টেস্ট বাড়াতে নারিকেল কুড়ানো ও দেই।আরো বেশী স্বাদের হয়।ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সুজির বরফি খেতে ভীষণ মজা লাগে। লাভ সেপের বরফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ মজা হয়েছিলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপু বেশ দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেল। কারণ সুজির বরফি আমার মনে হয় সবারই পছন্দ। আমারও অনেক প্রিয়। তবে এটি আপনি ঠিক বলেছেন আপু শবে বরাতে আগের মত কেউ এভাবে তৈরি করে না।তবে আগের সময়টা অনেক আনন্দ ছিল। যাক ভাইয়ার সুজির হালুয়া ভালো লেগেছে খেতে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মুখ রুচি মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। বেশ কিছুদিন আগে ছোলা দিয়ে তৈরি বরফি খেয়েছি। অনেক মজাদার ছিল বরফিটি। সুজি দিয়ে তৈরি বরফি ও খেয়েছি তবে ছোলার বরফি টাই বেস্ট মজার।আজকে আপনার বরফি রেসিপি দেখে মনে আছে অনেক মজাদার হয়েছে। আশা করছি অনেক মজা করে খেয়েছেন।