"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪১ || বাঁধাকপি, ডিম ও ডাল দিয়ে মজার পকোড়া রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
*আজকে আমি আবারও হাজির হয়ে গেলাম "আমার বাংলা ব্লগের" ৪১ তম কনটেস্ট এ অংশগ্রহনের মাধ্যমে।এডমিন প্যানেল এত চমৎকার একটি কনটেস্ট এর আয়োজন করেছেন যে অংশগ্রহন না করে আর পারলাম না।সাধারনত রেসিপির কনটেস্ট দেখলে আর চুপ করে বসে থাকতে পারিনা।যদিও “আমার বাংলা ব্লগ” এ অনেক ট্যালেন্টেড কন্টেস্টেন্ট রয়েছে, তাদের কাছে আমি কিছুই না। তারপরও আমি অংশগ্রহণ করি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমার খুব ভালো লাগে।অনেক ইনজয় করি।আর কনটেস্ট এর বিষয়টিও ছিল খুব সহজ যা দেখে আর বসে থাকা সম্ভব হয়নি।হ্যাঁ বন্ধুরা বাঁধাকপি, ডিম ও ডাল দিয়ে মজার পকোড়ার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। পাকোড়া এমনিতেই ছোট বড় সকলেরই অনেক পছন্দের।আমারও অনেক পছন্দের। নরমালি বাঁধাকপি দিয়ে আমরা অনেকেই পাকোড়া বানিয়ে থাকি, কিন্তু আজকে একটু ব্যতিক্রম করে তৈরি করেছি। বাঁধাকপির সাথে ডিম ও মসুরের ডাল এ্যাড করেছি।খুবই মজার হয়েছিল আমার তৈরি এই রেসিপিটি।আসা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বাঁধা কপি | ১টি বড় সাইজের এক চতুর্থাংশ |
ডিম | ৪ টি |
ডাল | হাফ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৩ টি |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
ধনেপাতা কুচি | ১ কাপ |
চালের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
বেসন | ২ টেবিল চামচ |
চিলি ফেলেক্স | দেড় টেবিল চামচ |
চাট মসলা | দেড় টেবিল চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনে গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদ মতো |
সয়াবিন তেল | ভাঁজার জন্য। |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই ডালগুলো ব্লেন্ডারে গুড়া করে তাতে হালকা পানি অ্যাড করে দুই ঘন্টার জন্য রেখে দিয়েছি। একই সাথে দুই টেবিল চামচ ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি।
এরপর পেঁয়াজ,ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।
এরপর বাঁধাকপি কুচি কুচি করে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে তাতে লবণ অ্যাড করে মাখিয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি। এরপর ১০ মিনিট পরে হাত দিয়ে চিপে পানি গুলো ফেলে দিয়েছি।
এরপর চারটি ডিম সিদ্ধ করে তিনটি ডিম এভাবে লম্বালম্বি করে কেটে নিয়েছি এবং আরও একটি ডিম এভাবে গোল গোল করে কেটে নিয়েছি।
এরপর সমস্ত উপকরণ একসাথে মাখিয়ে নিয়েছি। এরপর সেখান থেকে সামান্য একটু নিয়ে হাতের সাহায্যে এভাবে গোল করে নিয়েছি।
এরপর এতে এক পিস ডিম দিয়ে এভাবে হাতের সাহায্যে লম্বা করে শেপ দিয়ে নিয়েছি।
এভাবে সবগুলো ডিম করে নিয়েছি এবং বাকি যে ডিমটি গোল করে কেটেছিলাম তা দিয়ে গোল আকৃতির করে নিয়েছি। এরপর একটি ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে নিয়েছি।
এরপর একে একে সবগুলো মিডিয়াম আঁচে রেখে বাদামী বর্নের করে দুপাশ ভেজে নিয়েছি।
হয়ে গেল আমার বাঁধাকপি, ডিম ও ডাল দিয়ে মজার পাকোড়ার রেসিপি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মধ্যেও কিন্তু অন্য রকম আনন্দ রয়েছে। আর আপনি বাঁধাকপি, ডিম ও ডাল দিয়ে এই মজার পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে লোভ লেগে গিয়েছে। আপনি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন দেখে মজার একটা রেসিপি শিখে নিতে পেরেছি। আপনি শেষে ডেকোরেশনটাও অনেক সুন্দর ভাবে করেছেন। আর আপনার রেসিপিটা দেখেও অনেক বেশি মজাদার এবং সুস্বাদু মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে বাচ্চারাও খুব মজা করে খেয়েছিল।
আসলে রেসিপি প্রতিযোগিতা হলে মেয়েদের অনেক সুবিধা হয় কারন তারা নিজ হাতে রান্না করে আর মজার মজার সব রেসিপি তৈরি করতে পারে। যাইহোক আপনি আজকে একটি নতুন আঙ্গিকে পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। ডাল বাঁধাকপি আর ডিম একসাথে করে পাকোড়া তৈরি করেছেন দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু।
আপনার তৈরী পকোড়াটি দেখতে খুব সুস্বাদু লাগছে।আমিও মাঝে মাঝে এভাবে পকোড়া তৈরি করে খাই। অনেক মজা লাগে গরম গরম খেতে। আপনাকে এমন একটি সুন্দর রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপু।
আপু আমার কিন্তু আপনার এই বিষয়টি বেশ পছন্দ। আপনি কমিউনিটির প্রতিটি প্রোগ্রামে আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। অথচ অনেক ইচ্ছে আর আগ্রহ থাকার পরও আমি অংশ গ্রহণ করতে পারিনা। সে যাই হোক। অনেক সুন্দর একটি ইয়াম্মী ডিস নিয়ে আপনি আজ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করলেন। রেসিপিতে আপনার ব্যবহার করা প্রতিটি আইটেমই কিন্তু বেশ পুষ্টিকর। আর এতগুলো পুষ্টিকর আইটেমের সম্বনয়ে যে রেসিপি তৈরি করা হয়েছে সেটা অবশ্যই বেশ ইয়াম্মী এবং সুস্বাদু হবে। শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি।
ডিম, ডাল দিয়ে মজার একটি ইউনিক পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপির পরিবেশন চমৎকার হয়েছে ।ইউনিক ছিল একদম, পাকোড়া তৈরির প্রক্রিয়া সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু এটা ঠিক বলেছেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করলে আসলে ভালো লাগে না। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অভিনন্দন আপু।আপনি দারুন স্বাদের বাঁধাকপি, ডাল ও ডিমের মজার পাকোড়া নিয়ে হাজির হয়েছেন।দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে।খেতেও মজার হয়েছে।আমি শুধু বাঁধাকপি দিয়ে পাকোড়া করি।আপনি সাথে ডাল আবার মাঝে ডিম দিলেন। এর স্বাদ তো আরো দ্বিগুন বৃদ্ধি পেলো।ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আশাকরি সকলের এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সত্যি আপু আমার বাংলা ব্লগে অনেক ট্যালেন্টেড পার্সন আছে। তবে আপনিও কিন্তু কম নন। আপনিও সব সময় দারুন দারুন রেসিপি নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হন। আপনার রেসিপি গুলো সত্যি অনেক ভালো লাগে আপু। বাঁধাকপি, ডিম ও ডাল দিয়ে মজার পকোড়া তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। 👌👌👌👌
বাঁধাকপির, ডিম এবং ডাল দিয়ে ইউনিক একটি পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। বিশেষ করে রেসিপিটির ডেকোরেশন আমার অনেক ভালো লেগেছে।এবং রেসিপিটি আমাদের মাঝে এমন ভাবে শেয়ার করেছেন যে, যা দেখে আমরা খুব সহজেই এটি বাসায় তৈরি করতে পারব। পাকোড়ার ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপু পাকোড়া আমার খুবই পছন্দের। আর যদি হয় গরম গরম তাহলে তো কোন কথাই নেই একেবারে। আপনি বেশ ইউনিক পদ্ধতিতে পাকোড়া তৈরি করে অংশগ্রহণ করেছেন এই প্রতিযোগিতা টিতে যা দেখে খুব ভালো লাগলো আমার কাছে। শেষে ডেকোরেশনটা দেখছি খুবই সুন্দর করে করেছেন। বাঁধাকপি ডাল ও ডিম দিয়ে তৈরি করার কারনে মনে হয় খুবই মজাদার এবং ইয়াম্মি হয়েছিল।
আপু পাকোড়ার রেসিপি দেখে তো মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই খেতে অনেক মজার হয়েছিল। কারণ আপনি মজাদার কিছু উপকরণ অ্যাড করলেন পাকোড়া তৈরিতে। কারণ মসুরের ডাল দেওয়াতে অনেক ক্রিপসি হবে এবং খেতে অনেক মজার হবে। অনেক ভালো লেগেছে আপু আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তাই।