স্কুলে সেলাই শিখা
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি বাচ্চাদের স্কুলে সেলাই শেখা প্রসঙ্গে কিছু কথা নিয়ে। টুকটাক সেলাই শেখা আমাদের সকলেরই খুবই দরকার কারণ কখনো কখনো নিজের ছোটখাটো প্রয়োজনে সেলাই অবশ্যই দরকার হয়। বাংলাদেশে যখন স্কুলে ছিলাম তখন এইট নাইনের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান সাবজেক্টে সেলাই শেখানো হতো।তার আগে কখনোই সুই সুতা হাতে নেইনি। তাই ছোটখাটো কিছু সেলাই জানি, কিন্তু মেশিন দিয়ে কাপড় সেলাই করতে পারি না। আর এই দেশে বাচ্চাদেরকে সেই ছোটবেলা থেকেই ঘর গোছানো থেকে শুরু করে রান্না, সেলাই, সুইমিং আরো যাবতীয় নানান ধরনের কার্যকলাপ গুলো শেখানো হয়। বাংলাদেশে এই কাজগুলো শুধু মেয়েদেরকে শেখানো হয়, কিন্তু এদেশে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরকেও ছোটবেলা থেকে স্কুলে এই কাজগুলো শেখানো হয়।এ কারণেই এদেশের প্রতিটি ছেলে মেয়ে কমবেশি টুকটাক ভালোই সেলাই জানে।
ক্লাস টু থেকেই বাচ্চাদের হাতে সুই ও সুতা তুলে দেয়া হয়। দেখে অবাক হয়ে যাই খুব সুন্দর করে তারা সুই এর মধ্যে সুতা ভরে ফেলে। স্কুলে একটু একটু করে শেখানো হচ্ছে। ছোট মেয়ে অবশ্য এখনো ভালোভাবে শিখে ওঠেনি। কিন্তু বড় মেয়ে দেখলাম বেশ ভালই সেলাই করছে। তবে এখনো পারফেক্ট হয়ে ওঠেনি, আরো সময় লাগবে। কিন্তু সেদিন ও যা তৈরি করেছে তা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ। খুব সুন্দর একটি সোফার কুশন তৈরি করেছে। টিচার ইন্সট্রাকশন দিয়েছেন, ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী সে তৈরি করে ফেলেছে। বাসায় এনে যখন আমাকে দিল আমি তো অবাক। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কে তৈরি করেছে, তুমি তৈরি করেছ? সে উত্তর দিল কে আবার তৈরি করবে, আমি নিজেই তৈরি করেছি।আমার কাছে তার তৈরি কুশনটা এতই ভালো লেগেছে যে আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না।
প্রথমেই স্কেল দিয়ে মেজার করেছে, এরপর সিজার দিয়ে কাপড় কেটে সেলাই করেছে। হার্ট শেপের একটি কুশন তৈরি করেছে। এরপর কিছু ডিজাইন ও করেছে, তার নামের প্রথম অক্ষর বানিয়েছে।কাপড় কেটে সুন্দর করে সেলাই করে লাগিয়ে দিয়েছে।
পিছনেও বড় বড় করে সেলাই করে “এ” অক্ষর লিখেছে।
এটি আমার ছোট মেয়ের কাজ। সে সবেমাত্র শেখা শুরু করেছে। এই বয়সে বাচ্চাদের হাতে সুই তুলে দেওয়া আমাদের জন্য অনেক ভয়ের ব্যাপার, কিন্তু স্কুলে কত সহজ ভাবে তাদেরকে শেখানো হচ্ছে।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাহ্ আপু আপনার ছোট মেয়ে অনেক সুন্দর করে কাজ শিখতেছে। আপনি ভয় পাবেন না। আসলে ছোট রা এখন খুব তাড়াতাড়ি যে কোন শিখে ফেলে। নতুন একটি বিষয়ে জানতে পারলাম। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
আপু আমরা মায়েরা ভয় পেয়ে কিছু করতে না দিলেও স্কুল কিন্তু তাদের অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেছে।যা কিনা আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখতে পেলাম।বড় মেয়ে আর ছোট মেয়ে দুজনের কাজই সুন্দর হয়েছে। এতো অল্প বয়েসে এটাই বা কম কিসে।খুব ভালো লাগলো দু মেয়ের হাতের কাজ দেখে।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অভিনন্দন আপনাকে। শুভকামনা রইলো আপনার আর আপনার পরিবারের উপর।
প্রত্যেকেরই টুকটাক হাতের কাজের মধ্যে সেলাই শেখা খুবই প্রয়োজন ,আমি আপনার সঙ্গে সহমত আপু।আপনাদের দেশে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের রান্না, সেলাই, সুইমিংসহ বিভিন্ন কাজ শেখানো হয় এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো।কারন বাইরের দেশগুলোতে ছেলে ও মেয়েদের সমান সম্মান দেওয়া হয়।আপনার বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ে প্রথমত ভালোই সেলাই করেছে।সুই থেকে সাবধানে কাজ করাটা ও জরুরী, ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালোই বুঝতে পারলাম দুই মেয়ের এত সুন্দর কাজ শেখায় আপনার মধ্যে একটি অন্য রকমের অনুভূতি কাজ করছে। সত্যি বলতে ওসব দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাই অন্য রকমের। যেখানে বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েদের ঘরের কার্যাবলী বেশ সুন্দর করে শেখানো হয়। আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো বুঝা যাচেছ যে আপনার দুই মেয়েই দিনে দিনে সব কাজে পারদর্শী হয়ে উঠছে। শুভ কামনা রইল তাদের প্রতি।
টুকটাক সকলেরই কিছু সেলাই কাজ শেখা দরকার। এই কথাটার সাথে আমি পুরোপুরি একমত আপু। মেয়েরা যদি সেলাইয়ের কাজ কিছুটা শেখে তাহলে নিজের বাড়ির বা ঘরের টুকিটাকি কাজগুলো তারা নিজের হাতেই করতে পারে। অনেক সময় অল্প কিছু কাজের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। কিন্তু নিজে যদি এগুলো শিখে রাখা যায় তাহলে খুব সহজেই নিজ হাতেই করা যায়। আপনি স্কুলের সেলাই শিখেছেন সেই শিক্ষাই এখন কাজে লাগাতে লাগছে। কোন কিছু শিখে রাখলে তাতে কোন ক্ষতি নেই বরং সেটা নিজের জন্য উপকার।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে ও দেশে ছেলে-মেয়ে সকলকেই সকল রকম শিক্ষায় খুব ছোটবেলা থেকেই বড় করা হয়। যদিও বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা একটু ভিন্ন। বাচ্চারা নতুন কোন কাজ শিখলে মা-বাবার অনেক বেশি ভালো লাগে যেটা আপনার এই পোস্ট দেখেই বুঝলাম। কাজ যত ছোট হোক না কেন সেটা যদি সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হয় তাহলে খুবই ভালো লাগে সেটা দেখতে যেমন আপনার মেয়ে আজকে খুবই চমৎকারভাবে একটি সেলাই আপনার সামনে উপস্থাপন করেছে। সত্যিই দেখতে অনেক বেশী সুন্দর দেখাচ্ছে ভবিষ্যতে আরো বেশি সুন্দর সুন্দর সেলাই আপনাকে উপহার দেবে বলে আশা রাখি।
আপু, আপনাদের ওখানে সুই ও সুতার কাজ শেখায় এটা জেনে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আসলে ওখানকার শিক্ষা ব্যবস্থাটা হলো একটি জীবনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা। আর কুশনটি দেখতে কিন্তু খুবই সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে কুশন এর উপরে নকশাগুলো দেখতে সবচাইতে বেশি ভালো লাগছে। যাহোক ,দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।