আমার বাগানের আপডেট ( ফটোগ্রাফি পোস্ট)
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আবার অনেকদিন পর আমার বাগানের আপডেট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। এইতো আর মাত্র কয়েকটা দিন এরপর শুরু হয়ে যাবে ঠান্ডা। আমার গার্ডেনিং শেষ হয়ে যাবে। মাত্র চার থেকে ৫ মাস গার্ডেন উপভোগ করা যায়। এই মাসের শেষের দিকে ঠান্ডা পড়া শুরু হয়ে যাবে। তখন বাগানে আর কোন গাছপালা থাকবে না, শুধু ফল গাছগুলো ছাড়া। ফলের গাছগুলোও পড়ে থাকবে মরা গাছের মতো। গাছে কোন পাতা থাকবে না।প্রচন্ড শীতে গাছগুলোর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তখন আর বাগানে যাওয়া হয় না গরম না আশা পর্যন্ত। যাইহোক এবার চলে যাচ্ছি মূল পর্বে সেই শুরু থেকে বীজ থেকে চরা উৎপাদন এবং চারা থেকে শুরু করে গাছের ফল পর্যন্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এখন এবছর প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি। আবার আগামী বছর যদি আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখে তাহলে আবার আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার বাগানের আপডেটগুলো। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি এই মুহূর্তে আমার বাগানের যতগুলো ফুল,ফলমূল ও শাক-সবজি রয়েছে তার ফটোগ্রাফি গুলো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে চলুন উপভোগ করা যাক তাহলে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো।
প্রথমেই ভালোবাসার প্রতীক ফুল দিয়ে শুরু করলাম।
বর্তমানে এই দুই প্রকারের গোলাপের ফুল রয়েছে বাগানে।
এটি কসমস ফুল।
এটি গাঁদা ফুল।
লাল জেরানিয়াম ফুল।
গোলাপী জেরানিয়াম ফুল।
উপরের ফুল দুটির নাম ভুলে গিয়েছি , মনে পরছে না।
এবার আপনাদেরকে নিয়ে যাচ্ছি আমার ফল বাগানে। চেরি ফল বাদে এখন মোট ৪ প্রকারের ফল রয়েছে বাগানে। চেরি শেষ হয়ে গিয়েছে, আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। চারটি আপেল গাছের মোট তিনটিতে এখন আপেল রয়েছে। আর দুটি পেয়ার গাছের দুটিতেই পেয়ার রয়েছে।আঙ্গুর গাছের একটিতে লাল আঙ্গুল এবং আরেকটিতে সবুজ আঙ্গুল রয়েছে, আরও রয়েছে ত্বীন ফল গাছ।
তিনটি গাছে তিন প্রকারের আপেল দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।
দুই প্রকারের পেয়ার।
দুই রকমের আঙ্গুর, একটি সবুজ আর একটি লাল। খুবই চমৎকার লাগছে গাছ ভর্তি আঙ্গুর শুধু।
এটি ফিগ বা ত্বীন ফল।
এবার আসছি সবজির রাজ্যে।এর আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম লাল শাক, ডাটা শাক এবং লাই শাক। শাকের মধ্যে এখন রয়েছে শুধু ডাটা শাক এবং পুঁইশাক। এখন রয়েছে মরিচ, টমেটো, শঁসা করোলা, সিম, আলু ও লাউ সবই একটু একটু করে বড় হচ্ছে এখন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি টমেটো আর শঁসা ছাড়া।
মরিচ।
টমেটো।
সীম।
বেগুন।
পুঁইশাক।
করলা।
লাউ।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাহ! চমৎকার একটা বাগান ঘুরে আসলাম মনে হলো, হৃদয় এবং চোখ দুটোই শীতল হয়ে গেলো। আমিও শুরু করেছি তবে আপনার মতো এতোটা সফল নই। এই মুহুর্তে আমার বাগানে আছে শিম গাছ, লাউ গাছ, কুমড়া গাছ, কাঁচা মরিচ গাছ এবং পেঁপে গাছ। এছাড়াও বেলী ও গন্ধরাজ ফুল রয়েছে। ধন্যবাদ
এমন একটি বাগান আমার স্বপ্ন।কিন্তু দু:খের বিষয় আমার বাড়ির মাটি ভাল নয়,তাই সব গাছ হয়না। আপনার বাগানটি দেখে মন ভরে গেল আপু। আর ফল গুলো দেখে জিভে জল চলে আসল। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার করা বাগানের আপডেট ফটোগ্রাফিগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এতো সুন্দর বাগান হলে আর কিছুই লাগেনা।আমার তো ইচ্ছে করছে আপেল গাছ থেকে আপেল ছিঁড়ে খেয়ে নেই।আঙুর ফলগুলো ও দারুন লাগছে আপু।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনের আর চোখের শান্তি।অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম।তিন প্রকারের আপেল গাছের সৌন্দর্য বেশি ভালো লেগেছে। তবে শীতের মৌসুমে এই ফুলের গাছ গুলো তাদের সৌন্দর্য হারাবে এই বিষয়টি একটু কষ্ট কর। প্রকৃতির নিয়ম তো মেনে নিতেই হবে। আপনার বাগানে ফুল,ফল, সবজি সবকিছুই তো চাষ হয়।
বেশ কিছুদিন পরে আপনার বাগানের আপডেট দেখলাম।
ফুল ফল সবজি দিয়ে ভরপুর।
বিশেষ করে গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি গুলা দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আর ফল গুলার কথা কি বলব দেখে তো ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।
আসলে বর্তমান সময়ে টাটকা জিনিস পাওয়া খুবই কষ্ট।
আপনি তো নিজে বাগান করে সব ধরনের ফল এবং সবজি টাটকা এবং ভালো খেতে পারছেন।
খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার বাগানের মধ্যে এতগুলো ফুল ও ফল উৎপাদন করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন৷ আপনার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলোর বেশিরভাগ ফটোগ্রাফির সাথে আমি আছি প্রথম পরিচিত হলাম৷ আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ হয়েছে৷ একই সাথে আপনি যে গোলাপী জেরানিয়াম ফুল শেয়ার করেছেন সেটি আমার অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ হয়েছে৷
মাত্র পাঁচ মাসের বাগান তো বেশ ফুল, ফল এবং সবজিতে ভরে উঠেছে। আপেল গুলো দেখে মনে হচ্ছে গাছ থেকে নিয়ে খাওয়া শুরু করে দেই। এত সুন্দর কালার। তাছাড়া আঙ্গুল গুলো কি মিষ্টি না টক হয়? খুব সুন্দর সবজি ও ধরেছে। ফুলগুলো দেখতে ভালো লাগছে। এরকম বাগানে বসে থাকলে তো ভালো লাগার কথা। ভালো লাগলো দেখে আপু।
আপনার বাগানের এতসব আপডেট দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে আপনার বাগানে চলে যাই এবং ফুলগুলো গাছ থেকে নিয়ে খেতে। এই পাঁচ মাসের মধ্যে কিন্তু বেশ ভালোই ফল-ফুল সবজি হয় আপনার বাগানে। এই ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে আপনার বাগানের অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল, ফল এবং সবজির ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। তবে এটা শুনে খারাপ লেগেছে শীতকালে এই সব কিছু থাকবে না।
আসলেই আমরা প্রকৃতির কাছে কতটা অসহায়। আশাকরি পরের বছরে আবার আপনি আপনার বাগান ভালো করে তৈরি করতে পারবেন। এবারে আপনার বাগানের বেশ কিছু পোস্ট দেখেছিলাম। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল আপু। বিশেষ করে ফলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার বেশি ভালো লেগেছে। আপেল, আঙ্গুর, পেয়ারা সবকিছু বেশ চমৎকার লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপু এত কিছু সবজি ফল আপনি আপনার বাগানে তৈরি করেছেন। এগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি বাগানে যত কিছু তৈরি করেছেন মনে হয় না আর কোন কিছু কিনে খাওয়া লাগবে। তবে নিজেদের খাবারের জন্য নিজেরা যদি এভাবে তৈরি করে খাওয়া যায় তাহলে এর থেকে উত্তম কিছু আর হয় না। সত্যি বলছি আপু খুবই ভালো লেগেছে মনের কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে।