হঠাৎ করে বড় মেয়ের অসুস্থতা
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
আসলে বাচ্চাদের শরীর খারাপ থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা।কোন কাজ ও করতে ইচ্ছা করে না।আমার বড় মেয়েটার একটু প্রবলেম আছে।জন্মের কয়েক মাস পর থেকেই এই প্রবলেমটা শুরু হয়েছে।এলার্জিক প্রবলেম, যার ফলে খুসখুশ করে অনবরতো কাঁশতে থাকে।আর এটা শুরু হয় সামান্য একটু সর্দি থেকে।এরপর ধীরে ধীরে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, ফলে জ্বর চলে আসে।আর সাথে থাকে বমি, সারারাত ঘুমোতে পারেনা।প্যারাসিটামল খাওয়াতে হয়, সাথে অ্যালার্জির ওষুধ, আর চার পাঁচ ঘন্টা পর পর ইনহেলার দিতে হয়।এই অসুখটা নরমাল যে সর্দি কাশি হয় সেটার মতো নয়, পুরো ভিন্ন।মাঝে মাঝে তার সর্দি জ্বর হয়, কিন্তু তখন এই এলার্জিক খুসখুস কাঁশিটা থাকে না।খুসখুস কাশি শুরু হলেই বুঝে যাই তার ওই ডিজিজটা চলে এসেছে।আর এই কাশি সহজেই থামেনা, ৫-৬ দিন লেগে যায় ঠিক হতে।আর বমি দুই তিন দিন না গেলে ঠিক হয় না।
সারারাত নিজেও ঘুমোতে পারেনা, আর আমাদেরকেও ঘুমাতে দেয় না।প্রায় ৮- ৯ মাসের মতো সে বেশ ভালই ছিল, এই রোগটি আসেনি।গতকাল সন্ধ্যা থেকে দেখি খুশখুস করে কাঁশি করছে তখনই বুঝে গিয়েছি আবার শুরু হতে যাচ্ছে।আগে মাসে ২-৩ বার হতো তার এই প্রবলেমটি। প্রায়ই স্কুল মিস যেত, স্কুলে পাঠাতে পারতাম না।এ কারণে তাকে ডক্টরের কাছেও নিয়ে গিয়েছি বহুবার। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি, ডক্টরের সেম কথা এলার্জির ওষুধ খাওয়াতে হবে, ইনহেলার দিতে হবে, আর সাথে প্যারাসিটামল।অবশ্য এলার্জির ওষুধ তাকে প্রতিদিন খাওয়াতে হয়।তবে মাঝে আমি কয়েক মাস বাদ দিয়েছিলাম কোন প্রবলেম হয় কি না তা দেখার জন্য।যেখানে দুই এক দিন বাদ দিলেই সারা শরীর চাঁকা চাঁকা হয়ে যেত, কিন্তু এখন আর তেমন কিছুই হয় না।তাই ওষুধটি পুরো বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম।যখন খুসখুস কাঁশি শুরু হয় তখন শুরু করি।
সাধারণত হঠাৎ করে কোন কারনে সর্দি লেগে গেলে মাঝে মাঝে তার এই প্রবলেমটা হয়।অথবা ডাস্ট হতেও তারই প্রবলেমটি শুরু হয়। আবার হঠাৎ করে ওয়েদার চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে, সে কারণেও শরীর খারাপ হতে পারে।কালকে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হয়েছিল, এ বছর এত বৃষ্টিপাত এর আগে কখনো হয়নি।সাথে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া ও বিদ্যুৎ চমকানি ছিল। হঠাৎ করেই আবহাওয়াটি চেঞ্জ হয়ে যায় এ কারণেই হয়তো শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছে।কাঁশি করেই যাচ্ছে।সন্ধ্যার পর থেকে এ পর্যন্ত দুই তিনবার বমি করেছে।কোনরকম একটুখানি ভাত খেয়েছে।খাওয়ার পরও বমি বমি ভাব।আর এই সমস্যা হলে রাতে ঘুমাতে পারে না।একটু ঘুমিয়ে যায়, আবার উঠে পড়ে। খুব অশান্তি করতে থাকে।যাইহোক আপনারা সকলেই দোয়া করবেন যেন মেয়েটি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
হঠাৎ এমন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে একটু অসুস্থ হয়ে যেতে পারে তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছি যেন মামা যেন অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
ব্যাপার টা দেখে বেশ খারাপ লাগছে। এর কোন সম্ভবত চিরস্থায়ী নির্মূল এর উপায় দরকার। তাছাড়া এইরকম একটা অপ্রত্যাশিত অস্বস্তিকর অবস্থা সহ্য করা সম্ভব না। আশাকরি আপনার মেয়ে দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে যাবে।
ওর এই সমস্যাটা ঠিক হলো না আর। তারপরও তো এবার অনেক দিন পরে হয়েছে। আশা করি আস্তে আস্তে সেরে যাবে। কিন্তু যে কয়দিন ওর এই সমস্যাটা থাকে বেশ কষ্ট হয় ওর নিজেরও। সাথে আপনাদেরও। আবহাওয়া পরিবর্তন হলে অসুখ-বিসুখ বেশি হয়। যাইহোক খেয়াল রাখবেন। দোয়া রইলো।
এই সময় প্রায় বাসায় অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে।যার কারণ একমাত্র ওয়েদার।আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করি আপু দ্রুত যাতে সুস্থ হয়ে ওঠে মেয়ে।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বমি হলে শরীরের কোন অবস্থা থাকে না। শরীর একদম নিস্তেজ হয়ে যায়। খুসখুস কাঁশি আরো বেশি মারাত্মক। মানহা মামনির অসুস্থতার কথা শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগছে আপু। মামনির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। মামনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় এই প্রার্থনাই করছি আপু।
আজ মোটামুটি ভালো আছে। অনেক ধন্যবাদ আপু তোমাকে।
প্রথমেই আপনার বড় মেয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু। আপনার বড় মেয়ের অসুস্থতার কথা জেনে বেশ খারাপ লাগলো। বেশ কয়েকবার বমি হলে তো বড়দের শরীরই দুর্বল হয়ে যায়। আর বাচ্চাদের শরীর তো আরও বেশি দুর্বল হয়ে যায়। যাইহোক আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
এলার্জির প্রবলেম তো খুব বেশি একটা ভালো না আপু। আপনার মেয়ের খুসখুসে কাঁশি হচ্ছে, এটা তো বেশ খানিকটা টেনশনের। আপনি ডাক্তার দেখাচ্ছেন ঠিক আছে, তবে নতুন করে ডাক্তার চেঞ্জ করে দেখতে পারেন। হয়তো নতুন কোন কিছু সাজেস্ট করতে পারে। যাইহোক, আপনার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ রইলো, সে যেন খুব দ্রুত এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।