মজাদার কোয়েল পাখির রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি মজাদার কোয়েল পাখির রেসিপি নিয়ে। বাসায় মাঝে মাঝে কোয়েল পাখি রান্না করা হয়। বেশ ভালই লাগে,বাচ্চারাও খুব পছন্দ করে। এদেশের বেশিরভাগ মাছ-মাংসের শপগুলোতে কোয়েল পাখির মাংস কিনতে পাওয়া যায়।কিন্তু সব ধরনের শপ থেকে কিনতে পারিনা কারণ হালাল থাকেনা। এটাই বেশি প্রবলেম খাবার কোন জিনিস ভালো লাগলেও কেনা সম্ভব হয় না কারণ সবকিছু হালাল থাকে না। অনেক বেছে বেছে কেনাকাটা করতে হয়। অনেক সময় বাচ্চারা এক একটা খাবার পছন্দ করে বসে থাকে, কিন্তু হালাল না হওয়ার জন্য কিনতে পারিনা। যাইহোক এবার চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পাখি | ৪ টি |
পিঁয়াজ | ২ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৪/৫ টি |
টমেটো | হাফ কাপ |
আদা রসুন পেস্ট | দেড় টেবিল চামচ |
হলুদগুড়া | ১ চা চামচ |
মরিচ গুঁড়া | দেড় চা চামচ |
জিরা গুড়া | দেড় চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ চা চামচ |
কারিপাউডার | ১ টেবিল চামচ |
তেজপাতা, দারচিনি | দুই টুকরা করে |
এলাচ, লবঙ্গ, গোল মরিচ | ৪/৫ টি করে |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমে পেঁয়াজ, টমেটো ও কাঁচা মরিচ কেটে নিয়েছি।এরপর পাখিগুলোর বরফ ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এরপর প্রতিটি পাখিকে মাঝ বরাবর লম্বালম্বি ভাবে এভাবে কেটে নিয়েছি।
এরপর পাখিগুলোকে ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে সামান্য লবন ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি ভাজার জন্য।
এরপর একটি ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে হাল্কা বাদামী বর্ণের করে সবগুলো ভেজে নিয়েছি। সাধারণত পাখিতে একটা গন্ধ থাকে, তাই আমি হালকা ভেজে নিয়েছি এই গন্ধটা দূর করার জন্য।
এরপর একটি করাইতে তেল গরম করে তাতে আদা রসুন দিয়ে দু এক মিনিট নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ, টমেটো ও কাঁচামরিচ দিয়ে দিয়েছি।এরপর লবণ দিয়ে মাখিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি পিঁয়াজগুলো সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য।
এরপর পেঁয়াজ গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে তাতে গরম মসলা ও গুড়া মসলাগুলো দিয়ে অল্প আঁচে কয়েক মিনিট কষিয়ে নিয়েছি। এরপর ভাজা মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর মসলাগুলো মাংসের সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে ২-৩ মিনিট নেড়েচেড়ে নিয়েছি।এরপর তাতে দেড় কাপ পানি যোগ করে মিডিয়াম আঁচে ৬/৭ মিনিট রেখে দিয়েছি। ৬-৭ মিনিট পর হয়ে গেল আমার মজাদার কোয়েল পাখির রেসিপি।
পরিবেশনের জন্য রেডি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনি কিন্তু অনেক মজাদার রেসিপি তৈরি করতে পারেন আপু। আজকে কোয়েল পাখির লোভনীয় এবং সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। কোয়েল পাখি এই পদ্ধতিতে রান্না করা অবস্থায় কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটা তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখেই অনেক সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি মনে ।
সকাল সকাল এমন রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। অনেক দিন হলো এই কোয়েল পাখির মাংস খাওয়া হয় না। অনেক দিন আগে বাড়িতে বেশ কিছু পাখি পালতাম,তখন খেয়েছিলাম। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি শেয়ার করার জন্য ।
আমরা সবাই কমবেশি জানি যে কোয়েলের ডিম খুবই উপকারী। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণে ভরা এই পাখির ডিম। তবে কোয়েল পাখির গোস্ত যে খেতে কতটা সুস্বাদু যে খেয়েছে সে খুব ভালোভাবেই জানে। আপু আজকে আপনি কোয়েল পাখি গোশত রান্না করেছেন। রান্না ধাপগুলো খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন হয়ে গেল কোয়েল পাখি খাওয়া হয় না। আজকে আপনি খুবই ভালোভাবে এই কোয়েল পাখির রেসিপিটি শেয়ার করেছেন৷ আপনার প্রকাশিত প্রত্যেকটি ধাপ খুবই অসাধারণ হয়েছে ৷ আপনি যেভাবে এই কোয়েল পাখিটি রান্না করেছেন এটিকে দেখে অনেকটাই সুস্বাদু মনে হচ্ছে এবং এটিকে একদমই লোভনীয় দেখা যাচ্ছে৷
সত্যিই আপু বাইরে এই এক সমস্যা কোন কিছু কেনার জন্য হালাল কিনা জেনে কিনতে হয়।আমাদের এখানে তো শুধু ডেট আছে কিনা দেখেই কিনতে পারি।আপনি আজ কোয়েল পাখির মজার রেসিপি শেয়ার করলেন। দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। রান্না তো চমৎকার হয়েছে,খেতেও খুব মজার হয়েছিল আশাকরি। আমার ছেলে ও কোয়েল পাখির ডিম,মাংস খেতে খুব পছন্দ করে।আমিও করি মাঝে মাঝে রান্না। ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
বিশেষ করে বাইরের দেশে কোয়েল পাখি প্যাকেটে করে বিক্রি করা হতো। আমি যখন ওমান ছিলাম তখন এরকম সুপার মার্কেটে প্যাকেটে প্যাকেটে দেখেছিলাম। তবে আমার কিন্তু কিনে খাওয়া হইনি। আমরা যে কোম্পানিতে ছিলাম সেটার আশেপাশের গাছ গুলোতে কোয়েল পাখি বাসা বাধতো। তখন সেখান থেকে পাখি ধরতাম এবং সেগুলো রান্না করে খেতাম। যাইহোক আপনার কোয়েল পাখি রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ।
এভাবে আগে কখনো কোয়েল পাখির রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তবে কোয়েল পাখির এরকম মজাদার রেসিপি দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। আসলে যে কোন কিছু হালাল না হলে কিনতে ভালো লাগে না। আপনি অনেক মজাদার ভাবে সম্পূর্ণটা তৈরি করেছেন। আর বাচ্চাদের এই খাবারটা অনেক পছন্দের এটা জেনে ভালো লেগেছে। আপনার উপস্থাপনা দেখে যে কেউ রেসিপি টা তৈরি করে নিতে পারবে।
আমাদের জন্য এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের দিকটাই আমাদের হারাম হালাল বিচার করতে হয়। আর এই বিষয়টি বিদেশে গেলে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কোয়েল পাখির মাংস খেয়েছি আগে। এটা বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে তবে আপনার রান্না করার পদ্ধতি টা বেশ আলাদা ছিল। বেশ দারুণ ছিল আপু কোয়েল পাখির রেসিপি টা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
এই কোয়েল পাখি এবং পাখির ডিম অনেকেই খুব পছন্দ করে। তবে আমি কেন জানি খেতে পারিনা।আপনার রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেখে বুঝতে পারলাম খেতে খুব সুস্বাদু ছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু কোয়েল পাখির ডিম অনেক খেয়েছি কিন্তু কোয়েল পাখির মাংস কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার এই রেসিপি দেখে তো লোভ আর সামলাতে পারছি না। আপনাদের ছবিটি খুবই দারুণ ও দুর্দান্ত ছিল ধন্যবাদ আপু।