পাগলীর সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর একটি ঘটনা
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
কমিউনিটিতে অনেককেই দেখছি ছোটবেলার নানান ধরনের ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। আমিও অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সময়ের অভাবে করা হচ্ছিল না।আজকে হঠাৎ প্লান করে ফেললাম একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।তাই আজকে হাজির হয়ে গেলাম একটি পাগলির ঘটনা নিয়ে। ছোটবেলায় পাগল দেখলে খুবই ভয় পেতাম। এমনকি এখনো পাগল খুব ভয় পাই। যদিও ইংল্যান্ডে তেমন কোন পাগল দেখা যায় না। বাংলাদেশে যেখানে সেখানে পাগল ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কিন্তু ইংল্যান্ডে আসার পর আমি একটি পাগলও দেখিনি। তবে এই দেশেও পাগল রয়েছে। কিন্তু পাগলদেরকে এভাবে ফ্রিলি রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয় না।তাদেরকে কারও তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। যাইহোক এবার চলে যাচ্ছি মূল পর্বে।
আমাদের বাসায় আমরা চার বোন বসে বসে গল্প করছিলাম একটি রুমে। বাবা ও মা কেউই তখন বাসায় ছিলেন না। আর আমার ভাইটা পাশের রুমে ঘুমাচ্ছিল।ভাই ছিল খুবই ছোট।তখন আমাদের বাসার দরজাটা খোলা ছিল।যেহেতু দিনের বেলা তাই দরজা খোলা ছিল, যদিও সব সময় খোলা থাকতো না। আর আমাদের বাসাটা একেবারে মেইন রাস্তার পাশেই ছিল। আমরা বোনেরা যখন গল্প করছিলাম তখন হঠাৎ করে দেখি একটি পাগলী আমাদের রুমে ঢুকে পড়েছে। কি ভয়ংকর ছিল সেই পাগলীটি! নোংরা কাপড়চোপড় পড়া, চুলগুলো এলোমেলো, শরীর দিয়ে গন্ধ বের হচ্ছিল।দেখলেই ভয়ে গলা শুকিয়ে যাওয়ার কথা। পাগলিটি দেখার সাথে সাথে আমাদের চার বোনের অবস্থা খারাপ। প্রচন্ড ভয় পাচ্ছিলাম। পাগলীটি আমাদের রুমে ঢুকেই ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার ফেস দেখছিল। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে আমাদেরকে বলে “এই মেয়েরা তোমরা বের হয়ে যাও এই রুম থেকে, এই বাসা এখন আমার, এতদিন তোমরা রাজত্ব করেছ”এই কথা বলেই আমাদের বেডে শুয়ে পড়ল সোজা হয়ে। এরপর ভয়ে আমার তিন বোন দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু আমি বের হইনি কারণ পাশের রুমে আমার ছোট ভাই ঘুমোচ্ছে। পাগলী বেডে শুয়ে আরাম করছে। আর আমি পাশের রুমে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখি একজন রিকশাওয়ালা দাঁড়িয়ে রয়েছে রিক্সা নিয়ে।
ওই মুহূর্তে ভয়ে আমার জান বেরিয়ে যাচ্ছিল।তারপরও তখন বুদ্ধি করে রিক্সাওয়ালার কাছে হেল্প চাই।তখন তাকে বলি প্লিজ আমাদেরকে একটু হেল্প করেন। একজন পাগল ঢুকেছে আমাদের রুমে। রিক্সাওয়ালা তখন তার লাঠি নিয়ে আমাদের রুমে ঢুকে। এরপর লাঠি দিয়ে ভয় দেখানো মাত্রই পাগলী দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে গেল। ওই মুহূর্তে তখন কি যে শান্তি লাগছিল তা আর বলে বোঝাতে পারবো না।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার পাগলির সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর একটি ঘটনা। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আসলেই আপু ভয়ে জিনিসটা অনেক খারাপ বিষয় হতে পারে সেটা ছোট বিষয় নিয়ে কিংবা বড় বিষয়। পাগল বা পাগলি আসলে তাদের অঙ্গভঙ্গি গুলো আমাদের অনেকভাবে ভয় পাইয়ে দেয় যেটা আসলে আপনার সাথে ও হয়েছিল সত্যি এটা অনেক দুঃখজনক বিষয়। রিক্সাওয়ালাকে ধন্যবাদ জানাই যারা আপনাদের সাহায্য করেছিল। তবে আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া একটা দারুন ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে ভালই লেগেছে আপু।
আসলেই আপু পাগল বা পাগলী আমাদের দেশের যেকোনো জায়গায় দেখা যায়। ছোটবেলায় পাগল বা পাগলী দেখলে আমিও ভয় পেতাম। যাইহোক আপনারা তো তখন প্রচুর ভয় পেয়েছিলেন তাহলে। ভাগ্যিস রিকশাওয়ালা লোকটা বাহিরে ছিলো তখন। নয়তো কি যে হতো, সেটা আল্লাহ ই ভালো জানেন। তবে পাগলী কিন্তু বেশিক্ষণ আপনাদের বেডে শুয়ে আরাম করতে পারেনি😂। তৌহিদা আপু,সুমা আপু আর তানিয়া আপু তাহলে সেই লেভেলের ভয় পেয়ে দৌড় দিয়ে পালিয়েছিলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু এটা ঠিক বলেছেন আমাদের দেশে পাগলগুলো কে রাস্তায় চলতে ফিরতে দেখা যায়। এটা ভীষন ভয়ের একটি ব্যাপার।তাদের তো সেন্স নেই। কখন কি করে বসে।আমার তো এখনও ভয় লাগে পথে-ঘাটে পাগল দেখলে।যাই হোক পাগলি কে দেখে আপনার বোনরা ঘর থেকে বাইরে চলে গেলেও আপনি গেলেন না। ভাইটির কথা ভেবে।এরপর রিকশাওয়ালা এসে লাঠি দিয়ে তাড়া করাতে এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন।ছোট মানুষ ভয়ে তো কান্না করার কথা।সাহস করে কাজটি করেছেন এজন্য ধন্যবাদ দিতে হয় আপনাকে।
আমিও আপনার মতো পাগল দেখলে ভয় পাই। আমার বাসা থেকে বের হলেই পাগল দেখা যায়। তাদের এমন অবস্থা দেখে যেমন ভয় লাগে তেমনি খারাপও লাগে। আমার বাসা থেকে একটু দূরে একজন শিক্ষিত পাগল রয়েছে। শুনেছি সে নাকি পড়ালেখা করতে গিয়ে পাগল হয়ে গিয়েছে। আপু আপনি তো তাও বুদ্ধি করে জানালা দিয়ে রিক্সাওয়ালার কাছে হেল্প চেয়েছেন আমি হলে আপনার বাকি বোনদের মতোই ভয়ে বের হয়ে যেতাম। আপনি সেই সময়ে বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। তারজন্য বলে বিপদে ভয় না পেয়ে ধৈর্য ও বুদ্ধি রাখা উচিত। আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু ছোটবেলার খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
দীর্ঘদিন পর ছোটবেলার সেই ঘটনাটি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।সত্যিই সেদিনকার ঘটনাটি ভীষণ ভয়ঙ্কর ছিল যা মনে পড়লে এখনো যেন কেমন লাগে ।পাগলীটি দেখতেও কিন্তু ভয়ঙ্কর ছিল। নতুন করে সেই ঘটনা আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।