ভাসুরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হলো (পর্ব -১)
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
মোটামুটি ধুমধাম এর সাথেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেলে ভাসুরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। তবে বাংলাদেশের মতো এতো জাঁকজমক ভাবে সম্পূর্ণ হয়নি।মোটামুটি সিম্পল এর মধ্যেই বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সন্ধ্যা সাতটায় তাই আমরা বাসা থেকে ১:৩০ এ দুপুরের নামাজ পড়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম।এরপর ভাসুরের বাসায় কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে বের হয়ে যাই।পাঁচটার সময় বিয়ের হলে পৌঁছাই।তার আগেই কনের সাজানো কমপ্লিট হয়ে যায়। পার্লার থেকে আর্টিস্ট বাসায় আনা হয়েছিল যার পেমেন্ট ছিল ৬০০ পাউন্ড যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় প্রায় ৮০ হাজার টাকার উপরে। অবশ্য এ দেশের সব কিছুরই দাম খুব চড়া। এমনকি যে সেন্টার ভাড়া করা হয়েছে তার প্রাইজ ও ছিল আরও চড়া, এক একটি হলের ভাঁড়া ৮ থেকে ১০ হাজার পাউন্ডের মত যা বাংলাদেশি টাকার প্রায় ১০ থেকে ১৩ লক্ষ টাকার মত। এ কারণে এ দেশে বিয়ের পরের দিন আবার ছেলের বাড়িতে যে অনুষ্ঠানটি হয় সে অনুষ্ঠানটি হয় না।ওই একই দিনে ছেলে পক্ষ মেয়ের পক্ষের আত্মীয়-স্বজন ইনভাইট করা হয়। তাই এক্ষেত্রে উভয় পক্ষ মিলে সেন্টারের ভাঁড়া পরিশোধ করে। যাইহোক এখন চলে যাচ্ছি মূল পর্বে।অনেক অনেক ফটোগ্রাফি করেছি। তাই এই বিয়েটিকে দুটি পর্বে ভাগ করেছি।আজকে তার ১ম পর্ব।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
কনের সাজগোজের পর উপর থেকে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছে।
ফটোগ্রাফার এবং ভিডিও ম্যান দেখিয়ে দিচ্ছে মেয়েকে কিছু স্টাইল। আজকাল প্রায় প্রতিটি বিয়েতেই দেখা যায় কনের বিভিন্ন ভঙ্গিতে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি, যা অতি দক্ষতার সাথে ফটোগ্রাফার করে থাকেন।তাদের বাসার সামনে থেকে ফটোগ্রাফিগুলো নেয়া হয়েছে।
এরপর আমরা সকলে মিলে সাতটার সময় সেন্টারে পৌঁছাই।ঐদিন ঐসময় বৃষ্টি ছিল তাই ছাতা নিয়ে আসতে হয়েছিল কনেকে নিয়ে।
সেন্টারটি দেখতে অনেক সুন্দর ছিল।খুবই চমৎকারভাবে ডেকোরেশন করেছিল।
সেন্টারে আসার পর আবারও কিছু ফটোশুট হয়ে গেল কনের।
কনের সাথে তার ভাবী ও বোনেরা।
পান সুপারির এই চমৎকার ডেকোরেশনটি করেছে আমার হাজবেন্ডের খালাতো বোন।
ডেকোরশনের সাথে আমি ও আমার জা দুজনে মিলে একটি ফটো তুলে নিলাম।বিয়েতে আমরা দুজনই একই রকমের শাড়ি পড়েছিলাম।
খালা শাশুড়ি, খালাতো বোন, ভাবী ও আমি।
সেন্টারে প্রবেশের পর প্রথমে সকলকে এই হালকা তিন চার রকমের নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।এ সময় বাংলাদেশের বিয়ের কথা মনে পরে গেল।বর পক্ষের লোকদেরকে সাকরানা (হাতে বানানো নানান রকমের পিঠা)দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় যা আমার কাছে খুবই মজা লাগত।তবে জানি না এখনও সেই খাবার গুলো দেয়া হয় কি না? এই খাবারগুলো আমার কাছে খুবই মজা লাগত। কিন্তু এখানে এ ধরনের কোন ব্যবস্থাই নেই।কারণ কে করবে এই আয়োজনগুলো ।
এখনও কিন্তু বর আসেনি। আগামীকাল আপনাদের সাথে বর আশা থেকে শুরু করে কনের বিদায় পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আজ তাহলে এতটুকুই। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে দুইপক্ষ একসাথে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এটা খুবই ভালো বুদ্ধি। ঐ দেশে বিবাহ সম্পন্ন করতে হইলে এত খরচ করতে হয় শুনেই তো মাথা ঘুরছে আপু। কিন্তু যাই বলেন আপু বাংলাদেশ থেকে আপনাদের ওখানের সেন্টারের ডেকোরেশন গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । দ্বিতীয় পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ব্যয়বহুল একটি বিবাহের অনুষ্ঠান। তবে অনেক আয়োজন অনেক সুন্দর ভাবে ব্যবস্থাপনা। আশাকরি বর আশা পর্যন্ত সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং বিস্তারিত বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন।
সিম্পল এর মধ্যে হলেও ডেকোরেশন টা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ভালো ছিল। পার্লার থেকে আর্টিস্ট আনা হয় যা বাংলাদেশি টাকায় ৮০ হাজার টাকা। কত টাকা বাবা গো বাবা 🫡।সবথেকে ভালো লাগলো ডেকোরেশন উপস্থাপনা ফুলগুলি কি দারুন ভাবে সাজিয়েছে মুগ্ধ হলাম। এখনো দেয় নাস্তা । বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন
শুনে মাথা ঘুরে গেল 😮
তবে যে ডেকোরেশন করা হয়েছে সেটা সহজ কথায় বলতে গেলে অসাধারণ।
বাইরের কোনো অনুষ্ঠান ও প্রোগ্রাম মানে অনেক ব্যয়বহুল।সেন্টারটি খুব দারুণ ভাবে সাজানো হয়েছে দেখতেও অনেক আকর্ষণীয় লাগছে। পান সুপারির ডেকোরেশন টা অনেক ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর আনন্দময় অনুভূতির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিয়ের খরচের লিস্ট শুনেই তো মাথা ঘুরে যাচ্ছে। একটি সেন্টারের ভাড়ায় যদি ১০ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা হয় তাহলে অন্যান্য খরচ কিভাবে সম্পন্ন করবে। এটা অবশ্য ভালো বুদ্ধি দুইপক্ষ এক সঙ্গে একই দিনে অনুষ্ঠান শেষ করে ফেলে। ডেকোরেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অসম্ভব সুন্দর ছিল দেখতে। আপু আপনার ছবিটা শেয়ার করলেন এর মধ্যে আপনি কোন জন তা তো বুঝতে পারছি না😜।
ওই দেশের বিয়ের অনুষ্ঠান মানে তাহলে খুব ব্যয়বহুল। সেন্টারটি সত্যিই খুব সুন্দর খুবই সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। একই রকম শাড়ি পড়াতে আপনাদের দুজনকে খুবই সুন্দর লাগছিল। তবে এই বিষয়টা আমার খুবই ভালো লেগেছে যে বিয়েতে দুই পক্ষই টাকা দিয়ে অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ করে। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি আনন্দঘন মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। বর আসার পরের পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আপু এখন কিন্তু বাংলাদেশের অনেক বিয়েতেই একসাথে আয়োজন করা হয়। মানে বরপক্ষ আর কোন পক্ষে একসাথেই আয়োজন করেন। আলাদা করে আর কোন আয়োজন করা হয় না। আবার এখনো বাংলাদেশে বিয়ে গুলোতে নানা রকমের পিঠের আয়োজন করার নিয়ম রয়েছে। যাক সব মিলিয়ে আপনার আজকের পোস্টটি বেশ সুন্দর ছিল। অপেক্ষায় রইলাম বর আসার গল্প শোনার জন্য।
ওই দেশে দেখছি সবকিছুর খরচ অনেক বেশি। দুই পক্ষ মিলে একসাথে অনুষ্ঠান করাতে বেশি সুবিধা হয়। তাহলে দুই পক্ষের খরচটা ভাগাভাগি করা যায়। আর পার্লারের রেট অনেক বেশি। তবে শাড়ি পরে আপনাকে কিন্তু বেশ সুন্দর লাগছে আপু। দুজনে একই রংয়ের শাড়ি পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
ভাসুরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ জাঁকজমকপূর্ণই মনে হলো।ডেকোরেশন ও দারুন লেগেছে।অনেক খরচ আসলে।এজন্য দুপক্ষ মিলে করলে ই ভালো হয়।খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সবাইকে নিয়ে।ধন্যবাদ আপু।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।