অবশেষে ভাপা পিঠার রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম ভাপা পিঠার রেসিপি নিয়ে। এর আগে পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি যখন শেয়ার করেছিলাম তখন আপনাদেরকে বলেছিলাম ভাপা পিঠা বানিয়েছি। আজকে সেই পিঠা নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। ভাপা পিঠা আমার অনেক পছন্দের একটি পিঠা। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই পিঠার সাথে। নানু বাড়িতে এই পিঠাগুলো অনেক বড় বড় করে বানাত। এ কারণে ছোটবেলায় আমরা এই পিঠাকে বলতাম বড় পিঠা।ওই পিঠাগুলোর স্বাদ এখনো যেন মুখে লেগে রয়েছে। আসলে অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম এই পিঠা বানাবো। কিন্তু গুড়ের অভাবে বানাতে পারছিলাম না। অবশেষে হাজবেন্ড যখন লন্ডন গিয়েছিল শপিং করতে তখন পেয়ে যায় খেজুরের গুড়ের পাটালি। আর সাথে নিয়ে আসে নারিকেল। ব্যাস পিঠা তৈরির মূল উপাদান দুটি পেয়ে গেলাম।
লাস্ট যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলাম তখন এই পিঠা খেয়েছিলাম। এরপর আর খাওয়া হয়নি। এরপর কমিউনিটিতে সবার পিঠা বানানোর ধূম পড়ে গেল। আর সেখান থেকেই আমার আরো বেশি ইচ্ছে জেগে উঠল পিঠা বানানোর। এই ফাস্ট টাইম নিজ হাতে পিঠা বানিয়েছি। নিজ হাতে বানানো পিঠা খাওয়ার স্বাদই আলাদা। প্রথম প্রথম বুঝিনি, তাই গুড় একটু বেশি দিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় গুড় বেশি দিলেই এই পিঠা বেশি মজা হয়। যাইহোক আমার পিঠা কিন্তু খেতে দারুন স্বাদের ছিল। আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চালের গুঁড়া | ৩ কাপ |
পানি | দেড় কাপ |
গুড় | দেড় টা (পাটালি) |
নারিকেল | ১ টি |
লবন | হাফ চা চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই নারিকেলে ভেঙ্গে ছুলে গ্রেটার দিয়ে গ্রেট করে নিয়েছি।
এরপর গুড় ছুরি দিয়ে ঝুরিঝুরি করে কেটে নিয়েছি। প্রথমে একটি পাটালি কেটে নিয়েছিলাম। পরে দেখি আরো লাগে তাই আরো হাফ কেটে নিয়েছিলাম।
এরপর চালের মধ্যে নরমাল পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
এরপর চালনি দিয়ে চাল গুলো ভালো ভাবে চেলে নিয়েছি।
এরপর ফুল আঁচে চুলায় একটি হাঁড়ি বসিয়ে দিয়েছি। তার উপরে ছিদ্রযুক্ত একটি হাঁড়ি বসিয়ে দিয়েছি।
এরপর একটি বাটিতে সামান্য চালের গুড়ো নিয়ে নিয়েছি।
এরপর চালের উপর গুড় ও নারিকেল ছড়িয়ে দিয়েছি।
এরপর তার উপরে আবার চালের গুলো দিয়ে আবার এই প্রক্রিয়াটি রিপিট করেছি তার মানে ডাবল লেয়ার দিয়েছি। এরপর ছিদ্রযুক্ত হাঁড়িতে একটি পরিস্কার ভেজা কাপড় বিছিয়ে দিয়েছি।
এরপর বাটিটি কাপড়ের উপর উল্টো করে বসিয়ে দিয়ে বাটি সরিয়ে পিঠা কাপড় দিয়ে প্যাঁচিয়ে রেখেছি।
ঠিক একইভাবে আরও একটি বসিয়ে দিয়েছি। এভাবে ফুল আঁচে ৪ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিয়েছি।
এরপর ঢাকনা খুলে একটি দেখিয়ে দিলাম। ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার ভাপা পিঠার রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু ভাপা পিঠা খেতে ভীষণ ভালো লাগে, যদি খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। আপনি ঠিক সেই কাজটি করেছেন। খেজুরি গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করার সময় এর একটা সুগন্ধি বের হয়। যে সুগন্ধি খাওয়ার প্রতি রুচি বাড়িয়ে দেয়। যাইহোক আপনি আজকে খুবই চমৎকার করে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন। এই পিঠা তৈরীর প্রতিটা ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভাপা পিঠার মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে ভাপা পিঠার সাথে আমাদেরও অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে রয়েছে। আপনার মত নানুবাড়িতে আমিও গেলে এই পিঠাগুলো তৈরি করতো তখন তারা বড় বড় করে তৈরি করত, আপনিও ভাবতে ছিলেন সেই ভাপা পিঠা তৈরি করবেন। তাই আপনি খেজুরের গুড় ও নারিকেল দিয়ে খুবই মজাদার ভাবে এই ভাপা পিঠা তৈরি করলেন দেখে যেন খেতে ইচ্ছা করছে।
এই পিঠা তো আমার খাওয়া দরকার।গুড় আর নারকেল বেশি করে দিলেই মূলত ভাপা পিঠার মজাটা বেড়ে যায়। আর আপনার রেসিপিটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। তবে আমার কাছে ছোট সাইজের পিঠাগুলোতে গুড় নারকেল বেশি করে দিয়ে তৈরি করলে সেটা খেতে বেশি ভালো লাগে । আমাদের বাসায় যখন তৈরি করা হয় তখন আমি আলাদাভাবে গুড় এবং নারকেল বেশি করে দিয়েই করতে বলি। দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।
আমি তো এই কয়েকদিন আপনার ভাপা পিঠার এই রেসিপিটা দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম আপু। পাটিসাপটার পিঠার রেসিপি দেখেছিলাম, ওই দিন থেকেই অপেক্ষায় রয়েছি এই পোস্টের জন্য। আপনি নিজের হাতে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন, আর সবার মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনি প্রথমবারের মতো এই ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন বলে বোঝাই যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে আপনি এই পিঠা তৈরি করতে বেশ ভালোই পারেন। নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল এই ভাপা পিঠা, আর অনেক মজা করে খেয়েছিলেন।
অবশেষে তাহলে আপু আপনার কাছ থেকে ভাপা পিঠার রেসিপি আমরা দেখেই নিলাম। আপনার পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করার রেসিপিটা দেখা হয়েছিল। ভাপা পিঠা দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল, আর সবাই খুব মজা করে খেয়েছিল। গুড় বেশি করে যদি ভাপা পিঠার মধ্যে দেওয়া হয়, তাহলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। ভাপা পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে যে কেউ এটা তৈরি করতে পারবে। গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাটা সব থেকে আলাদা হয়।
আপু যদি এখন শীত নেই তারপরেও হালকা শীত রয়েছে আর শীতের মধ্যে ভাপা পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি দেখছি বাসায় খুব সুন্দর করে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন এবং এই ভাবা পিঠার ফটোগ্রাফি দেখেই লোভ হচ্ছে। ধন্যবাদ আপু এত লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনি বলেছিলেন ভাপা পিঠার রেসিপি শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। যাইহোক ভাপা পিঠা আমারও ভীষণ পছন্দ। বিভিন্ন ধরনের ভাপা পিঠা খাওয়া হয়েছে জীবনে। যাইহোক আপনার তৈরি ভাপা পিঠা গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। খেতে মনে হচ্ছে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল। যাইহোক রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। এমন ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি পিঠা বানাতে পারেন ভাবতেই অবাক লাগছে। ইংল্যান্ডে বসে বসে আপনিও পিঠা বানাচ্ছেন তাও আবার দেশীয় পিঠা। সত্যি ভিষণ অবাক হয়েছি ।আপনার হাতের পিঠা খেতে মন চাইছে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে ।আর এই ভাপা পিঠায় গুর বেশি দিলে আমার কাছেও খেতে বেশ ভালো লাগে। বেশ ভালো লাগলো আপনার পিঠা বানানো দেখে। আম্মা দেখলে খুবই অবাক হবে । ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ দারুণ ও লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ভাপা পিঠার সাথে অনেকের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে ।
তবে আগের দিনে ভাপা পিঠাগুলো অনেক বড় বড় আকারের হতো।ভাপা পিঠায় নারকেল ও খেজুরের গুড় দিলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
অনেক ধন্যবাদ আপু দারুন ও লোভনীয় পিঠা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।