বোয়াল মাছের ডিমের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
এই কয়দিন বড় মেয়েটির শরীর খুব খারাপ ছিল।আজকে বেশ ভালোই আছে, যদিও স্কুলে যেতে পারেনি। আশা করছি আগামীকাল স্কুলে দিতে পারবো।যাইহোক আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে।ফটো দেখেই বুঝতে পেরেছেন কিসের রেসিপি, তাই না? হ্যাঁ বন্ধুরা বোয়াল মাছের ডিমের রেসিপি। মাছের ডিম আমার খুবই পছন্দের। যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে ইলিশ মাছের ডিম বেশি মজা লাগে। এর আগে অবশ্য বোয়াল মাছের ডিম খাওয়া হয়নি, এই প্রথম আনা হয়েছে।গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ ভালই লেগেছে। আমার ছোট মেয়ে খুব মজা করে খেয়েছে।বড় মেয়ে অবশ্য মাংস ছাড়া কিছুই খায় না। যাইহোক আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ২৫০ গ্রাম |
পিঁয়াজ কুচি | ২ কাপ |
টমেটো কুচি | ৩ টেবিল চামচ |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
কারিপাউডার | ১ টেবিল চামচ |
মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
ধনেপাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
সূর্যমুখী তেল | ২ টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমে পেঁয়াজ,টমেটো ও ধনেপাতা কেটে নিয়েছি। এরপর মাছের ডিম ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়েছি।
এরপর ডিমের বরফ ছাড়িয়ে একটি হাঁড়িতে পানি নিয়ে তাতে ডিম গুলো ছেড়ে দিয়েছি। এরপর হাফ চা চামচ হলুদের গুড়ো দিয়ে রেখে দিয়েছি ডিম গুলো সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য।
এরপর ডিমগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছি। এরপর অন্য একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে নিয়েছি।
এরপর তাতে পেঁয়াজ, টমেটো ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য।এরপর ডিম গুলো ঠান্ডা হলে একটি বোর্ডে নিয়ে নিয়েছি।
এরপর ডিম গুলো এভাবে পিস পিস করে কেটে নিয়েছি।এরই ফাঁকে পেঁয়াজগুলো সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
এরপর সকল গুড়া মশলা গুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি কিছুক্ষণের জন্য।
এরপর মসলাগুলো ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে মাছের ডিম গুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর মসলার সাথে মাছের ডিম গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে অল্প আঁচে আরো কয়েক মিনিট রেখে দিয়েছি। এরপর ধনেপাতা অ্যাড করে আমার রান্না শেষ করেছি।
হয়ে গেল আমার মজাদার বোয়াল মাছের ডিমের রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এখন পর্যন্ত বোয়াল মাছের ডিম কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি আজকে বেশ কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে বোয়াল মাছের ডিমের রেসিপি তৈরি করেছেন । আপনার তৈরি বোয়াল মাছের ডিমের রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। তবে, আপনার রেসিপি এর সর্ব শেষ ধাপের ফটোগ্রাফী টি দেখে আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে।
কালকে পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনার মেয়ে অসুস্থ তবে আগের থেকে অনেকটা সুস্থ হয়ে গিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। বোয়াল মাছের ডিমের মজাদার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রেসিপির ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। লোভনীয় রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বোয়াল মাছের ডিমের রেসিপি দেখে অনেক মজা মনে হচ্ছে। আসলে বোয়াল মাছের ডিমের রেসিপি এভাবে কখনো তৈরি করা হয়নি। তাই আপনার রেসিপির পরিবেশন দেখে শিখে নিলাম, আর রেসিপিটা দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই পরবর্তীতে তৈরি করে খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো।
আপনার বড় মেয়ে সুস্থ হয়েছে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আসলে ডিমের রেসিপিগুলো আমারও খুবই ভালো লাগে। তবে বোয়াল মাছের ডিম দিয়ে কখনোই রেসিপি তৈরি করা হয়নি। আজকে আপনার এই রেসিপিটা আমার কাছে একদম ইউনিক এবং নতুন লেগেছে। তাই দেখে ভালো লাগলো।
আপু আমিও না জীবনে প্রথম শুনলাম যে বোয়াল মাছের ডিমের কথা। যাই হোক বোয়াল মাছের ডিম আপনি যে সুন্দর করে রান্না করে লোভ লাগালেন তাতে তো বাজারে একটু খোঁজ করতেই হয়। আমার কাছে আপনার আজকের রেসিপিটি বেশ দারুন লেগেছে। এক দিকে যেমন লোভনীয়, অন্য দিকে স্বাদের ও হয়েছে।
বোয়াল মাছের ডিম এর আগে আমিও খাইনি। বোয়াল মাছটা একটু রেয়ার হওয়ার কারণে ঐটাই কম খাওয়া হয়। বোয়াল মাছের রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। রেসিপি টা দেখেই লোভনীয় লাগছে। রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
যাক মেয়ে সুস্থ হয়েছে শুনে ভাল লাগলো।
বোয়াল মাছ আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় একটা মাছ। তবে এগুলো এখন খুবই রেয়ার জিনিস পাওয়া জায়না বলা চলে।বোয়াল মাছের ডিমের রেসিপি কখুনো খাওয়া হয়নি।খুব চমৎকার ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন শুভ কামনা রইলো।
আপনার মেয়ে এখন কিছুটা সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো আপু। মাছের ডিম আমার নিজেরও বেশ পছন্দের। কিন্তু বোয়াল মাছের ডিম কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আজকে আপনার রেসিপি থেকে শিখে নিলাম আপনি কিভাবে সিদ্ধ করে তারপর আবারও ডিমটাকে রান্না করেছেন। এইভাবে আমার কখনো রান্না করা হয়নি। দেখেই মনে হচ্ছে ভীষণ মজা হয়েছে। আপনার মেয়েও দেখছি মজা করে খেয়েছে।
আপনার মেয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। যাই হোক দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। বোয়াল মাছের ডিম এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আর আপনার রান্নার প্রসেসটাও ভিন্ন ধরনের ছিল। প্রথমে সিদ্ধ করে তারপর সেগুলোকে কেটে নিলেন। এভাবে কখনো মাছের ডিম রান্না করা হয়নি। পারলে এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপু।
শুনে ভালো লাগলো যে ওর শরীরে আগের থেকে ভালো হয়েছে । আজকে স্কুলে না গিয়ে ভালোই করেছে পুরোপুরি ভালো হোক তারপরে না হয় যাবে । এরকম বোয়াল মাছের ডিম কিনতে পাওয়া যায় সেটা তো জানাই ছিল না । বোয়াল মাছের ডিম তো আগে কখনো দেখিনি আপনার রেসিপি দেখে কিন্তু ভালো লাগছে । মজা হয়েছিল মনে হচ্ছে খেতে । দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো দেখে ।