বোয়াল মাছের মজার ডিম ভুনা রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি মজার একটি রেসিপি নিয়ে।রেসিপিটি হচ্ছে বোয়াল মাছের ডিম ভুনা।যে কোন মাছের ডিম যেভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে বেশ ভালোই লাগে।কিন্তু বেশি ভালো লাগে ইলিশ মাছের ডিম।সেদিন শপিংয়ে গিয়ে কয়েক প্রকারের মাছের ডিম কিনে এনেছি।আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বোয়াল মাছের ডিম ভুনা।সিলেটে আমার শ্বশুরবাড়িতে দেখেছি এভাবে মাছের ডিম ভুনা করে।সেখান থেকেই এই রেসিপিটি শিখেছি।খেতে বেশ ভালই লাগে।আশা করছি রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছের ডিম | ৩০০ গ্রাম |
পিঁয়াজ কুচি | দেড় কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৩/৪ টি |
হলুদ গুড়া | দেড় চা চামচ |
জিরা গুড়া | ১ চা চামচ |
মরিচ গুড়া | ১ চা চামচ |
কারিপাউডার | দেড় চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
ধনেপাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
তেল | ২ টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমে পিঁয়াজ ও কাঁচামরিচ কেটে নিয়েছি। এরপর ডিম গুলোর বরফ ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এরপর একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি পেঁয়াজ গুলো গলে যাওয়ার জন্য।
এরপর মাছের ডিম গুলো হালকা হলুদ ও লবণ দিয়ে পানিতে সিদ্ধ করে নিয়েছি। এরপর এভাবে ছোট ছোট পিস পিস করে কেটে নিয়েছি।
এরপর পেঁয়াজগুলো গলে গেলে সকল গুড়া মসলা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে অল্প আঁচে কয়েক মিনিট কষিয়ে নিয়েছি।
এরপর কষানো মসলার মধ্যে কেটে রাখা মাছের ডিম গুলো দিয়ে কয়েক মিনিট ভালোভাবে নেড়েচেড়ে হাফ কাপ পানি অ্যাড করে দিয়েছি।এরপর ফুল আঁচে কয়েক মিনিট রেখে দিয়েছি।
এরপর ধনেপাতা অ্যাড করে আমার রান্না শেষ করেছি। ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার বোয়াল মাছের ডিম ভুনা রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
দীর্ঘ দিন ধরে বোয়াল মাছ খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে বোয়াল মাছের মজার ডিম ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা বোয়াল মাছের রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে। আপনি ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ইলিশ মাছের ডিমের মতো অন্য কোন মাছের ডিম হয় না। তারপর অন্যান্য মাছের ডিম খেতেও ভালোই লাগে। মাছের ডিম কখনো এভাবে রান্না করা হয়নি। আপনার রান্নার পদ্ধতি একেবারে ভিন্ন লেগেছে আমার কাছে। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। একদিন এভাবে রান্না করতে হবে।
বোয়াল মাছের ডিম ভোনার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার চমৎকার এই রেসিপি দেখে সত্যিই আমার খুব ভালো লেগেছে আপু। অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। মাছের ডিম এমনিতেই বেশি ভালো লাগে। আর সেখানে যদি সুন্দর ভাবে রান্না করা যায় তাহলে তো কথাই নেই।
ঠিক বলেছেন আপু যে কোন মাছের ডিমের ভুনা খেতে বেশ মজা লাগে। তবে ইলিশ মাছের ডিমের ভুনা সবচেয়ে বেশি মজা লাগে। আর এভাবে অনেক পিয়াজ দিয়ে মাছের ডিম ভুনা করলে খেতে বেশ মজা হয়। আপনার বোয়াল মাছের ডিমের ভুনার রংটি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজা হবে। বেশ লোভনীয় লাগছে।ধন্যবাদ মজাদার বোয়াল মাছের ডিম ভুনার রেসিপিটী শেয়ার করার জন্য।
যেকোনো মাছের ডিম আমার ভীষণ পছন্দ। আপু আপনি আপনার শ্বশুরবাড়ি থেকে এই রেসিপিটি শিখেছেন জেনে ভালো লাগলো। একেক অঞ্চলে একেক ভাবে খারাব রান্না করা হয়।এভাবে আমিও রান্না করি।আর খেতে খুবই ভালো লাগে। রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি সিলেটে গিয়ে এই মজার রান্নাটি শিখেছেন জেনে ভালো লাগলো। বোয়াল মাছের ডিম ভুনা রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে আপু। এভাবে কখনো ডিম ভুনা খাওয়া হয়নি। সব সময় ডিমের ঝুরিভাজা খাওয়া হয়। এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবো আপু। মনে হচ্ছে যে কোন মাছের ডিম এভাবে রান্না করলে খেতে ভালো লাগবে।
আসলে যেকোনো মাছের ডিম ভুনা দিয়ে বেশ তৃপ্তি সহকারে ভাত খাওয়া যায়। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ইলিশ মাছের এবং শিং মাছের ডিম ভুনা। যাইহোক বোয়াল মাছের ডিম ভুনা রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। আপনার রন্ধন পদ্ধতি জাস্ট অসাধারণ। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
যে কোনো মাছের ডিম ভুনা খেতে অনেক মজা। তবে আপনি ঠিক বলেছেন ইলিশ মাছের ডিমের মতো অন্য কোন ডিম হয় না।আপনি বোয়াল মাছের ডিম অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যা দেখেই লোভ লেগে গেল। রেসিপিটি দেখে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল নিশ্চয়ই। অনেক ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।