বৃষ্টির দিনে বাচ্চাদের স্কুল আনা নেওয়ার মত কঠিন কাজ আর নেই

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।

IMG_9937.jpeg

৬-৭টি বছর খুব আরামে কেটে গিয়েছে কারণ তখন বাচ্চাদেরকে স্কুলে আনা নেওয়ার কাজটি করতে হতো না।কারণ স্কুল ট্যাক্সিতে তারা আসা যাওয়া করত। কিন্তু এখন বড় মেয়ে হাইস্কুলে যাওয়ার পর ছোট মেয়ের স্কুল ট্যাক্সিও ক্যানসেল হয়ে যায়। তাই এখন পড়েছি মহাবিপদে। দুইজনকে দুই স্কুল থেকে আনা নেয়া করতে হয়। বড় মেয়ের স্কুল খুব বেশি দূরে নয়, তারপরও ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগে হেঁটে যেতে। কিন্তু ছোট মেয়ের স্কুল তিন মাইলেরও উপরে, হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। শুধু আনা নেওয়াই কষ্ট না, এছাড়া অনেক টাইম চলে যায় এই কাজে। তাই একটু আরামের জন্য একটি ট্যাক্সি ভাড়া করেছি। প্রতিদিন আনা নেয়া করবে। কিন্তু সমস্যা হল তাদের সাথে একজনকে যেতে হয়।একা একা তো আর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া যায়না।তারপরও ভালো অনেকটা সময় বাঁচে, কারণ যদি বাসে যাই তাহলে বাসের জন্য প্রায় দুই ঘন্টা টাইম ওয়েস্ট হয়ে যায়। স্কুল ট্যাক্সি হলে সুবিধা হল তাদের সাথে কাওকে যেতে হয় না।আর ভাঁড়াও তুলনামূলকভাবে অনেক কম দিতে হয়। যাইহোক কি আর করা?একটু আরাম পাওয়ার জন্য ট্যাক্সি ঠিক করে দিলাম।

IMG_9925.jpeg

IMG_9926.jpeg

IMG_9927.jpeg

বাস স্টপে বসে বৃষ্টি ভেজা এই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম।

কিন্তু ট্যাক্সি ঠিক করে দেয়ার পরও প্রবলেমে পড়ে গেলাম। হঠাৎ করে ট্যাক্সিওয়ালার জরুরী কাজে যেতে হয় অনেক দূরে। তাই আজকে আর সে বাচ্চাদেরকে স্কুল থেকে আনতে পারে নি।সকালবেলা স্কুলে দিয়ে গিয়েছিল। এমনিতে আজকের ওয়েদার খুবই খারাপ। সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু এখন কি আর করা? বড় মেয়েটিকে আনবে তার বাবা।আর ছোট মেয়েকে আনার জন্য আমি এসেছি স্কুলে।এক ঘন্টা বসে রয়েছি, আর বসে বসে আমার এই পোস্টটি রেডি করছি।সময়টিকে কাজে লাগিয়ে দিলাম। কিন্তু এত ঠান্ডায় হাতই বের করতে পারছিলাম না।হ্যান্ড গ্লাভস খুলে ফেলতে হয়েছে কারণ টাইপ করব কিভাবে? যাইহোক একটু কষ্ট করে আজকের কাজটি সেরে নিলাম কারণ এখানে প্রায় এক ঘন্টা বসে থাকতে হয়।

IMG_9930.jpeg

IMG_9933.jpeg

IMG_9934.jpeg

স্কুলের পাশে একটি স্থানে বসে এই ফটোগ্রাফিগুলো নিয়েছিলাম।

এই দেশে একটি বড় প্রবলেম শীতের সময় খুব বেশি বৃষ্টিপাত হয়।আর গরমের দিকে বৃষ্টিপাত খুবই কম হয় । আর শীতের সময় খুব বেশি বৃষ্টিপাত হয়। আর শুধু বৃষ্টি হলে কোন কথাই ছিল না।যেমন ঠান্ডা আর তেমন প্রচন্ড বাতাস।ছাতা হাতে রাখা খুবই কষ্টকর।এত বাতাস, কত বার যে এ পর্যন্ত আমাদের ছাতা ভেঁঙ্গেছে তার হিসাব নেই।আর গরমের দিনে বৃষ্টিপাত হয় না বললেই চলে, খুবই কম হয়।যাইহোক শত কষ্টের মধ্যেও সবাই সবার কাজ করে যাচ্ছে এই বৃষ্টির মধ্যে।

IMG_9929.jpeg

IMG_9938.jpeg

বাসে করে ফেরার পথে।

বাস থেকে নেমে আরও ৭-৮ মিনিট মা ও মেয়ে দুজনে মিলে ছাতা মাথায় দিয়ে হেঁটে আসলাম বাসায়।

Photographer@tangera
DeviceI phone 13 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 9 months ago 

সত্যি আপু দুই মেয়েকে দুই স্কুলে নিয়ে যাওয়া, আর স্কুল থেকে নিয়ে আসার মতো কাজটা করা বেশ কঠিন। তবে বৃষ্টির দিনে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আর নিয়ে আসা কাজটা করা আরো বেশি কঠিন হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর শীতের সময় বৃষ্টি বেশি হলে দুর্ভোগ এমনিতেই বৃদ্ধি পায়। আমি আশা করি আপনার এই কঠিন কাজটি একদিন আপনার এবং আপনার মেয়েদের জীবনে সাফল্য বয়ে নিয়ে আসবে।

 9 months ago 

ওখানে এই ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে,এটা তো খুবই কষ্টকর ব্যাপার।স্বাভাবিকভাবে শীতের সময় বৃষ্টি হলে ঠান্ডার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে আবার মেয়েকে বাসে করে স্কুল থেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে। আসলেই সময়টা খুব কষ্টের। তবে সর্বোপরি মেয়েদের সুস্থতা কামনা করি।প্রচন্ড শীতের মধ্যেও হ্যান্ড গ্লাভস খুলে টাইপিং করে পোস্টটা রেডি করেছেন।

 9 months ago 

প্রতিদিন স্কুলে আসা যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি ঠিক করে বেশ ভালো একটা কাজ করেছেন আপু। এতে করে সময় ও বাঁচবে, আবার কষ্ট অনেক কম হবে। যাইহোক ট্যাক্সি ড্রাইভার জরুরী কাজে দূরে যাওয়ায়, আপনাকে এবং আপনার ছোট মেয়েকে বেশ কষ্ট করতে হলো বাসায় ফেরার সময়। শীতকালে এমন বৃষ্টিপাত এবং বাতাস খুবই বিরক্তিকর। গরমের সময় এমন বৃষ্টি এবং বাতাস থাকলে খুব ভালো লাগতো। যাইহোক কি আর করার, সবই আল্লাহর ইচ্ছা। এতো ঠান্ডার মধ্যে বসে বসে এই পোস্টটি লিখে, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 58495.14
ETH 2461.74
USDT 1.00
SBD 2.36