ডায়েরি! Diary
Source |
---|
এই ছোট্ট শব্দটা আমাদের সকলের কাছে অতি পরিচিত। তবে সব থেকে বেশি পরিচিত সেই মানুষগুলোর সাথে যারা একা থাকতে পছন্দ করেন অথবা যাদের মনের কথা শোনার বা বোঝার মতো মানুষের সংখ্যা কম!
ডায়েরি আমাদের প্রকৃত বন্ধু। আমাদের এমন একটা বন্ধু যে আমাদের মনের সকল কথা জানে। আমাদের মনের সুখ অথবা দুঃখ কোনো টাই তার অজানা নয়। আমরা অনায়াসে সকল অনুভূতি ডায়েরির সাথে শেয়ার করতে পারি।
পরিস্থিতি বিশেষে আমাদের মনে নানা অনুভূতির জন্ম নেয়। যেগুলো হয়ত শেয়ার করার মতো কাউকে পাই না। কিছু কিছু অনুভুতি কাউকে বলেতেও ভালো লাগে না কারন সেই অনুভূতির মূল্য হয়ত কেউ দিতে পারবে না।
প্রত্যেকের কাছে প্রত্যেকের অনুভুতির মূল্য সব থেকে বেশি তাই অন্যেরটা হয়ত বুঝতে পারি না।
Source |
---|
ডায়েরির ভেতরের কাগজটা কলমের আঁচড় লাগলে সেটা যেন আমাদের মনের একটা রূপ রেখা অঙ্কন হয়ে যায়। সবাই বলে, মানুষের চেহারা দেখা গেলেও তার মন দেখা যায় না তবে আমি বলবো, ডায়েরির লেখা পড়ে সেই ব্যক্তির মনের চেহারার প্রতিচ্ছবি আমাদের সামনে ভেসে ওঠে।
জানি না সবাই ডায়েরি লেখে কিনা! তবে নিজের মনে জমে থাকা কথাগুলো যেগুলোর কারনে আমাদের মন ভারি হয়ে থাকে সেগুলো ডায়েরি তে লিখলে মন অনেকটা হালকা হয়ে যায়। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সঙ্গে নিজে কখনও কথা বলেছেন? নিজের মন হালকা করার জন্য বিষয় দুটো কিন্তু অনেকটা একই রকম!
তাছাড়া নিজের জীবনের স্মৃতিগুলো জীবন্ত রাখতেও ডায়েরি অনেক কাজের। জীবনে এমন অনেক ছোট ছোট মুহুর্ত পার করি যেগুলো হয়ত পরবর্তীতে মনে থাকে না তবে সেগুলোকে যদি ডায়েরিতে তালা বন্দী করে রাখি তাহলে সারা জীবন সেটা মনে থাকে।
Source |
---|
আমি জানি সবার মন খারাপ করলে কি করে? তবে আমি একটু চাপা স্বভাবের। মন খারাপ করলে সেগুলো নিজের মনেই চেপে রাখতে বেশি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করি। সেক্ষেত্রে ডায়েরি আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বলতে পারেন আমার বন্ধু।
কল্পনা প্রেমিক মানুষদের কাছে সব সময় একটা ডায়েরি থাকে। তার কল্পনার জগতকে খুব সহজে তার ডায়েরির মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দেয়!
সুখ আর সুখী মানুষ দুটো কিন্তু ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। সুখ এমন একটা মূল্যবান বস্তু যেটা না ধরা যায় আর না ছোয়া তবে সেটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা সকলেই জানি।
টাকা থাকলে দুনিয়াতে সব কিছু পাওয়া যায়। তবে সুখ টাকা দিয়ে কেনা যায় না। যে সুখকে অনুভব করতে পারে সেই প্রকৃত সুখী মানুষ। কেউ মাটির কুঁড়ে ঘরেই সুখি আবার কেউ অট্টালিকায়ও অসুখি।
ভালোবাসার থেকে সুখ বোধহয় আর কিছুতেই নেই। যাকে মনের কথা, অনুভূতিগুলো বললে ভেরতটা হালকা হয় এমন কেউ পাশে থাকলে জীবনে আর কিছুই কি চাওয়ার থাকে?
তবে অন্যের ভালো লাগা, কষ্টগুলোর সাক্ষী হতে গিয়ে জীবনটা ডায়েরির মতো করা উচিত নয় কারন সেখানে ডায়েরি নিজের কষ্টগুলো বোঝানোর সুযোগ পায় না !
অসাধারণ দাদা, এত সুন্দর একটি বিষয়বস্তু নিয়ে আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই দাদা। আমিও ছোটবেলায় অনেক ডায়রিতে লেখালেখি করতাম। আজকে আপনি একটা ডায়েরি মানুষের কত প্রয়োজন এবং ডায়েরিকে আপনি যেভাবে উপস্থাপন তা দৃষ্টিনন্দিত করেছেন সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সত্যি ডায়েরি আমাদের মনে কথা জানে, আমাদের না বলা কথাগুলো ডায়েরি পড়তে পারে। কষ্টগুলো বা খারাপ সময়ের সঙ্গী একমাত্র এই ছোট্ট ডায়েরিটা। আমার লেখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভালো থাকবেন।
আপনার ডাইরিটা পড়ে আমি কিছুটা পিছনে চলে গিয়েছিলাম এবং আমি আমার ডায়েরি টা কে মনে হয় যেন সামনে থেকে দেখছিলাম পুরনো স্মৃতিচারণ হয়ে গেল একবার,,
ডাইরি নিয়ে লেখাটা আপনার বেশ ভালো লেগেছে আমার এবং আপনার প্রত্যেকটা কথা কিন্তু সত্য এবং আমি বিশ্বাস করি ডাইরিতে লেখা প্রিয় মানুষটার প্রতিচ্ছবি খুব কাছ থেকে দেখা যায়।
বিয়ের আগে খুব ডাইরিতে লিখতাম ভালো লাগার বিষয় খারাপ লাগার বিষয়গুলো বাদ দিতাম না তবে এই সময়টাতে এসে ডাইরি লেখা অনেকটা ভুলে গিয়েছি, আর ভুলে যাওয়ার বিশেষ কারণ আছে।
যাইহোক খুবই ভালো লাগলো খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পড়তে পেরে।
ডায়েরি হচ্ছে মানুষের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা সঙ্গী। যেটা মানুষের সাথে কথা বলে। মানুষের মনের কষ্টগুলো জানতে পারে। মানুষ কারো কাছে নিজের মনের কষ্ট শেয়ার না করলেও, একটা কাগজের মধ্যে কিন্তু নিজেদের মনের কষ্টের কথা লিখে রাখে।
একটা মানুষের চেহারার মধ্যে মনের কষ্ট হয়তো বা দেখা যায় না, কিন্তু একটা মানুষের ডায়েরী পড়লে তার মনের কষ্ট কিছুটা হলেও অনুধাবন করা যায়। ডায়েরি এমন একটা জিনিস যেটা মানুষের মনের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে বলে আমি মনে করি।
২০১৫ সাল যে দিন আমরা কলেজ থেকে বিদায় নিয়ে এসেছিলাম, ওই সময় আমি সবার কাছ থেকে বিশেষ করে আমার বন্ধুদের কাছ থেকে ভালোবাসা রক্ষা করার জন্য। তাদের হাতে একটা লেখা লিখে রেখেছিলাম। ডায়েরি টা আমার কাছে এখনো আছে। সেখানে লেখা আছে তাদের কথা যেটা আমার কাছে মাঝে মাঝেই স্মৃতি মনে হলেও, ডায়েরি দেখে নিজের মনটাকে শান্ত করার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ ডায়রি সম্পর্কে এত সুন্দর একটা বিষয়ে আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।