Better Life With Steem || The Diary game || 25th May 2024
Hello Friend's,
নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি সবাই ভালো আছেন। গরমে সবার শরীর স্বাস্থ্য ভালো আছে তো। আজকের পোস্টটিতে আপনাদের সাথে আমার নতুন একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক,
সকালবেলা |
---|
আকাশ পরিষ্কার, আরেকটা রৌদ্রময় দিনের জন্য প্রস্তুত হয়ে নিলাম। বিগত একটা পোস্টে বলেছিলাম ইন্ডিয়াতে আমার ছোট ঠাকুমা মারা গিয়েছে। দেখতে দেখতে ১৩ দিন পার হয়ে গেলো। আজ তার শ্রাদ্ধশান্তির কাজ। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম এবং এই আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাজ ও জিনিসপত্র গোছানোর কাজ করলাম। আমি বড় হওয়ার পর বুঝতে শিখে ছোট ঠাকুমাকে দেখিনি।
অনেক আগেই বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়াতে চলে গিয়েছিলো আর আমি যেহেতু ইন্ডিয়াতে যাইনি কখনও তাই সরাসরি কখনও ছোট দাদু বা ঠাকুমাকে দেখিনি। সরাসরি না দেখলেও মোবাইলে কথা বলেছি এবং ভিডিও কলে দেখেছি তাদের।
WhatsApp এর মাধ্যমে দাদার কাছে থেকে সংগ্রহ করেছি। |
---|
দেখা না দেখায় তো আর সম্পর্কের গভীরতা নির্ভর করে না। হয়ত কখনও সরাসরি দেখিনি, কাছ থেকে তাদের আদর,ভালোবাসা পায় নি তবে তাদের রক্ত যেহেতু শরীরে বহন করছি তাই তাদের প্রতি অন্তরের টান তো অবশ্যই রয়েছে। ২ মাস আগেও যারা আমাদের মাঝে সুস্থ সবল ভাবে চলাফেরা করতো, তারা এখন কেবলই অতীত। জানি না কেন হয়েছে, পরবর্তীতে কি হবে সেটাও জানি না। হয়ত সৃষ্টিকর্তার চাওয়াতেই মাত্র ২ মাসের মধ্যে আমাদের পরিবারের ৩ জন কে হারাতে হলো। আমাদের কারো জীবনেরই কোনো নিশ্চয়তা নেই, এই ভালো তো এই খারাপ। কখন যে কার সাথে কি ঘটে যায় সেটা বলা মুশকিল আর এটা এই দুমাসে খুব ভালো করে অনুভব করেছি।
আমরা প্রয়োজনমতো সকল জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখে ব্রাহ্মণ মশাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। একটু বাদেই উনি চলে আসলো এবং এসেই অন্তেষ্টিক্রিয়ার নিয়ম অনুযায়ী সকল দ্রব্য সামগ্রী সাজিয়ে রাখলো। বাইরে রোদের প্রখরতা প্রচন্ড। উপরে সামিয়ানা টানানো হয়েছে তবে সামিয়ানা থাকা না থাকার কোনো পার্থক্য চোখে পড়ছে না।
সকলে ঘেমে একেবারে একাকার অবস্থা। আমরা যতজন আছি ঠিক ততটা আলাদা আলাদা পাত্রে সব কিছু সুন্দরভাবে গোছানো হলে সকলে মিলে অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ শুরু করি।
আপনারা যারা হিন্দুধর্মাবলম্বী আছেন তারা তো এসবের নিয়ম সবই জানেন। হয়ত স্থানভেদে নিয়মের কিছুটা তারতম্য থাকতেও পারে। তবে এটা সম্পূর্ণ করতে যে অনেক সময়ের প্রয়োজন সেটা তো সবাই জানি।
দুপুরবেলা |
---|
কিছু দিন আগে আমার ঠাকুমার উদ্দেশ্যে প্রায় ১২০০ মানুষের নিমন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো তবে এবার আর এত লোকের আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধুমাত্র আমাদের বাড়ির আশেপাশে বা পাড়ার লোকগুলোকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে আর এজন্য মাছের প্রয়োজন পড়বে। অনেক দিন পর বাবা আর আমি পুকুরে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম।
পুকুরে মাত্র তিন থেকে চার বার জাল ফেললে তাতেই প্রয়োজনীয় মাছ পেয়ে যাই। মাছ নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। সকাল থেকে এখনও কিছুই খাওয়া হয় নি। মাছগুলোর প্রয়োজন আগে ছিলো এজন্য না খেয়ে এই কাজটা আগে শেষ করলাম।
ফ্রেশ হয়ে দুপুরের দিকে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছিলো। এখন আমার আর তেমন কাজ নেই তাই কিছু সময় ঘুমিয়ে নিলাম। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে দেখলাম সকলের জন্য রান্না শেষ হয়ে গিয়েছে। যেহেতু অল্প কয়েকজন লোকের আয়োজন তাই তাড়াতাড়ি রান্না শেষ হলো।
বিকাল থেকে সন্ধ্যাবেলা |
---|
নিমন্ত্রিত সকলের খাওয়া শেষ হলে আমিও শেষ বেলায় খেতে বসলাম। অনেক দিন পর মাছ দিয়ে খেলাম তবে কেন জানি ভালো লাগলো না খেতে।
খবরে শুনছি কয়েকদিনের ভিতর ঝড় আসবে। ঝড়ের কথা শুনলে বুকের মধ্যে কোন এক অনিশ্চিত ভয়ে কেঁপে ওঠে। আর তাছাড়া এত গরম পড়লে পরবর্তীতে ঝড় হয় এটা সবার মুখেই প্রচলিত আছে। প্রতিদিনের মতো আজও মাঠে গিয়ে সবুজ ঘাসের উপর বসেছিলাম।
আমি প্রতিদিনই এসময় মাঠে বসে স্টিমিট বন্ধুদের পোস্ট পড়ি এবং কমেন্ট করি। তবে আজ পরিবেশটা কেমন জানি অস্থির লাগছে। কিছু সময় আগেও তো আকাশ ঠিকঠাক ছিলো তবে মুহুর্তেই সব কিছু পাল্টে গেলো। হঠাৎ করেই চারপাশ অন্ধকারে ছেয়ে গেলো।
সব কিছু যেন চোখের পলকে ঘটে গেলো। সেই সাথে ঝড়ো বাতাসও বইতে শুরু করলো। আবহাওয়া খারাপ হলে বা ঝড় হলে কারেন্ট থাকবে না এজন্য দ্রুত বাড়িতে এসে মোবাইল চার্জে দিলাম। কিছু সময় পর সম্পা দিদি আমাকে মেনশন দিলো এবং কিছু কথা বললাম। বিকালে খাওয়ার কারনে রাতে খিদে পায় নি, তাই খাওয়ার ঝামেলাও নেই।
এভাবে আমি আমার আরেকটা দিনের কার্যক্রম শেষ করলাম। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
কয়েকআগে আপনার লেখাতেই পড়েছিলাম যে আপনার ঠাকুমা ইন্ডিয়াতে মারা গেছেন। তিনি যেখানেই থাকুন ঈশ্বর তার আত্মার শান্তিতে রাখুন।আজকে তার অন্তেষ্টিক্রিয়া ছিল, যা আপনাদের পরিবারেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন যে কাছে না থাকলেও আত্মার টান,রক্তের বাঁধন এটা থেকেই যায়।
আপনাদের বাড়ির আশেপাশের বেশ কিছু মানুষকে খাওয়ানো হবে।
সকাল থেকেই আপনারা এই আয়োজনের কাজে লেগে পরেন।ব্রাহ্মণ মশাই এসে অন্তিষ্টিক্রিয়ার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সাজিয়ে রাখেন। প্রচন্ডরকম এর গরমের কারণে
সামিয়ান ও টানানো হয়েছে।
এরপর আপনারা পুকুরে চলে যান মাছ ধরতে। মাছগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগতেছে।
দুপুরে রান্নার কাজ শেষ হলে আমন্ত্রিত অতিথিরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে চলে গেলে আপনিও খেয়ে নেন।
ঠিকই বলেছেন নিম্নচাপ শুরু হয়েছে আর আপনাদের এলাকা যেহেতু খুলনাতে ওইদিকে ঝড় খুব মারাত্মক হয়,তাই ভয় পাওয়াটাই সাভাবিক।
আপনার তোলা আকাশের ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
কাছের না থাকলেও তাদের প্রতি আত্মার টান ও ভালোবাসা তো রয়েছেই। আজ তার অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ ছিলো সেই উপলক্ষে কিছু জিনিসের বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে তাই সকাল থেকে সেগুলো গুছানোর কাজ করছিলাম। সামিয়ানা টানিয়েছিলাম বটে তবে তাতে লাভ হয়নি।
অনেক দিন পরই পুকুর থেকে মাছ ধরলাম। ঝড়ের কথা শুনলেই আমার ভয় লাগে। আর তার আভাস এখন থেকেই পাচ্ছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করার জন্য। ভালো থাকবেন।
যেহেতু আপনার ছোট ঠাকুমা মারা গেছে। তাই আপনাদের পরিবারের সবাই মিলে তার শ্রদ্ধাঞ্জলির জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। অনেকদিন বাদে মাছ খেয়েছেন তাই হয়তোবা আপনার মুখে ভালো লাগেনি। খেতে খেতে আবার ভালো লাগবে। আমিও শুনেছি ঘূর্ণিঝড় উঠেছে। তবে আমাদের এদিকে বৃষ্টি তেমন একটা দেখাচ্ছে না। আকাশ একেবারে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে, আবহাওয়া কখন পরিবর্তন হয়ে গেছে, তাই পরিবেশ অনেক বেশি অস্থির হয়ে উঠেছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার ছোট ঠাকুমা ইন্ডিয়াতে থাকতো, তাকে সামনা সামনি দেখিনি কখনও। কয়েকদিন আগে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে না ফেরার দেশে আর আজ তার অন্তেষ্টিক্রিয়া তাই সকাল থেকেই হাতে কিছু কাজ ছিলো।
হ্যা, অনেক দিন পর মাছ খেয়েছি এজন্য হয়ত ভালো লাগছিলো না। ঘুর্ণিঝড় উঠেছে আর সেটা আস্তে আস্তে আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছে। ঘড় আসার কথা শুনলে আমার খুব ভয় লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।
আমরা বিগত পোস্টে অবগত হয়েছিলাম আপনার ঠাকুমা ইন্ডিয়াতে মারা গিয়েছে। আসলে এই পৃথিবীতে সবাই চিরদিন বেঁচে থাকে না। শুধু মানুষের স্মৃতিগুলো সারা জীবন থেকে যায়।
আপনার ঠাকুমার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। তবে এর আগেও অনেক লোককে দাওয়াত করে খাওয়াইছেন। তবে এবার এত লোককে দাওয়াত করেননি। সারাদিন দেখলাম বেশ ব্যস্ততার মাঝে দিন পার করেছেন।
ব্যস্তময় একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যা, আমাদের জীবনের সাথে কিছু ঘটলে তো এখন স্টিমিট প্লাটফর্মের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। ঠাকুমা মারা গেলেও সেটা আপনাদের বলেছিলাম। মানুষ আজীবন আমাদের মাঝে থাকবে না। বয়সের ভারে একদিন সব ছেড়ে চলে যেহে হয়।
কিছুদিন আগে বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিলো তাই এবার আর বড় করে কোনো অনুষ্ঠান করিনি। হ্যা সারাদিন একটু ব্যস্ততার মধ্যে তো ছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।