স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আমার ছালাম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই বোনদের আন্তরিক শুভেচছা।আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।মাছের রেসিপি প্রতিযোগিতায় আমার অংশগ্রহণ। টমেটো দিয়ে কার্প জাতীয় মাছ রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ দেশে রয়েছে অসংখ্য নদী- নালা,খাল- বিল,হাওড়-বাওড় ইত্যাদি।এসব নদী ও খাল- বিলে রয়েছে অসংখ্য প্রজাতীর মাছ।তারই এক প্রজাতীর মাছ হল কার্প জাতীয় মাছ। এসব মাছ এখন সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে।কার্প জাতীয় মাছ বলতে রুই জাতীয় মাছকে বোঝায়।এসব মাছ মূলত দেশীয় মাছ নয়।এদের উৎপত্তিস্থল আমার ঠিক মনে নেই।তাই লিখতে পারছি না।কার্প জাতীয় মাছের মধ্যে রয়েছে রুই,কাতলা,মৃগেল,কালবোস, সিলভার কার্প,গ্রাস কার্প,মিরর কার্প ইত্যাদি। এসব মাছ পুকুরেও চাষ করা যায়।কার্প জাতীয় মাছের সুবিধা হল এরা তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে এবং এরা ঘাস,খড়কুটোসহ যেকোনো খাবার খেতে পারে। এরা পুকুরের উপরের স্তরে ভেসে বেড়ায়।তবে পুকুরের পানিতে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়ে থাকলে এদের পানির উপরের অংশে খাবি খেতে দেখা যায়।
|
🐠কার্প জাতীয় মাছের রেসিপি🐟🐟 |
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
কার্প জাতীয় মাছ | ১ কেজি |
টমেটো | ২টা মাঝারি সাইজের |
কাঁচা মরিচ | পরিমান মতো |
পেঁয়াজ কুচি | ৪কাপ |
হলুদ গুড়ো | ১টেবিল চামচ |
জিরা বাটা | ১চামচ |
মরিচ গুড়ো | ১ টেবিল চামচ |
তেল | পরিমাণ মতো |
লবন | পরিমান মতো |
পানি | পরিমান মতো |
- চলুন রান্না শুরু করা যাকঃ
টমেটো দিয়ে কার্প জাতীয় মাছের রেসিপি তৈরিতে যা যা উপকরণ গুলো লেগেছে তার মধ্যে প্রথমে পিয়াজ কুঁচি কুঁচি করে কেটে নেয়া হয়েছে। এরপর কয়েকটি কাঁচা মরিচ দুই ভাবে কেটে নেয়া হয়েছ। এরপর দুটি মাঝারি সাইজের টমেটো চার ভাগ করে কেটে নেয়া হয়েছে। এরপর মসলা বাটা, লবন,হলুদ, সব উপকরণ গুলো নিয়েছি। |
প্রথমে আমি মাছগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি।ধুয়ে নেয়ার পর একটি পরিষ্কার পাত্রে লবন ও হলুদ দিয়ে মেরিনয়েট করে নিয়েছি।মেরিনয়েট করে ১০ মিনিট রেখেছি। |
প্রথমে আমি কড়াইয়ে তেল নিয়েছি এবং এতে কুচি কুচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়েছি। |
এরপর পেঁয়াজ বাদামী বর্ণের হয়ে এলে এতে মসলা বাটা,বেটে রাখা মরিচ ও বেটে রাখা রসুন দিলাম। এগুলো দেয়ার পর ২ মিনিট ভেজে নিলাম। |
এরপর এতে ১ চামুচ শুকনো মরিচের গুঁড়ো দিলাম ভালো কালারের জন্য।এরপর এতে কেটে রাখা টমেটো দিয়ে দিলাম ও এগুলো একটু ভেজে নিলাম।দেয়ার পর একটু পানি দিয়ে দিলাম। |
পানি দেয়ার পর কিছুক্ষণ কষে নিলাম যাতে টমেটো সিদ্ধ হয়ে যায়। |
টমেটো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে এলে এতে মরিনয়েট করা মাছগুলো ঢেলে দিলাম। |
মাছগুলো দেয়ার পর এগুলো একটু কষে নেব।তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে মাছগুলো যেন ভেঙে না যায়। |
এরপর ভালোভাবে কষা হয়ে গেলে এতে প্রয়োজনীয় পানি দিলাম।পানি দেয়ার পর মাছের ডিমগুলি দিয়ে দিলাম। |
এরপর কড়াই এর ঢাকনা বসিয়ে দিলাম এবং ১০ মিনিট পর ডিমগুলি ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে এলে তরকারি নামিয়ে নিলাম। |
|
পরিবেশন করা সময়ে বাটিতে ঢেলে নেয়া হয়েছে |
তরকারি নামিয়ে নেয়ার পর এগুলো একটি সুন্দর বাটিতে ঢেলে নিলাম।আমি এই ছোট বাটিতে মাছের একটি মাথা,একটি পিঠের অংশের ফালি ও মাছের ডিমের কিছু অংশ নিয়েছি। সাথে তরকারির ঝোল ও টমেটো দিয়েছি।আমি খুব সাধারণভাবে প্লেটিং করেছি।এরপর আমি পরিবারের সদস্যদের সাথে গরম ভাতের সাথে উপভোগ করেছি।আপনারা চাইলে সাথে শাক কিংবা শসার সালাদের সাথে খেতে পারেন।
মাছ প্রোটিনের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। মাছে আমরা প্রচুর পরিমানে প্রোটিন বা আমিষ পেয়ে থাকি। মাছে থেকে আমরা অতি প্রয়োজনীয় ৩ ওমেগা ফ্যাটি এসিড পেয়ে থাকি।এছাড়া আমরা মাছে ভিটামিন বি ও ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি। যা রিকেটস রোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া মাছে ক্যালসিয়াম,ফসফরাস রয়েছে।মাছ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। মাছ উচ্চ রক্তচাপ কমায়।হৃদরোগীদের জন্য মাছ অনেক উপকারী।
ডিভাইজ সংক্রান্ত তথ্যঃ
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
আপনার মাছ রান্নার রেসিপি দেখে আমার মুখে জল চলে আসলো। আমার বড় বোনেরা এতো সুন্দর করে মাছ রান্না করতে পারে।আপনি রেসিপির প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপাস্থপনা করেছেন আপু।ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাছের রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে। মাছের রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার। আপনার তোলা ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।
ধন্যবাদ
চমৎকার রান্না করেন আপনি, আপনার রান্নার প্রতিটি ধাপ আমার কাছে অসাধারণ লাগছে। অনেক লোভনীয় ছিলো আপু,অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
পোস্টটি সাজানো গোছানো উপস্থাপন করেছেন দেখে সত্যি ভালো লাগল। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি মোটামুটি ভালোই আছে। তবে আপনার পোস্ট দেখে সত্যি খেতে ইচ্ছে করছে 😀।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু। 💞
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
আপনার পোস্ট কোয়ালিটি দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ। আপনার পোস্টে অনেক বেশি ছবির ব্যবহার এবং প্রত্যেকটি ধাপ সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের একদিন দাওয়াত দিয়েন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য আপু
অবশ্যই ভাইয়া🥰ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
বাহ আপি আপনি তো দারুণ রান্না করতে পারেন। মাছ রান্নার রেসিপি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। কি কি উপাদান এবং কতটুকু লাগবে সেটাও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আপনার রান্নার প্রতিটি ধাপ সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
কার্প মাছের রেসিপি খুব সুন্দর আপনি উপস্থাপন করেছেন।সবগুলোই বেশ ভালোভাবে লিখেছেন ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। অনেক সুন্দর লাগতেছে আপনার পোস্টটি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভকাম রইল।
ধন্যবাদ
আপনি টমেটো দিয়ে কার্প জাতীয় মাছের খুব সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ধাপ স্বচ্ছ এবং সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
কার্প জাতীয় মাছের রেসিপি দেখে জিভে পানি চলে আসছে। অনেক সুন্দর করে কার্প জাতীয় মাছের রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিটি ধাপ বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখিয়েছেন।
ধন্যবাদ