নতুন ফোন কিনতে গিয়ে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে ফোন কেনার কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই ব্ল্যাকসের ফোনটা বদলানোর ছিল।আসলেই কিছুদিন ধরেই কোনো জিনিস ব্যবহার করলে সেটার প্রতি মায়া পড়ে যায় ।তার মধ্যে ফোন হল তেমনিই।সেই ভাবেই যখন ফোনটা বদলানোর ছিল কিছুতেই বদলাতে চেয়েও পারছিল না । কদিন পর বদলাবো করে আর বদলানোই হচ্ছিল না ।কিন্তু ঠিক ফোন বদলানোর মুহূর্ত চলেই এলো আমাদের। কারণ ভাইফোঁটার দিন আমি দাদাকে ভাইফোঁটা দিতে গেছিলাম অনেকেই হয়তো জানেন ।সেই পোস্ট আমি পরে করবো। ঠিক সেই দিনকেই দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়ার পর একটু সবাই মিলে গল্প করছিলাম ।আর টিনটিন কোনো কারনে ওই সময়টা খুব কান্নাকাটি করছিল, কোনো কিছু দিয়ে ওকে থামানো যাচ্ছে না। তাই জন্য আমি প্রথমে আমার ফোনটা দিয়েছিলাম ,কিছুক্ষণ ফোন ঘাটার পরই আমার ফোনটা ছুড়ে মারে কিন্তু কিছু হয়নি।আবার কি মনে হলো ব্ল্যাকস এর ফোনটা হাতে দিতেই চোখের নিমেষের মধ্যেই ওর ফোনটা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ব্যাস সাথে সাথে ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গেল। আর কোনো ভাবেই ফোনটা চলছিল না । ওর ওই ফোনটার মধ্যেই সমস্ত রকম কলেজে ইনফরমেশন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু ছিল। তাই ফোনটা ঠিক করা খুবই দরকার ছিল। হয়তো সারাতে পারতাম কিন্তু ওই ডিসপ্লে সারাতে ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচা ছিল তার থেকে আমি মনে করি নতুন ফোন কেনাই ভালো। যথারীতি তারপরের দিনকেই আমরা ফোন কিনতে যাই ।
আর ফোন কেনার জন্য আমরা ডায়মন্ড প্লাজা রিলায়েন্স ডিজিটাল এ গিয়েছিলাম ।ওখান থেকেই ফোন নিয়েছি। আর ব্ল্যাকস এর আগের ফোনটাও যেহেতু ওয়ানপ্লাস ছিল তাই এবার এর নতুন মডেলটা নেবে বলেই ঠিক করেছে ও।তাই one plus 10R এই মডেলটি কিনেছে ।ক্যামেরা দুর্দান্ত। এই ফোনটার দাম প্রায় ৪০ হাজারের কাছাকাছি পড়েছে ।যেহেতু আগে থেকেই যেটা পছন্দ ছিল সেটাই কিনেছে তাই ফোন তাড়াতাড়ি কেনাও হয়ে গেল ।তারপর আমরা শপিং করে ওখান থেকে বেরিয়ে গেলাম ।
ঘুরতে বেড়িয়েছি যখন একটু তো খাওয়া দাওয়া করতেই হবে। আর ও চাইনিজ খেতে খুব ভালোবাসে তাই ওকে নিয়ে নতুন একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গেলাম ।এর আগে এই রেষ্টুরেন্টের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছিলাম।এই রেস্টুরেন্টের প্রত্যেকটি খাবারের মান খুব ভালো ।বলতে গেলে ভীষণ টেস্টফুল । আর সেদিনকে আমরা যা অর্ডার করেছিলাম তাই ১০ মিনিটের মধ্যে সার্ভ করে দিয়েছিল। খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি আমাদেরকে।আমরা প্রথমে মাশরুম চিকেন স্যুপ, চিকেন পকোড়া আর সিজলার অর্ডার দিয়েছিলাম। সিজলার আমার ভীষণ প্রিয়। আর ব্ল্যাকসকেও আমি অনেকদিন ধরে এই খাবারটির কথা বলেছিলাম সেজন্যই সেদিন গিয়ে প্রথমেই সিজলার অর্ডার করেছিলাম ।আর একটা কথা আমি খুব সেলফি তুলতে ভালবাসি তো ফোন কেনার সাথে সাথেই মোটামুটি যত ফটো তোলা যায় আর সংখ্যাটা বললাম না অনেক ফটো তুলেছি ।যাইহোক ফোনটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আর ওকে বলেও রেখেছি এরপর যখন আমরা ঘুরতে যাব এই ফোনটা নিয়ে যাব 😅।যাই হোক খুব ভালো কেটেছিল শুক্রবারের সন্ধ্যাটা । এরপর খাওয়া দাওয়া করে গল্প করে বাড়ি চলে এলাম।
হ্যাঁ দাদার পোস্টে দেখলাম যে দাদা গরীব বলে নাকি ৩৮০০০ টাকার ফোন কিনেছেন। 😄 বেশ ঘোরা সাথে খাওয়া হয়েছে। ফোনটাও দেখে বেশ ভালো লাগলো। ওয়আন প্লাসের ছবি সত্যিই অতুলনীয়।
আসলে আপু আমরা প্রায় সবাই এখন ফোন কিনতে গেলে আগে থেকেই ফোন পছন্দ করে রাখি। এখন অনলাইনের মাধ্যমে ফোন দেখে পছন্দ হয়ে যায়। যার কারণে ফোন কিনতে আর দেরি হয় না। যেহেতু ছোট দাদার আগে থেকে পছন্দ ছিল তাই ফোন কিনতে দেরি হয়নি।৪০ হাজারের কাছাকাছি দাম নিয়েছিল ফোনের ক্যামেরাটা দারুন। তো আসলে আমি এই ফোনের রিভিউ দেখেছি। খুবই ভালো, যাইহোক আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
আসলেই দিদি ১৪/১৫ হাজার টাকা দিয়ে ফোন ঠিক করার চেয়ে নতুন ফোন কেনাই ভালো ৷ তবে ঠিক বলেছেন ফোনের প্রতি একটা মায়া থাকে ৷ যাই হোক দাদা নতুন ফোন কিনলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ ফোন কিনার পর খাওয়া দাওয়া , ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে ৷ ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করারর জন্য ৷
আসলে আপু বাচ্চারা রেগে গেলে কোন কিছু দিয়ে সামাল দেওয়া মুশকিল । তবুও আপনার ফোনের কিছু না হলেও ব্ল্যাক্স ভাইয়ার ফোনটা নষ্ট হয়ে ছিল । অবশ্য নষ্ট হয়ে একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে কিন্তু । বেশ ভালো একটি কাজ করে দিয়েছে টিনটিন ।যেহেতু মোবাইলটা মায়ায় পরে পাল্টাতে পারছিল না এখন পাল্টানো অনেক সহজ হয়ে গেল । বেশ ভাল ছিল আপনার লেখাটা । খাবারগুলো বেশ লোভনীয় ছিল । আপনারা খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন ছবি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি । ধন্যবাদ ।
ছোটদের মাঝে মধ্যেই এমন রাগ উঠে। যাক দাদা নতুন ফোন কিনলো যেনে ভীষণ খুশি হলাম। one plus 10R ফোনটির ক্যামেরা তো অসাধারণ। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
দাদার ফোন কেনার ব্যাপারটি দাদার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। আসলে টিনটিন হয়তো রেগে গিয়ে ফোনটা আছাড় মেরেছে। একদিক থেকে ভালই হয়েছে। নতুন ফোন কেনা হয়েছে। পুরনো ফোনের প্রতি সত্যি সবার অনেক মায়া তৈরি হয়। তবে আপনাদের দুজনের যেহেতু ফোনটি পছন্দ হয়েছে তাই জেনে ভালো লাগলো। আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে ফোন কিনতে গিয়েছেন এবং সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে সময় কাটিয়েছেন ও পছন্দের খাবার খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো প্রত্যেকটি সন্ধ্যা কিংবা প্রত্যেকটি মুহূর্ত অনেক সুন্দর হয়।
যাইহোক টিনটিনের বদৌলতে নতুন ফোন হয়ে গেলো হাহা☺️।ওয়ান প্লাস এর ফোন গুলো যথেষ্ট ভালো আর ক্যামেরা তো বরাবর দুর্দান্ত।আর আপনাকে কিন্তু দাদার পাশে দারুন লাগছে।একদম পারফেক্ট কাপল😍।ভালোবাসা অবিরাম আপনাদের দুজনের জন্য।🖤
টিনটিন বাবু এমনই রেগে গেলে সব রাগ ফোন এর উপর দিয়ে চালিয়ে দেয়। হাঃ হাঃ হাঃ... তবে টিনটিন বাবুর দৌলতে তোমার একটা নতুন ফোন হয়ে গেল এটাই বা খারাপ কি।😁
হায় হায়...আমি তো জানি তান্দুরি চিকেন খেতে দাদা বিশাল ভালোবাসে। তাহলে কি আমি ভুল জানি....🥺
হুম ঘটনাটি একটু আগেই দাদার পোষ্টের কল্যানে পড়েছিলাম, শিশুদের এই আচরণটা এখন খুব বেশী দেখা যাচ্ছে, মাঝে মাঝে আমার ফোনের ক্ষেত্রেও এমন হয় তবে এখন পর্যন্ত আমার ফোনটি ভাগ্যবান হিসেবেই বেঁচে আছে হা হা হা। ফটোগ্রাফি এবং খাবারের দৃশ্যগুলো বেশ দারুণ লেগেছে, তবে হ্যা, দ্রুত খাবার সার্ভ করার রেষ্টুরেন্টগুলো আমার কাছে ভালো লাগে। ধন্যবাদ
আপু একটা কথা কি ব্ল্যাক দাদা ফোনটা পাল্টাতে চাইছে না তাই টিনটিন সোনামণি এটা ফেলে দিয়েছে। যাতে খুব দ্রুতই নতুন ফোন কিনতে পারে হাহাহা ।ফোনের মডেল কিন্তু খুব চমৎকার বোঝা যাচ্ছে ফ্রেশ হবে ক্যামেরা ।যাই হোক অবশেষে খুব দামী একটি ফোন কিনেছেন প্রায় 40 হাজার টাকা পড়েছে মোবাইলের দাম ।সেই সাথে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দুজনে চাইনিজ খেয়েছেন ।