মাইকেল নগর ধাবাতে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে মাইকেল নগর ধাবাতে কিছুটা সময় ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বেশ কয়েকদিন ধরে সকলেরই জ্বর সর্দি কাশি লেগেই রয়েছে। সকলেই বেশ অসুস্থ বাড়িতে ।তার মধ্যে বাড়ির লোকজন অসুস্থ থাকলে খুব একটা ভালো লাগে না ।তবুও দিদিভাইয়ের এখন কিছুটা শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে আগের থেকে। আশা করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
যাই হোক আমি কিছুদিন আগে অসুস্থতার কারণে বাবার বাড়ি গিয়েছিলাম ।আর আজ শ্বশুর বাড়ি থাকে ফেরার পথে হঠাৎ করেই ব্লাক্স চা খাওয়ার কথা বলছিল ।সামনেই মধ্যমগ্রাম ধাবা ছিল।
এই ধাবা মধ্যমগ্রামে খুবই জনপ্রিয় বলা যেতে পারে। কারণ এই মাইকেল নগর ধাবা চেনেনা এমন কেউ নেই। এই ধাবা চব্বিশ ঘন্টাই খোলা থাকে ।এবং এখানকার খাবারে মান খুবই ভালো। আমি এখানে লাস্ট খেয়েছিলাম ২০১৬ সালে। প্রায় ছয় বছর পর আবার এখানে চা খেতে আসার জন্য নামা।
ভেবেছিলাম দু কাপ চা খেয়ে চলে যাব কিন্তু ব্ল্যাক্স বলল এখানে চিকেন পকোড়া খুব ভালো খেতে, তাই একবার খাওয়ার জন্য নিলাম। ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে এসেছিল। সত্যি বলতে তখন আমার খিদেও পেয়ে গিয়েছিল ।তাই গরম গরম চিকেন পকোড়া আসাতে তাড়াতাড়ি একটা মুখে তুলে নিলাম এবং সত্যিই চিকেন পকোড়ার টেস্ট দারুন ছিল ।আর খিদে পেলে সব খাবারের টেস্ট দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
আর এই মাইকেল নগর ধাবার পাশেই এয়ারপোর্ট ।বাইরে প্লেন নামার দৃশ্য আর ধাবায় জমিয়ে খাওয়া দাওয়া ।আলাদাই এক রকম ভালো লাগছিল। বেশ খানিকটা সময় একটু গল্প করলাম। এরকম ধাবায় খেতে খুব ভালোই লাগে ,যেহেতু অনেকটা সময় পর এই চেনা জায়গাতে আসা।তারপরে চলে এলো গরম গরম আদা দেওয়া দুধ চা । পকোড়ার সাথে চা যেন মনে হচ্ছিল মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ,এতটাই ভালো ছিল। সব মিলিয়ে ভালোই একটা সময় কাটে শ্বশুরবাড়ি চলে এলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রথমেই আপনাদের পরিবারের সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি বৌদি। মাইকেল নগর ধাবাতে গিয়ে তো গরম গরম চিকেন পকোড়া বেশ মজা করে খেয়েছেন বৌদি। চিকেন পকোড়া আমার ভীষণ পছন্দ। ঠিক বলেছেন বৌদি, ক্ষুধা লাগলে যে কোনো খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। যাইহোক এরপর গরম গরম আদা দেওয়া দুধ চা খেয়ে শ্বশুড়বাড়িতে চলে গিয়েছেন। সবমিলিয়ে আপনারা দু'জন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বৌদি। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বৌদি আপনার পরিবারের সকলের শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি। ঠিক বলেছেন বৌদি পরিবারের একজন অসুস্থ হয়ে থাকলে সবার ভিতরে টেনশন কাজ করে। পাকোড়ার সঙ্গে চা আসলেই অসাধারণ খাবার। চিকেন পাকোড়া ও চা বেশ লোভনীয় লাগছে। এটা ঠিক বৌদি ক্ষুধা লাগলে যে কোন খাবার অনেক সুস্বাদু লাগে। অনেক ধন্যবাদ বৌদি দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমাদের এখানে রং চায়ের সাথে আদা দেওয়া হয় কিন্তু দুধ চায়ের সাথে আদা কখনো খাওয়া হয়নি। তবে চায়ের সাথে পাকোড়ার যে একটা কম্বিনেশন সেটা কিন্তু আমার কাছেও দারুন লাগে। আপনার আর দাদার কাটানো সুন্দর সময়টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
বড় বৌদির পোস্টে সম্ভবত দেখলাম সকলেই অসুস্থ। প্রথমেই সকলের সুস্থতা কামনা করতেছি। আজকে তো আমি প্রথম শুনলাম থাবা। আপনাদের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারি, যা আগে দেখি নাই। চিকেন পকোড়া টেস্ট বেশ দারুন ছিল জেনে অনেক ভাল লাগল এবং মনে হচ্ছে মুহূর্তটি বেশ সুন্দরভাবে উদযাপন করেছেন।
দিদিভাই, এটা সত্য বলেছেন বাড়ির লোকজন অসুস্থ থাকলে আসলে মনটা ভালো থাকে না। দীর্ঘদিন পরে মধ্যমগ্রামের ভাবাতে যে, আপনারা বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন, তা কিন্তু লেখা পড়েই বোঝা যাচ্ছে। দারুন উপভোগ করলাম ব্লগটি।
ওয়েদার পরিবর্তন হওয়ার কারণে সবারই একই অবস্থা দিদি। ঠান্ডায় সর্দি লেগে যাচ্ছে। তবে আপনার দিদি ভাইয়ের সুস্থ্যতা কামনা করছি। যাক, ধাবাতে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। দীর্ঘ ছয়বছর পর সেখানে গেলেন দাদাকে নিয়ে, পুরনো স্মৃতি এখনও রয়ে গেছে। দুধের মাঝে লেবু এমন চায়ের স্বাদ অন্যরকম হবে।
এখন সবারই কম বেশি শরীর খারাপ হচ্ছে দিদি, একটু সাবধানে থাকবে তাহলে আর সমস্যা হবে না। মাইকেল নগর ধাবায় আমিও একসময় যেতাম। তবে বেশ কিছু বছর হয়ে গেছে, ওদিকে আমারও যাওয়া হয় না। তবে অবাক হলাম এটা জেনে যে, তুমি প্রায় ছয় বছর পর এই ধাবায় গেছো তাও আবার দাদার সাথে। আর এমনিতেও আমাদের দাদার চিকেন পকোড়া খুব পছন্দের খাবার। যাই হোক, তুমি আর দাদা মাইকেল নগর ধাবায় বসে সুন্দর সময় কাটিয়েছো এবং টুকটাক খাওয়া দাওয়া করেছ, এটা জেনে বেশ ভালো লাগছে দিদি।
প্রথমেই বৌদির জন্য অনেক অনেক দোয়া করে দিদি তিনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন। শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে সময়টা বেশ ভালো উপভোগ করেছেন দিদি। আমরাও মাঝে মাঝে কোথাও যেতে হলে এ ধরনের বিষয়গুলো হয়ে থাকে যা সত্যিই অনেক আনন্দদায়ক হয়।
মাইকেল নগর ধাবাতে চিকেন পাকোড়া,দুধ চা সেই সাথে পুরাতন স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দারুন একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। আসলে মাঝে মাঝে মন চাই আবার মুক্ত পাখির মত হাওয়ায় উড়ি,চলে যায় দিগ দিগন্তে। ধন্যবাদ দিদি।
দিদি আমাদের ছোট দাদা আপনাকে খুব ভালোবাসে বুঝাই যাচ্ছে। বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময় মেয়েদের খুব মন খারাপ হয় কিন্তু দাদা আপনাকে সেই সুযোগ দেয়নি বরং আপনাকে মাইকেল নগর ধাবাতে নিয়ে গিয়ে ভালো একটা সময় উপহার দিয়েছেন। যাতে করে আপনার খারাপ লাগাটা না থাকে। তাছাড়া দীর্ঘ দিন পর পরিচিত জায়গায় গিয়ে নিশ্চয়ই আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এটা ঠিক বলেছেন অতিরিক্ত খিদা পেলে যেকোনো খাবার টেস্টি লাগে। আপনারা দু'জন সেখানে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তা বেশ বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।