কিছু কঠিন বাস্তব সত্য
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ অনেক কথা বলতে ইচ্ছা করছে কিন্তু কিভাবে বলবো!কিভাবে শুরু করবো! আমি জানিনা তবুও আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে নিজের চিন্তা ভাবনা থেকে লেখা। এবং সেখান থেকে কিছু প্রশ্ন আপনাদের জন্য রাখা ।আশা করি সকলের খুব ভালো লাগবে।
মানুষের জীবনটা খুবই গতিশীল ।আর আমার সেই গতিশীল মানুষের জীবন নিয়ে কিছু ভাবনা মনের মধ্যে এসেছে ।তাই লিখছি ।আমি মনে করি প্রত্যেকটি মানুষ কোনো না কোনো কাজে ঠিক পারদর্শী হয়। পারদর্শী বলতে আমি এখানে যে কোনো ধরনের কাজের কথাই বলছি। এমনকি যে সকল মানুষ শারীরিকভাবে অক্ষম হয় অর্থাৎ যাদের হাত-পা থাকে না সেই সকল মানুষের মধ্যেও কিছু না কিছু ক্রিয়েটিভিটি রয়েছে ।যাদের হাত থাকে না তারা ঠিক পা দিয়ে লিখতে পারে, যাদের পা থাকে না তারা ঠিক হাতের উপর ভর করে হাঁটতে পারে ।অদ্ভুত মানুষের এই জীবনটা ।আসলে জীবনে চলতে গেলে বা চলতে চাইলে যেকোনো ভাবেই চলা যায়। শুধু নিজের মনটাকে স্থির করে লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আজকে বিষয়টি হল আমরা প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো কাজে দক্ষ থাকি ।কিন্তু দক্ষ থাকলেও সেই সকল জিনিস সবসময় সমান ভাবে প্রাধান্য পায়না।
চলুন তাহলে একটা উদাহরণ দিয়েই বোঝাই-
ধরুন কোনো একটি ছেলে খুব ভালো ক্রিকেট খেলে ,হয়তো প্রথম পাড়ার মাঠে খেললো।তাতে করে বোঝা গেল যে সে খুব ভালো ব্যাটিং করতে পারে ।এরকম ভাবেই সে নানান জায়গায় খেলতে লাগলো এবং নানানরকম কম্পিটিশনে গিয়েও সে খুব ভালো পজিশন পেলো । কিন্তু তখন ও পর্যন্ত তাকে আমরা সহজে চিনতে পারি না, যতক্ষণ না সে কোনো স্টেটের হয়ে খেলছে বা আন্তর্জাতিক কোনো খেলায় নাম করেছে। কিন্তু যখন সে একটা বড় পজিশনে পৌঁছে যায় তখন আমরা সকলে যা জানতাম সেখান থেকে হঠাৎ করে তার সুনাম করতে লাগলাম ।এমনকি কিছুদিন আগে পর্যন্ত ও যখন সে নরমাল ভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মাঠে খেলতো তখন কিন্তু অত নাম করতাম না ।আমার প্রশ্নটা ঠিক এই জায়গাটাতেই কেন প্রত্যেকটা মানুষ তার পজিশনটাকে বিশ্বাস করে তার সাধারনত্বটাকে কেন তারা মেনে নিতে পারে না ?কেন সেই ছেলেটি মাঠে যখন খুব ভালো করে খেলতো তখন তাকে কেন সহজ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হতো না? আর কেনইবা সে নাম করার পর এত গুরুত্ব পাওয়া শুরু করল!তার সাথে এটাও কথা ছেলেটি একটা জায়গায় যাওয়ার পর তার ছোটো ছোটো মুহূর্তগুলোকেই অনেক বড় করে সকল মানুষ দেখতে লাগলো??
দ্বিতীয় ভাবে আরেকটি জিনিস, ধরুন ছেলেটি ক্রমাগত ভালো খেলেই চলেছে এবং সেই খেলার জন্য সে অনেক ভালো জায়গায় পৌঁছে গেছে। আর আমরা তার ভালোটার প্রত্যেক মুহূর্তে নাম করে যাচ্ছি । এবার কথা হচ্ছে ধরুন ,কোনোভাবে ছেলেটির কোনো ধরনের বিপদ হলো। ধরুন এমন একটি বিপদ হল যে ছেলেটি ভবিষ্যতে আর খেলতেই পারবে না। তাহলে তো বুঝতেই পারছেন এক লহমায় তার তিল তিল করে গড়ে ওঠা সমস্ত স্বপ্ন খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ।এবং সে সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে আর খেলতেই পারলো না আর আমরা ঠিক এক ভাবে ছেলেটাকে একদম পিছনে ফেলে দিলাম। তার যে ভালো কাজ তার যে ভালো খেলা সব একনিমেষে ভুলে গেলাম। এবার বলতে পারেন কেন আমরা প্রত্যেকটা মানুষ শুধু তার অবস্থানটাকে বিশ্বাস করি?কেন আমরা সাধারণ মানুষের সব থেকে ভালো গুন গুলো ঠিক সময় খেয়াল করি না! কেন ???
কেন একটা মানুষ দাঁড়ালেই বা একটা পজিশনে গেলেই গুরুত্ব পায় ? সবার কাছে আমার এই প্রশ্নটা রইল। আশা করি আমার পোস্টটি পড়বেন এবং প্লিজ উত্তরগুলো দেওয়ার চেষ্টা করবেন । এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এবং নিজের চোখে দেখা ঘটনা। তাই আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। এবং আপনাদের উত্তরের আশায় রইলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
চলমান জীবনে কোনো মানুষ অক্ষম হলেও কোনো না কোনো একদিক থেকে সে এগিয়ে থাকে।তার মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা থাকে।যখন ছেলেটি পাড়ার মাঠে খেলতো তখন শুধু ঐটুকুই তার গন্ডি ছিল কিন্তু যখন সে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলছে তখন অনেকটা মানুষের কাছে বিষয়টি বিস্তৃত হচ্ছে ।তার দক্ষতার সুনাম ছড়িয়ে তার পজিশন তৈরি করে দিচ্ছে আমার ধারনায়।ধন্যবাদ দিদি,সুন্দর লিখেছেন।
প্রথমে আপু আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েই শুরু করি। আমার মনে হয় একটা মানুষ যখন কোনো ভালো পজিশনে থাকে তখন সে সবার কাছে সম্মান পায় কারণ আমরা মানুষরা সবাই তেলের মাথায় বেশি তেল দিতে পছন্দ করি। কিন্তু তেল ছাড়া মাথা কেউ পছন্দ করেনা। যাই হোক আজকে আপনার উদাহরণটা ছিল দুর্দান্ত। আমার আসলে খুব মায়া হয় যারা কেবল ভালো সময় সম্মান পায়।
মানুষের হাতে কি আসলেই সময় আছে প্রত্যেকটা মানুষকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার। আসলে এত কিছু নিয়ে যদি ভাবতে হয় তাহলে তো প্রত্যেকটা মানুষকে নিয়েই ভাবতে হবে, সেটাও তো অসম্ভব। এজন্য হয়তো মানুষ একটা পজিশনে গেলে তারপর তাকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে। কারণ খুব কম মানুষই আছে যারা জীবনে ভাল রকমের সাকসেসফুল হতে পারে। তুমি একটা জিনিস চিন্তা করো দিদি, তুমি নিজেও কি তোমার পাড়ার সব ছেলেদের বা মেয়েদের ভালো করে চেনো, যারা উপরে উঠার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে। হয়তো দুই একজনকে চেনো যারা সেই জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে।
আমি সেটা বলিনি দেখো আমি বলেছি আমরা সব জেনেও তাদেরকে সেই সময়টা উৎসাহ দিই না ,তার সাথে আমরা তাদের একটা আলাদা জায়গায় ও করে দিই না। কিন্তু সে যখন নিজের চেষ্টায় সেই জায়গায় পৌঁছায় তখন আমরা খুব বেশি করে গুরুত্ব দিই।এটাই বলার ছিল ।
তাহলে আমার পড়ার ভুল হয়েছে হয়তো। দাড়াও তাহলে আর একবার ভালো করে পড়ি।🤭
🙄 ঠিক আছে
দিদি আপনার চিন্তাধারার সাথে আমার চিন্তাধারার অনেকটাই মিল রয়েছে। আমি একটি বিষয়ে বলতে চাই ধরুন কোনো একটি মহান ব্যক্তি যে ব্যক্তি ভালো পজিশনে আছে সেটি কথা বললে সেটা উপদেশ হিসেবে সবাই পোস্ট করে এবং বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই কথাগুলো কিন্তু আমরা সাধারন মানুষ বলতে পারি কিন্তু সেই বিষয়গুলো এতটা ভাইরাল হয় না, আবার সেই কথাগুলো গুরুত্ব থাকে না। সেটা এই সমাজের নিয়মের কারণে।
ঠিক, এই জিনিসটাতেই আমার প্রশ্ন
সত্যিই কি সমাজের নিয়ম ?
আমরা সব কি সমাজের নিয়মে চলি ?
নাকি আমাদের মানসিকতাই এক রকম হয়ে গেছে সবার ?
দিদি, মানুষ সমাজকে দোষারোপ করেই এমন কাজ করে, প্রকৃত পক্ষে মানুষকে নয়, পজিশনকে সবাই শ্রদ্ধা করে। তবে আমাদের মনুষত্ব আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই সব বিষয় নিয়ে ভাবা উচিৎ। ধন্যবাত দিদি।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে । আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ দাদা।
জি দিদি, আপনার এই পোস্টের উপর ভিত্তি করে আজ একটি পোস্ট লিখতে বসলাম। আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এটা রয়েছে যেকোন মানুষ ভালো কোন পজিশনে গেলে তার গুরুত্ব এবং তার মূল্যায়ন সর্বক্ষেত্রে বেড়ে যায়। কিন্তু কোন ব্যক্তি কোন গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে যাওয়ার পূর্বে যে অবস্থায় ছিল ওই অবস্থাটাকে কেউ তেমন মূল্যায়ন করে না। আমাদের সকলের উচিত যে ব্যক্তি যে কাজে পারদর্শী শুরু থেকেই সেই ব্যক্তিকে উৎসাহ দেয়া এবং তার কাজের মূল্যায়ন করা।
অনেক ভালো উত্তর দিয়েছেন দাদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি, এই জটিল প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমার জানা নেই। তবে এভাবে অনেক কে পিছিয়ে যেতে দেখেছি বা দেখছি। তবে যারা পিছিয়ে যায়, তাদের হয়তো অভিমান থাকে না। হয়তো নিয়তির উপর সব কিছু ছেড়ে দেয়। শুধু আশায় বুক বেঁধে থাকে, বেঁচে থাকার জন্য।
😊🙏
শুধু আশায় বুক বাঁধতে নেই দাদা। যেখান থেকে ভেঙে যায় সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হয় ।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
আসলে আমরা সবাই স্রোতেই চলছি শুধু।আর স্রোতটা হলো,দামীকে দামী করা এবং কমদামী কে আরো কমদামী করা।কারণ সাধারণত্ব যতটা আমাদের কাছে তুচ্ছ কারো বড় কিছু আমাদের কাছে তা খারাপ হলেও অনেক সময় বড়।কবে যে এ থেকে মুক্তি পাবো!
আমরা কারো ট্যালেন্ট বা দক্ষতাকে ততক্ষণ পর্যন্ত মূল্যায়ন করি না যতক্ষণ পর্যন্ত সে একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছাতে না পারে। মোটকথা আমরা ট্যালেন্ট বা দক্ষতার চেয়ে যশ খ্যাতি বা পজিশন যাই বলি না কেন সেগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। ভালো অবস্থানে যাওয়ার আগে কারো দক্ষতা চোখে পড়লেও সেটাকে আমরা গুরুত্ব দেই না। কিন্তু আমরা যদি উৎসাহ দিতাম তাহলে হয়তোবা আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারতো। আবার পক্ষান্তরে কেউ ভালো পজিশনে যাওয়ার পর তার সেই পজিশন একেবারে খারাপ হয়ে গেল বা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, তখন উল্টো আমরা তার সমালোচনা করি। এটা ভাবি না যে মানুষের লাইফে উত্থান পতন থাকবেই। দিনশেষে সে ও মানুষ, আর সে ও বিপদের উর্ধ্বে নয়। আমাদের উচিত তার বিপদের সময় তাকে সাপোর্ট দেওয়া, উৎসাহ দেওয়া। যাতে করে সে বিপদকে জয় করে আবারও ভালো পজিশনে যেতে পারে। কিন্তু আমরা সেটা করি না। কারণ আমরা তো নগদে বিশ্বাস করি,বর্তমান যশ খ্যাতি বা পজিশনকে বিশ্বাস করি। এতে করে অনেকের ট্যালেন্ট বা দক্ষতা আড়ালে পড়ে যায় সাময়িক বিপদের কারণে, তথাপি আমাদের অসুস্থ মনমানসিকতার কারণে। পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন খুবই জরুরি।
যখন একটি মানুষ সফলতা পায় তখন সেই মানুষটি যেমন ছিল সফলতার আগেও ঠিক তেমনটাই ছিল। কিন্তু আমরা সফলতাকে গুরুত্ব দিতে জানি। মানুষটিকে গুরুত্ব দিতে ভুলে যাই। আসলে আমাদের চিন্তাধারা হয়তো ভিন্ন রকমের। আমার যতটুকু মনে হয় একজন মানুষ যে অবস্থানেই থাকুক না কেন তার গুণগুলোকে সবসময় মূল্যায়ন করা উচিত। দিদি আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। দারুন লিখেছেন আপনি।