চিড়িয়াখানায় (পর্ব -৪)
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত পর্বে আমি চিড়িয়াখানার থাকা হুডেড ভালচার এবং জলহস্তির ছবি ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজকে আমি ব্লু এবং ইয়েলো ম্যাকাও এবং এমু পাখি, তার সাথে মনিপুরি নাচুনে হরিণের কিছু ছবি এবং তাদের সম্পর্কে কিছু কথা ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
জলহস্তি দেখার পর আমরা আরও কিছু পাখি দেখেছিলাম ।তার মধ্যে ম্যাকাও দেখেছিলাম ।ম্যাকাও খুব রেয়ার পাখি বলা যেতে পারে । এই পাখি অনেকে পুষে থাকে ।কিন্তু এই পাখির দাম অনেক। প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি ,কি তারও বেশি হবে ।এই পাখির গায়ের কালার আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর চিড়িয়াখানায় এতগুলো ম্যাকাও দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। এই পাখির দক্ষিণ আমেরিকায় পানামা থেকে দক্ষিণ ব্রাজিল ও প্যারাগুয়েতে দেখতে পাওয়া যায়। এরা উষ্ণমণ্ডলীয় আদ্র ও জলাভূমি যুক্ত জঙ্গলে থাকে। এরা বিভিন্ন ধরনের ফল আর বাদাম জাতীয় খাদ্যই খায়। তার সাথে দু থেকে তিনটি ডিম পাড়ে। আর স্ত্রী পাখি ২৮ দিন ধরে সেই ডিমে তা দেয় ।আর এদের গড় আয়ু হচ্ছে ৩০-৩৫ বছর ।
এরপর দেখেছিলাম এমু পাখি ।সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়। এরা উঠতে পারে না। এরা ঘন জঙ্গলেই থাকে। আর বসতি পণ্য এলাকায় এড়িয়ে চলে। কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য একবারে ঘণ্টায় পঞ্চাশ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে ।তার সাথে এই পাখির সাঁতার কাটতে পারে ।এরা 15 থেকে 25 টা ডিম পাড়ে। আর ৫৬ দিন ধরে সেই ডিমে তা দেয়।
পাখি দেখার পর আমরা হরিণ দেখতে পেয়েছিলাম ।হরিণ দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর এখানে বলতে চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন ধরনের হরিণ দেখেছিলাম ।আমরা যে হরিণ দেখেছিলাম সেই হরিণ মণিপুরের লগাটাক হ্রদে দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত এই হরিণ আট মাস গর্ভকালের পর একটি সন্তান প্রসব করে। এরা এক ধরনের বিশেষ জঙ্গলে থাকে যাকে ফুমডি বলা হয়।
এরপর আরো অনেক কিছু দেখেছিলাম ।যার মধ্যে জাতীয় পশু বাগ হচ্ছে অন্যতম। যা দেখার পর মনে হয়েছে চিড়িয়াখানা যাওয়া সার্থক। তার ছবি আমি পরে কোনো একটি পর্বে ভাগ করে নেবো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আগের পর্বের মতো এই পর্বের ফটোগ্রাফি গুলোও বেশ উপভোগ করলাম বৌদি। ম্যাকাও পাখি গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। তাছাড়া ম্যাকাও পাখির গড় আয়ু তো দেখছি বেশ ভালোই। এমু পাখি এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি চিড়িয়াখানায় দেখেছিলাম। তবে মণিপুরী নাচুনে হরিণ এর আগে কখনো দেখেছি বলে মনে হচ্ছে না। এই পোস্টের মাধ্যমে দেখা অদেখা জীবজন্তুর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো বৌদি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপু অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এমু পাখি সম্পর্কে জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এছাড়াও ম্যাকাও পাখি সম্পর্কে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চিড়িয়াখানাতে গেলেই অনেক পরিচিত ও অপরিচিত পশু ও পাখির দেখা মিলে। আপনি চিড়িয়াখানা থেকে বেশ কিছু পশু ও পাখির ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমি আপনার এতো সুন্দর একটি পোস্টের মাধ্যমে বেশ কিছু পশু ও পাখির সাথে পরিচিত হতে পারলাম। আসলে নতুন নতুন পশু ও পাখির সাথে পরিচিত হতে পারলেই অনেক ভালো লাগে।
ম্যাকাও হচ্ছে ব্রাজিলের জাতীয় পাখি। গতবছর আমি সাফারি পার্কে গিয়ে দেখেছিলাম পাখি টা। বেশ সুন্দর দেখতে। তবে এর যে গড় আয়ু এতো বেশি সেটা জানতাম না। ইমু বা ইমু গার্ডেন পাখিটাও দেখেছি। ওটা একটু অন্যধরনের পাখি। আর এই হরিণগুলো দেখছি একটু আলাদা। চিড়িয়াখানা থেকে করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ ছিল দিদি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
দিদি, তোমার আজকের পোস্টের মাধ্যমে ম্যাকাও পাখি, এমু পাখি এবং হরিণ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারলাম, যেগুলো আগে আমার জানা ছিল না। আমি অবশ্য বেশ কিছুদিন আগে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেছিলাম। তখন অনেক জীবজন্তু দেখেছিলাম ওখান থেকে। তাছাড়া ম্যাকাও পাখি গুলো দেখতে যেমন সুন্দর হয়, এর দামও তেমনি বেশি, এটা ঠিক কথা। একসময় আমারও শখ ছিল এই পাখি পোষার, তবে দামের কথা চিন্তা করে আর পোষা হয় নি।
দিদি পর্ব আকারে চিড়িয়াখানার দৃশ্য শেয়ার করে চলেছেন। আসলে এখন পর্যন্ত কোন চিড়িয়াখানায় গিয়ে এভাবে উপভোগ করা হয়নি। আপনার পর্বগুলো ভালই উপভোগ করছি। আর ম্যাকাও পাখি যেটা অনেক দামি দেখতে অনেক সুন্দর। তাছাড়া এমু পাখি দেখলাম ভাল লাগল হরিণ যেটা চিড়িয়াখানায় সচরাচর বেশি দেখা যায়। সব মিলিয়ে আজকের পর্ব ভালই উপভোগ করেছি।
দিদি এমু পাখির বিষয়ে তথ্য গুলো জানতাম না। আমি তো প্রথমে উট পাখি ভেবেছিলাম।তারা উড়তে না পারলেও ঘণ্টায় পঞ্চাশ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে বিধায় অন্য প্রাণী থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। নতুন তথ্য জানলাম। ধন্যবাদ দিদি।