City of joy kolkata
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে City of joy kolkata নিয়ে কথা বলতে এসেছি।
কলকাতাকে "City of Joy" বা "আনন্দের শহর" বলা হয় তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, বৈচিত্র্যপূর্ণ ঐতিহ্য এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার প্রতি ইতিবাচক মনোভাবের কারণে।এই বিশেষণটি মূলত লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়েরের ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত বই "City of Joy" থেকে জনপ্রিয়তা পায়।এই বইতে কলকাতার দরিদ্র মানুষের সংগ্রাম, সহযোগিতা, মানবিকতা এবং জীবনযাপনের আনন্দকে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
কলকাতার "City of Joy" নামকরণের পেছনে কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে:
কলকাতা হচ্ছে ভারতের অন্যতম সাংস্কৃতিক রাজধানী।এখানে রবি ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়ের মতো বিখ্যাত সাহিত্যিক ও শিল্পীদের জন্ম হয়েছে।শহরটির সাহিত্য, নাটক, সংগীত, চিত্রকলা ও চলচ্চিত্রের দিক থেকে অপরিসীম অবদান রয়েছে।এখানে যেকোনো সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, বইমেলা এবং পুজো-পার্বণ দেখা যায়, যা শহরটিকে এক অন্যরকম আনন্দ দেয়।
কলকাতার দুর্গাপূজা বিশ্ববিখ্যাত।শহরের প্রতিটি রাস্তা, গলি এবং পাড়া এই সময়ে আনন্দে মেতে ওঠে।মানুষ একসঙ্গে মিলিত হয়ে দেবী দুর্গার পূজায় অংশ নেয় এবং এই উৎসবের মধ্যে এক গভীর আনন্দ ও ঐক্য দেখা যায়।শুধু দুর্গাপূজাই নয় কলকাতার মানুষ প্রতিটি উৎসব (যেমন ঈদ, ক্রিসমাস, সরস্বতী পূজা) খুব ধুমধাম করে পালন করে যা এই শহরকে আনন্দের কেন্দ্রস্থল করে তুলেছে।
কলকাতার মানুষদের মধ্যে এক ধরণের অতিথিপরায়ণতা এবং সহমর্মিতা দেখা যায় যা তাদের আনন্দময় করে তোলে।সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সংগ্রামের মধ্যেও এক গভীর আনন্দ ও মমতা দেখা যায়।তাদের মধ্যে একে অপরকে সাহায্য করার মনোভাব এবং বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যেও আনন্দে বাঁচার ইচ্ছা কলকাতাকে এক বিশেষ স্থান দেয়।
কলকাতা শহরে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখসহ বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের সহাবস্থান দেখা যায়।এদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মনোভাব শহরটির আনন্দময়তা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলে।বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য দেখা যায় তা এই শহরের এক ভিন্ন রকমের আনন্দের পরিচয় দেয়।
কলকাতায় প্রতিবছর আন্তর্জাতিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় যা বাংলার সাংস্কৃতিক চেতনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।বইমেলা, নাট্য উৎসব, সঙ্গীতের অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম কলকাতাকে একটি আনন্দের শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
কলকাতার মানুষের খাদ্যপ্রেমও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়।এখানকার রাস্তার খাবার যেমন ফুচকা, কাটি রোল, চপ-কচুরি এবং মিষ্টান্ন যেমন রসগোল্লা, সন্দেশ ইত্যাদি সারা ভারতের মধ্যে বিখ্যাত।মানুষের খাবারের প্রতি এই ভালোবাসা এবং খাওয়াদাওয়া নিয়ে মজা করার অভ্যাস শহরের আনন্দের কারণগুলির মধ্যে একটি।
এই কারণগুলির ভিত্তিতে বলা যায়, কলকাতা শুধুমাত্র একটি শহর নয় বরং একটি অনুভূতি, যেখানে আনন্দ, উৎসব, সংস্কৃতি, মানবিকতা এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনযাপন একসঙ্গে মিলে মিশে রয়েছে।এজন্যই কলকাতাকে "City of Joy" বলা হয়।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনাদের কলকাতা ঐতিহ্যের শহর সংস্কৃতির শহর। কলকাতা যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার। বিশেষ করে কলকাতার আদি স্থাপত্য বাংলা সংস্কৃতি যেকোনো মানুষকে মুগ্ধ করবে। এইজন্যই হয়তো কলকাতা কে বলা হয় City of joy.. সুন্দর লিখেছেন দিদি।
কলকাতার সকল ঐতিহ্যবাহী দিকগুলো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন দিদি। "City of Joy" নামকরণের পেছনের কাহিনী গুলো জানতে পেরে ভালোই লাগলো। অনেক নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারলাম দিদি।
কলকাতার দূর্গা পূজা আসলেই বিশ্ববিখ্যাত। কলকাতাকে আনন্দের শহর বলাটা একেবারে যুক্তিসঙ্গত। বেশ কয়েক বছর আগে আমি কলকাতায় ১৬ দিন ছিলাম। সত্যি বলতে সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে। যাইহোক কলকাতার "সিটি অফ জয়" নামকরণের পিছনের প্রধান কারণ গুলো জেনে খুব ভালো লাগলো। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদিভাই, এই কলকাতা শহরেই আমার একবার খুব ঘোরার ইচ্ছা আছে। দেখি কবে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়।
কলকাতার "City of Joy" নামকরণের পেছনের বর্ননা পড়ে ভালো লাগলো বৌদি।আসলেই কলকাতা অনেক দিক থেকেই এগিয়ে রয়েছে।বিশেষ করে শিল্প আর সাহিত্যে তো জগৎজোড়া।কলকাতা সম্পর্কে এত সুন্দরভাবে বর্ননা পড়ে নতুন কিছুরও ধারণা পেলাম, ধন্যবাদ।