সময়টা সাধ দিচ্ছে না 😔
নমস্কার বন্ধুরা,
সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ।যখন আমরা ছোটো থাকতাম তখন কিন্তু আমরা কেউ সময়ের কোনো গুরুত্ব বুঝতাম না। সত্যি বলতে বোঝার বয়সও তখন না ।কথায় আছে যে সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু বদল ঘটে ।যখন ছোটো বয়সে পড়াশোনা করতাম না, বা যা হয় আর কি প্রত্যেক বাচ্চাদের সাথে বাবা মায়েরা প্রতিমুহূর্তেই বলতে থাকে এখন না পড়লে পড়ে কি করবি! সেই বয়সটাতে কিন্তু আমরা এর মানে কিছুই বুঝতাম না। কিন্তু যখন বয়স আরো বাড়তে থাকে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে যখন উচ্চমাধ্যমিক , আর উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে যখন কলেজে উঠি ।তখন কিন্তু এই কথাটার মর্ম হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারি যে ঠিক সময়ে ঠিক জিনিস না করলে কতটা পস্তাতে হয়।
আজ কিছু কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি ।আসলে নিজের জীবনে ঘটা খুব কম ঘটনাই ভাগ করেছি। কারণ ব্যক্তিগত কিছু ব্যাপার থাকে যেগুলো আমি ব্যক্তিগতভাবেই রাখতে চাই।কিন্তু আজ মনে হল যে এই কথাগুলো বললে আমার খুব হালকা লাগবে তাই আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম ।
কিছুদিন আগে যখন মায়ের শরীর খারাপ হলো বা এই হার্ট অ্যাটাকটা ধরা পড়লো তার কয়েক মাস আগে থেকেই মায়ের কিন্তু হালকা বুকে ব্যাথা হত। কিন্তু সেটা গুরুত্ব না দিয়ে গ্যাসের ব্যথা ভেবে ওষুধ খেয়ে নিতো, এইভাবেই বেশ কয়েক মাস চলে যায় বলা যেতে পারে প্রায় এক বছর এভাবে চলেছে। আজ যদি এক মুহূর্তের জন্য মা বলতো বা মা অসুস্থতাকে একটু গুরুত্ব দিত তাহলে আমরা ঠিক সময় ডাক্তার দেখাতে পারতাম। কারণ আমি সব সময় কিছু হলে ডাক্তার দেখানোটাকেই বেশি গুরুত্ব দিই। আমার মনে হয় খুব ছোট জিনিস বা কোনো ছোট সমস্যা হলেও ডাক্তার দেখালে সেটা কিওর হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেটা চেপে রেখে ভবিষ্যতে যদি বড় আকার ধারণ করে তখন কিন্তু সব রকম ভাবেই সমস্যা চলে আসে। তা যাই হোক এত বড় সমস্যার পর মা এখন বলা যেতে পারে ,অনেকটাই সুস্থ আগের থেকে। এইভাবে মনে হচ্ছিল যে মা সুস্থ হচ্ছে ,আমাদেরও খুব ভালো লাগছে ।তার মধ্যে এসে পড়ল আরেক বিপদ।
বাবা কিছুদিন আগে দাঁত তুলবে বলে ডাক্তারের কাছে গেছিল কিন্তু দাঁত তোলার আগে কিছু টেস্ট করতে হয়। বিশেষ করে সুগার এবং হার্টের টেস্ট করিয়ে নেওয়াটা ভালো। যেহেতু বয়স বেড়েছে বাবার।
আর সেই হিসাব করেই সুগার এবং হার্টের টেস্ট অর্থাৎ ইসিজি ও ইকো করতে বললাম ।বাবা প্রথমে কোনো ভাবেই সেটা করতে চাইছিল না ।একপ্রকার জোর করে পাঠিয়েছি টেস্ট করার জন্য। যখন রিপোর্ট আসলো সেখান থেকে দেখলাম কোলেস্টেরল অনেক হাই, হালকা সুগার ধরা পড়েছে। তার সাথে হার্টের ব্লক ধরা পড়েছে ।কিন্তু সেটা কত পারসেন্ট বোঝা যায়নি । কিছুদিন পর এনজিওগ্রাফি করা হবে। তখন বাবাকে ভর্তি করতে হবে আর সেটা পরের সপ্তাহেতেই করবো। এজন্যই আমার আজকের পোস্টটা যে সময়ের সাথে সাথে অসুস্থতাকে মনে হয় গুরুত্ব দেওয়া উচিত ।কারণ আমার বাবারও ৩-৪ বছর আগে থেকেই একটা সমস্যা হত। কিন্তু বহুবার জোর করেছিলাম যে তার জন্য ডাক্তার দেখাতে। হয়তো দেখালে এত কিছু হতোই না ,আর দেখায়নি বলেই হয়তো এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হল আবারও ।
আসলে বেশ কয়েক মাস ধরেই আমার উপর দিয়ে কি যাচ্ছে সেটা বোঝাতে পারবো না। কারণ বিয়ের পর এমনিতেই মেয়েদের অনেকটা পরিবর্তন আসে। কারণ তারা একটা বাড়ি ছেড়ে আরেকটা বাড়িতে যাচ্ছে সেই পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া।এরকম একটা সময় যখন বাবা-মা দুজনই অসুস্থ হয়ে পরে। তার মনের অবস্থা যে কি হয় সেটা একমাত্রই সে বোঝে। আমি জানিনা আমার সাথে কি হচ্ছে আর কেনই বা হচ্ছে !মানসিকভাবে মাঝে মাঝে খুব ভেঙে পড়ছি। কারণ বাবা মা ছাড়া আমি কিচ্ছু বুঝিনা। প্রতিমুহূর্তে মনে হয় আমার তাদের কাছ থেকে আরও অনেক কিছু শেখার আছে, অনেক কিছু বোঝার আছে।
আজ আর কিছুই বলতে পারছি না ।যাইহোক এই সময়টা নিজের মনকে মনে হয় অনেকটা শক্ত করা উচিত ।এই সময়টা আপনাদের সকলের শুভকামনা আমার জন্য খুব দরকার। আমি যেন খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারি । সমস্ত বিপদ যেনো কেটে যায় আমাদের।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাস্তব জীবনের কথাগুলো হয়তো আমরা সেভাবে কাউকে বলতে পারি না। হয়তো অনেক কথাই না বলা থেকে যায়। কিংবা নিজের কষ্টগুলো তুলে ধরতে পারিনা। দিদি আপনার বাবার অসুস্থতার কথা শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগছে। হয়তো টেস্টগুলো না করলে আপনারা জানতেই পারতেন না। একদিকে বিয়ের পর নতুন জায়গায় গিয়ে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া অন্যদিকে বাবা-মায়ের অসুস্থতা সব মিলে আপনি মানসিকভাবে বেশ প্রেশারে আছেন বুঝতে পারছি দিদি। আসলে বাবা মায়ের কিছু হলে কোন সন্তান ভালো থাকতে পারে না। মন থেকে দোয়া করি আপনার বাবা-মা দুজনের জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার মন্তব্যটি পড়ে। আসলেই বাবা-মা সন্তানের কাছে অনেকখানি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের এদিক থেকে ওদিক কিছু হলে সব এলোমেলো লাগে ।
বিপদ কখন আসে কেউ জানে না। আপনার বাবা গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট গুলো না করলে জানতেই পারতেন না উনার শরীরে ভেতরে ভেতরে এতটা সমস্যা হয়েছে। প্রথমে আপনার মা অসুস্থ হয়েছিলেন এরপর আবার আপনার বাবা অসুস্থ হয়েছেন শুনে খারাপ লাগছে দিদি। এরকম পরিস্থিতিতে সন্তানরা বেশি কষ্ট পায়। আর বাবা মায়ের পাশে থাকে। আপনার বাবার সুস্থতা কামনা করছি দিদি।
দিদি আমাদের হৃদয়ের ভিতর কিছু কিছু একান্ত কথা থাকে সেগুলো হয়তো কখনো কাউকে বলা হয় না, এর ভেতর থেকেও কিছু কথা সবার সাথে শেয়ার করলে নিজের কাছে হালকা মনে হয়। একজন মেয়ের জন্য বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে তার বাড়ি পরিবর্তন হয়ে যায় আর তখন সত্যি অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়। আর এটা প্রতিটি মেয়ের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। দিদি আপনার মা সুস্থ আছে জেনে বেশ ভালো লাগলো আশা করছি ডক্টর দেখিয়ে আপনার বাবাও খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমার কাছে মনে হয় প্রতিটা বাবা মা এমন হয় যে, নিজেদের রোগগুলো পুষে রাখে সন্তানদের কাছে না বলে। কিন্তু অল্পতে যদি ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া যায় তাহলে ভালো সাজেশন পাওয়া যায়। ঈশ্বর আপনাদের পরিবারকে সবসময় সুন্দর রাখুক।
দিদি সময় যেমন মানুষকে পরিবর্তন করে তোলে তেমনি এই সময়ই মানুষকে অনেক কিছু শেখায়। তারজন্যই বলে সময়ের কাজ সময়ে করা ভালো। এতে বিপদ বাড়ার পরিবর্তে বরং কমে। আপনার উপর দিয়ে কি পরিমান প্রেশার যাচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি। একদিকে বাবা মা অসুস্থ আবার অন্যদিকে নতুন বিয়ে হয়েছে আর নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া সব মিলিয়ে আপনার অবস্থা খুবই করুণ রয়েছে বুঝতে পারছি দিদি। দিদি কষ্ট হলেও ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। নিজেকে শক্ত রাখেন আর উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করেন। তিনিই একমাত্র সব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আপনার বাবা মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন আর আপনার মুখে আগের মতো হাসি ফিরে আসে।
দিদিভাই এটা একদম সত্য কথা, দাঁত উঠানোর আগে আসলেই কিছু রুটিন চেকআপ করানো উচিত। আমি নিজেও ব্যক্তি জীবনে যখন প্র্যাকটিস করতাম, তখন এই সমস্যাগুলো ফেস করতাম। কেননা কোনভাবেই রোগীকে বুঝানো যেত না যে, এগুলো দরকার। তবে যাইহোক আপনার বাবা-মা উভয়ের জন্যই আশীর্বাদ রইল।
বৌদি প্রথমেই আপনার বাবার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আসলে বিপদ যখন আসে, চতুর্দিক থেকেই আসা শুরু করে। আপনার মায়ের পর এবার আপনার বাবাও অসুস্থ হয়ে পরেছেন,ব্যাপারটা জেনে আসলেই খুব খারাপ লাগলো। আপনার মনের অবস্থাটা বুঝতে পারছি বৌদি। আসলে যেকোনো অসুখ বিসুখের চিকিৎসা যদি প্রাথমিক অবস্থায় করা যায়, তাহলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়ই প্রথম দিকে গুরুত্ব দিতে চাই না। তবে সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন এবং মন খারাপ করবেন না। আমাদের সবার দোয়া আছে আপনার পুরো পরিবারের প্রতি। আশা করি সবকিছু ভালোই হবে।
সময়ের কাজ ঠিক সময় না করতে পারলে অনেক বড় সমস্যা পোহাতে হয়। এজন্যই সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করলে ভালো। খুবই চমৎকার কিছু বাস্তব সম্মত বিষয় তুলে ধরেছেন আপনি। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।