৬ বালিগঞ্জ প্লেসে খাওয়া দাওয়া
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত পর্বে আমি ৬ বালিগঞ্জ প্লেসের ভিতরের কিছু ছবি ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজকে আমি সেখানে কি কি খাওয়া দাওয়া করলাম তার কিছু ছবি এবং মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
আমরা দুপুর বেলা লাঞ্চ করতে এই বাঙালিয়ানা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম ।প্রথমে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদের টেবিল নাম্বার বলে দেবার পর আমরা সেখানে গেলাম ।
তারপরে আমাদের সবার প্রথমে ওয়েলকাম ড্রিংকস দিল ।আর তার কিছুক্ষণ পরে আমাদের বলা হলো যে নিজেদের মতন করে খাবার নিয়ে এসে খাওয়া-দাওয়া করতে ,যেহেতু আমরা ব্যুফে খেতে গিয়েছিলাম ।আর সেখানে তো নিজেদের খাবার নিজেদের এনে খেতে হবে। আর এই বুফে সিস্টেম আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তো আমরা কিছুক্ষণ বসার পর খাবার নিতে চলে গেলাম।
প্রথমেই আমরা ভাত আর শাক ভাজা আর তার সাথে ওল ভর্তা ছিল সেগুলো নিলাম।
এরপর আমাদের টেবিলে গরম গরম লুচি আর আলুর দম সার্ভ করে দিয়েছিল।
ভাতের সাথে শাক ভাজা আর ওল ভর্তা খেতে দারুন লাগছিল। আর তারপরে ছিল সুক্তো । সুক্ত আমার খুব প্রিয় একটি খাবার, ভীষণ ভালো লাগে ।তাই বেশ খানিকটা শুক্ত দিয়ে ভাত খেয়েছিলাম। আর তারপরেই কাতলা মাছের একটি ঝাল করেছিল সেই পদটি নিয়েছিলাম । গরম গরম ভাতের সাথে কাতলা মাছের ঝাল খেতে জাস্ট দারুন লাগছিল।
তারপরে মটন কষা নিয়েছিলাম এবং সাথে পোলাও ছিল । এরপর আলাদা করে আমরা ডাব চিংড়ি অর্ডার করেছিলাম কারণ আমাদের ডাব চিংড়ি খেতে ভীষণ ভালো লাগে ।তাই মাছ-মাংসের সাথে চিংড়ি মাছ অর্ডার করে দিয়েছিলাম।
আর এরপরেই নিয়েছিলাম আরেকটু মটন কষা আর তার সাথে অল্প ভাতও নিয়েছিলাম ।আর এই মটন কষার সাথে ভাত খেতে খেতে যখন ডাব চিংড়ি দিয়েছিল ভাতের সাথে ডাব চিংড়ির স্বাদ জাস্ট অসাধারণ ছিল ।খুব ভালো খেয়েছিলাম সব মিলিয়ে।
আর সবশেষে ডেজার্ট আইটেম হিসাবে পাপড় ,চাটনি, মালপোয়া আর মিষ্টি দই ছিল। যে মিষ্টি দই দেওয়া হয়েছিল, সেই দইয়ের স্বাদ এক কথায় অতুলনীয় ছিল। আমি খুব একটা মিষ্টি দই খাই না সেখানে আমি অনেক খেয়েছিলাম কারণ এই দই এর মিষ্টির স্বাদটা হালকা ছিল। আর খেতে দারুন টেস্টে ছিল। আর সব মিলিয়ে ৬ বালিগঞ্জ রেস্টুরেন্টের খাবার খুব খুব ভালো আর সবশেষে দুটো ড্রিংকস নিয়েছিলাম যার মধ্যে একটি হল মাসালা থামস আপ, আর ভার্জিন মোজিটো । বেশ আনন্দ করে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম। অনেক অনেক ছবি তুললাম আর সব খাবার শেষে মুখ শুদ্ধি হিসেবে পান ছিল ।সেটাও খুব ভালো খেতে ছিল ।এইভাবে আমরা সেই দিনটা লাঞ্চ খুব আনন্দ করে করেছিলাম। সেই মুহূর্তটাই আজকে আমি আমরা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দিদি এতো খাবার -দাবার দেখলে ঠিক থাকা যায় সকাল সকাল।আপনারা লাঞ্চ করতে বাঙালিয়ানা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন।দারুন সব খাবার দিয়ে লাঞ্চ করলেন।দেখে ভীষন ভালো লাগলো। দু'বোনকে মিষ্টি লাগছে দেখতে।আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইলো দিদি আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য। ভালো থাকবেন।
দিদি বালিগঞ্জ পেলেসে বাঙালি আনা রেস্টুৃরেন্টে কিন্তু বেশ সুন্দর খাবার আইটেম ছিলো। তাদের নিয়ম কাননগুলো কিন্তু বেশ সুন্দর। আর তো রইল আদের হোটেলের ডেকোরেশনের কথা। বেশ সুন্দর ও মনোরম ইন্টেরিয়র। দেখেই মনে জড়িয়ে গেল। আর তাদের ডেজার্ট আইটেমও কিন্তু বেশ লোভনীয়। সব মিলিয়ে আমার কিন্তু অনেক ভালো লেগেছে আপনাদের বাঙালি আনা রেস্টুরেন্ট।
৬ বালিগঞ্জ প্লেসে খুবই সুস্বাদু খাবার খেয়েছেন আপু। আসলে আপু গরম গরম ভাতের সাথে কাতলা মাছের ঝাল খেতে আমারও খুবই ভালো লাগে।৬ বালিগঞ্জ প্লেসে অত্যন্ত রুচি সম্মত এবং সুস্বাদু খাবার খাওয়ার মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাঙালিয়ানা রেস্টুরেন্টে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন অতি আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্যে করে। যেখানে খাবার-দাবারের বিশাল আইটেম করেছিলেন পাশাপাশি অনেক সুন্দর মুহূর্তটা তুলে ধরেছেন এ পোষ্টের মধ্যে বর্ণনা সহকারে। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর বিবরণ পড়ে।
ডাব চিংড়ি খুবই লোভনীয় লাগছে দিদি। মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছিল। এছাড়া গরম ভাতের সাথে শাক ভাজা কিংবা সুক্তো খেতে খুবই ভালো লাগে। দারুন সব খাবারের ছবিগুলো দেখে সত্যি ভালো লাগলো দিদি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দিদিভাই, এমন প্লেট ভরা মুখরোচক সাজানো খাবার দেখলে এই মাঝরাতে নিজেকে সামলে রাখা বড্ড মুশকিল হয়ে যায়।
মনে মনে খাওয়ার শান্তি পেলুম।
আপনার মতো আমারও ব্যুফে সিস্টেম খুব ভালো লাগে দিদি। যেকোনো খাবার নিজের ইচ্ছেমতো খাওয়া যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে অল্প অল্প করে সবগুলো খাবার টেস্ট করা যায়। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো জিভে পানি চলে এলো দিদি। ডাব চিংড়ি রেসিপিটা বেশ ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।