ইকো পার্কে কিছুটা সময়
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে ইকো পার্কে কিছুটা সময় ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
কলকাতাবাসীদের কাছে ইকোপার্ক খুব পরিচিত জায়গা ।শুধু কলকাতাবাসী বললে ভুল হবে। এখন প্রত্যেকেই ইকো পার্ক এক ডাকে চেনে। বিয়ের আগে প্রায় সময় আমি ইকোপার্কে ঘুরতে যেতাম ।কারণ জায়গাটা খুব ভালো লাগতো ।আর আমাদের কলকাতায় ফাঁকা জায়গা বলতে কোনো জায়গাই নেই। তাই ইকোপার্ক এতটা জায়গা জুড়ে তো ওখানে সময় কাটাতে ভালো লাগতো বলে প্রায়ই চলে যেতাম ।
বিগত ৬ মাসের কাছাকাছি ইকোপার্কে যাওয়া হয়নি। ৬ মাস বললে ভুল হবে প্রায় এক বছর। তবে এই বছর রোজ ডে তে ব্ল্যাকস হঠাৎ করে বলল ঘুরতে যাওয়ার জন্য ।তাই ইকোপার্কে চলে আসলাম ।আসলে এই ঘোরাটা পুরোটাই কোনো প্ল্যান ছাড়াই ছিল। ইকো পার্কে যখন আমরা ঢুকেছি তখন প্রায় সন্ধ্যে হচ্ছে।
আমরা ঢুকেই মাস্ক গার্ডেনে ঢুকলাম এবং এখানে বিভিন্ন রকম মুখ দিয়ে মাস্ক তৈরি করা হয়েছে। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম আগেরই ইকোপার্ক আর এখনই ইকো পার্কের মধ্যে অনেকটা পার্থক্য তৈরি হয়েছে। কারণ আগে এই পার্ক খুব সাজানো থাকতো সেদিন দেখলাম হয় বহু গাছপালা শুকিয়ে গেছে এবং কিছু কিছু জায়গা অপরিষ্কার ছিল যেখানে শীতকালে পুরো ইকোপার্ক ফুলগাছে ভরা থাকতো সেখানে বলতে গেলে ফুল গাছই দেখা যাচ্ছে না।তবে যাই হোক ওখানে গিয়ে কয়েকটা ছবি তুলে তারপর সাইকেল ভাড়া করলাম।
৩০ মিনিটের জন্য ২০০ টাকা দিয়ে দুজনে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ।কিন্তু ইকোপার্ক দেখার জন্য ৩০ মিনিট আমাদের একদমই যথেষ্ট নয় ।তাই দুজনে সাইকেল চালিয়ে কিছুটা এগিয়ে গোলাপ গার্ডেন দেখে সাইকেল ফেরত দিয়ে মাঠে এসে বসলাম।
বহু মানুষ ইকো পার্কে ঘুরতে আসে যেহেতু ওটা সপ্তাহের মধ্যে একটি দিন ছিল তাতে লোক কোনো কম ছিল না বরং অনেকটাই লোকজন বেশি ছিল ।এছাড়াও দেখলাম বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গা হয়েছে। একটি জায়গা ঘুম স্টেশন বলে নতুন জায়গায় রয়েছে যেখানে দার্জিলিং এর টয় ট্রেনের আকারে জায়গাটি তৈরি হয়েছে । এই টয় ট্রেনগুলোতে করে পুরো ইকোপার্ক ঘুরিয়ে দেখা হয় ।আমরা ওই জায়গাটাতে কিছুক্ষণ বসলাম এবং সব মিলিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যে খুব ভালো একটা সময় কাটিয়ে চলে আসলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মাঝেমধ্যে পার্ক বা বাইরের সুন্দর পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। ঠিক তেমনি পার্কের সুন্দর এক মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের এই ইকো পার্কে অবস্থান করার মুহূর্ত দেখে। ফটোগ্রাফি আর বর্ণনার মাধ্যমে অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো।
ইকো পার্কের নাম অনেক শুনেছি,তবে কখনো যাওয়া হয়নি। কলকাতায় যখন ঘুরতে গিয়েছিলাম,তখন ইচ্ছে ছিলো যাওয়ার, তবে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি আমার। যাইহোক ইকো পার্ক থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো বৌদি। এমন খোলামেলা জায়গায় সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। আপনারা দুইজন সাইকেল ভাড়া নিয়ে চালিয়েছেন একসাথে, এটা জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। এতদিন পর ইকো পার্কে গিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন আপনারা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম বৌদি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর ইকো পার্কে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে ব্যস্ত সময় থেকে ছু্টি নিয়ে এভাবে বেড়িয়ে পরা দরকার। তাহলে নতুন করে কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়।বেশ সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফিগুলো।দু;জনে কিছু সুন্দর সময় কাটানোর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু ইকো পার্কের কাটানো দারুন একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ইকো পার্কের পরিবেশটি দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো মনে হচ্ছে। সব থেকে বেশি ভালো লাগলো ইকো পার্কে অবস্থিত বিভিন্ন মূর্তি গুলো দেখে। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদাকে সাথে নিয়ে ইকো পার্কে দারুন সময় উপভোগ করেছেন। ইকোপার্কের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে প্রায় এক বছর হল ইকো পার্কে ভ্রমন করেন না। যার কারণে হঠাৎ ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন। আর আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলছেন আপু এই পার্কের নাম অনেক শুনেছি। কলকাতা জন্য খুবই বিখ্যাত একটি পার্ক ইকোপার্ক। তাছাড়া ও এর আগের অনেক ব্লগে দেখেছি ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। যেহেতু রোজ ডে তে গেলেন তাহলে তো খুব সুন্দর একটি সময় কাটালেন। তাছাড়া ইকোপার্কের অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করলেন ভালো লেগেছে দেখে।
দীর্ঘদিন পরে, ছোট দাদাকে নিয়ে যে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ইকোপার্কে, তা কিন্তু আপনাদের কাটানো মুহূর্তের ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে দিদিভাই।
আপনাদের দুজনের জন্যই শুভেচ্ছা রইল, ভালোবাসা নিরন্তর।
ইকো পার্কে প্রায় বছর খানেক পরে রোজ ডে তে গিয়েছেন।অনেক আগের পোস্টে দেখেছিলান গিয়েছিলেন।জায়গাটা খুব সুন্দর। তবে এখন গাছ শীতের কারনে শুকিয়ে পাতা ঝরে পরেছে।আর ফুল গাছ ও নেই।আবার হয়তো নতুন করে গাছ লাগাবে। আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। খুব ভালো লেগেছে। দুজন মিলে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো দিদি।ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ইকো পার্কে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বিভিন্ন রকম মুখের মাস্ক দেখে খুব ভালো লাগলো। ইকো পার্কের পরিবেশ খুবই দুর্দান্ত। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।