শোভাবাজার রাজবাড়ীতে ঘুরতে যাওয়া
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শোভাবাজার রাজবাড়ীতে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে। আমার তো প্রায়ই মনে হয় এখান থেকে ঘুরে আসি ওখান থেকে ঘুরে আসি🤭। কিন্তু সব সময় তো আর ভাবলেই ঘোরা যায় না ,তাই যেটুকু সময় ঘুরতে যাই বা ঘুরতে যেতে পারি সেটুকু সময় অনেকটা আনন্দ করি এবং প্রত্যেকটা মুহূর্তকে উপভোগ করি ।কলকাতায় থাকি যেহেতু ,সেহেতু কলকাতা আমার কাছে সবথেকে পছন্দের জায়গা। এই কলকাতা ছেড়ে আমার কোথাও যাতে ভালো লাগেনা। যে জায়গাগুলোতেই যাই সে জায়গা গুলোতে কতবার যে ঘুরেছি তা হয়তো গুনে বলতে পারবো না। কিন্তু যতবারই যাই ততবারই ভালো লাগে। কলকাতা আমার কাছে ভালোবাসার শহর।
উত্তর কলকাতার প্রত্যেকটা অলি গলি আমার চেনা। আর এই চেনার একটাই কারণ বারবার একই জায়গায় ঘুরতে যাওয়া ।যাইহোক কিছুদিন আগে ব্ল্যাকস,আমি ,দিদিভাই প্ল্যান করেছিলাম মেট্রো করে ঘুরতে যাব। সবাই গাড়ি করে এলেও গাড়ি একটা জায়গায় পার্কিং করে মেট্রো করে ঘুরতে গিয়েছিলাম ।প্রথমে যেখানে গিয়েছিলাম সেটা হচ্ছে শোভাবাজার রাজবাড়ী ।অনেকেই হয়তো জানেন এই শোভাবাজার রাজবাড়ীর কথা। রাজবাড়ী মানেই কিন্তু একটা আভিজাত্য আর এই রাজবাড়ীর দুর্গাপূজা কিন্তু অনেক নামকরা ।বলতে গেলে উত্তর কলকাতার পুজো দেখার শুরুই হয় এই রাজবাড়ীর পুজো দেখার পর থেকে ।আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন এই রাজবাড়ীতে,তখন ঠাকুর (দূর্গা প্রতিমা) তৈরির কাজ চলছিল। কারণ দুর্গা প্রতিমা এই রাজবাড়ীতেই তৈরি হয়। যেহেতু প্রত্যেকবার পুজোর সময় আসি সেহেতু সেই সময়টা অনেক ভিড় থাকে ।তাই যখন আমরা এমনি ঘুরতে গিয়েছিলাম পুরো ফাঁকা ছিল ।আর একটা অন্যরকম সৌন্দর্য কাজ করছিল চারিপাশটা। আর তার থেকেও বড় কথা এই রাজবাড়িতে আমার অনেক বার আসা কারণ এই রাজবাড়ির উল্টোদিকে আমার কলেজ ।কলেজ নিয়ে আলাদা করে কি বলবো। কলেজের সামনে এলেই পুরনো দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে ।পুরনো অনেক স্মৃতি চোখের সামনে ভাসে ।তবে যাই হোক বেশ কিছুক্ষণ আমরা রাজবাড়িতে ছিলাম এবং রাজবাড়ী থেকে বেরিয়েই দেখলাম এখানে টানা রিক্সা আছে।এই রিকশাওয়ালারা আজও কলকাতার সামাজিক কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।আধুনিক কলকাতায় নতুনত্বের ছোঁয়া লাগলেও এখনও বদলায়নি শহরের ঐতিহ্য। কাউকে যদি একফ্রেমে কলকাতার ছবি আঁকতে বলা হয়, তবে সেই ফ্রেমে যা আসবে তারমধ্যে অন্যতম হাতে টানা কাঠের রিকশা।
যতদিন যাচ্ছে ততই যেন এই সকল ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যাচ্ছে তবুও যখন চোখের সামনে সেই টানা রিক্সা দেখলাম সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে নিয়েছিলাম। এইভাবে শোভাবাজার রাজবাড়ির সামনে কিছুটা সময় আমরা কাটিয়েছিলাম এবং খুব ভালো লেগেছিল।
তারপরে আমরা গিয়েছিলাম কুমোরটুলি। সেখানে গিয়ে আমরা কি করলাম তা আমি আপনাদের সঙ্গে পরের পর্বে ভাগ করে নেবো ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দিদি আপনি রাজবাড়ীতে গিয়ে খুবই দারুণ সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে খুশি হলাম। ঘুরতে সবারই কমবেশি ভালো লাগে তবে সব সময় তো আর ঘুরতে যাওয়া হয় না ।তবে আপনি রাজবাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে কয়েকটি ছবি তুলে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ দিদি।
রাজবাড়ীতে গিয়ে দিদি সবার সাথে চমৎকার সময় উপভোগ করেছেন। দাদা যখন ফটোগ্রাফি করতেছে বাহ্ খুব সুন্দর করে টিনটিন তাকিয়ে আছে। সবাইকে এক ফ্রেমে বন্দী দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এধরনের সময় গুলো সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
যেহেতু রাজবাড়ীটি আপনার কলেজের পাশেই সেহেতু অনেকবার গিয়েছেন। তাছাড়াও আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই রাজবাড়ি সম্পর্কে বেশ নাম শুনলাম। অনেক মুভিতেও এই টানা রিকশাগুলো দেখেছি আজকেও দেখলাম বেশ ভালো লাগলো তাছাড়া আপনি রাজবাড়ীতে গিয়ে অনেক সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন শুভকামনা রইল দিদি।
অনেক ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে। প্রথমেই বলবো কিছু কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে কয়েকবার গেলেও মন ভরে না। যত যাই ততই ভালো লাগে। আর যে রাজবাড়ীটি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এরকম একটি রাজবাড়ী আমাদের এলাকার পাশেও আছে। যদিও তারা বাড়িতে থাকে না সপরিবারে ইন্ডিয়া থাকে। শুধু পুজোর সময় সেই ভয়ংকর রাজবাড়ীতে এসে পূজা করে। যাইহোক ছোট দাদার সেলফিতে টিনটিন এর চাহনিটি অনেক বেশি চমৎকার লাগছে। সে সাথে আপনাদের সবাইকে অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ দিদি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শোভাবাজারের রাজবাড়ীতে গিয়ে সবাইকে নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।আপনার ভ্রমন পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। নিজের শহর প্রত্যেকের কাছেই প্রিয় জায়গা।আপনার পছন্দের শহর কলকাতা।তাইতো এই শহরের সবটাই আপনার চেনা আর ভালোবাসার জায়গা।কলকাতা গিয়ে টানা রিকশা দেখে খুব উঠতে ইচ্ছা হয়েছিল।উঠেছিলাম কিন্তু ট্রামে আর উঠা হয়নি।আপনারা এরপর কুমোরটুলিতে গেলেন।পরের পোস্টে দেখবো আশাকরি। ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।
আমি যদিও কলকাতা থাকি না। কিন্তু কলকাতার ঐতিহ্য কলকাতার সংস্কৃতি আমাকে আকৃষ্ট করে। শোভা বাজার এর এই রাজবাড়ি টা তো দারুণ। কিছুদিন পরেই এখানে দূর্গাপূজা হলে নতুন রুপে সাজবে। আপনার পরবর্তী পর্ব কুমোরটলী এর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দিদি।।
শোভাবাজারের রাজবাড়ীতে গিয়ে আপনারা সবাই দেখছি অনেক মজা করেছেন আপু। টিনটিন বাবু নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে এই রাজবাড়ীর সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেলাম। সত্যি অনেক ভালো লাগলো আপু আজকের পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে
রাজবাড়ীতে ঘুরতে গিয়ে সবার সাথে বেশ দারুন একটা সময় উপভোগ করেছেন।ডিজিটাল যুগে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু রিক্সার মতো আরো অনেক কিছুই রয়েছে যা পুরাতন স্মৃতি বা ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। শোভাবাজার রাজবাড়ীতে সবার সঙ্গে আনন্দে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
আপনাদের সবাইকে দারুন লাগছে দিদি।ঘুরতে গেলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়।তারপর আবার কোলকাতাতে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে।আপনারা যেখানে গিয়েছিলেন ঘুরতে জায়গাটি আসলেই সুন্দর।ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে।অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।
শোভাবাজার রাজবাড়িতে ঘুরতে যেয়ে সবার সাথে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দিদি। আপনাদের এক ফ্রেমে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। এই টানা রিকশা গুলো সত্যিই অসাধারণ লাগে দেখতে। আমাদের বাংলাদেশে এই টানা রিকশা গুলো দেখাই যায় না। শোভাবাজার রাজবাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো দিদি।