কুমোরটুলি শিল্পীদের দুর্গা প্রতিমা প্রস্তুতি
নমস্কার বন্ধুরা,
কিছুদিন আগে কুমোরটুলি গিয়েছিলাম। কুমোরটুলিতে আসা মানেই একটা আলাদা উত্তেজনা কাজ করে। কারণ এখানে প্রত্যেকটি শিল্পী সব সময় অনেক কর্ম ব্যস্তরত থাকে । এই কুমারটুলি শিল্পীদের কাজ দেখলে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয় ।যেহেতু পুজোর আগে আগে গিয়েছিলাম তখন পুজোর কাজ প্রায় শেষ, বলতে গেলে শেষ সময় যে তুলির ছোঁয়া মূর্তিগুলোতে দেওয়া হয় সেই কাজগুলোই তখন চলছিল।
দুর্গাপূজায় প্রতিমা বানানোর কাজ প্রায় পুজো শুরুর ৪/৫ মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় আমি যখন গিয়েছিলাম তখন প্রায় ঠাকুর বেরোতে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন মন্ডপে যাওয়ার জন্য। আর এই মন্ডপে পৌঁছানোর আগে কুমোরটুলিতে যাওয়া একটা বিশাল আনন্দ বা উত্তেজনা কাজ করে কারণ মন্ডপে ঠাকুর এসে যাওয়া মানেই পুজোর ঘোরাঘুরি শুরু হয়ে যাওয়া।
প্রত্যেকটি মন্ডপে আলাদা আলাদা থিমের আলাদা আলাদা মূর্তি বানানো হয় ।আমি তো অবাক হয়ে যাই যে প্রত্যেকটি শিল্পী যে এত সুন্দর ভাবে নিখুঁত করে ঠাকুর গুলো বানায় ,যা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখলেও যেন মন ভরে না।
প্রত্যেকটি মন্ডপে আলাদা আলাদা থিমের আলাদা আলাদা মূর্তি বানানো হয় ।আমি তো অবাক হয়ে যাই যে প্রত্যেকটি শিল্পী যে এত সুন্দর ভাবে নিখুঁত করে ঠাকুর গুলো বানায় ,যা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখলেও যেন মন ভরে না।
এই প্রতিমা তৈরীর পিছনে শিল্পীদের যে অবদান তা কিন্তু ভুলে যাওয়ার নয়। আমরা ঠাকুর দেখতে যাই ঠিকই ,কিন্তু ঠাকুর যিনি বানিয়েছেন সেই সকল শিল্পী দেরকে আমাদের সকলেরই উচিত কুর্নিশ জানানো। কারণ সেই শিল্পীগুলোর জন্যই আমাদের কিন্তু প্রত্যেকবার পুজো মণ্ডপে ছুটে যাওয়া দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যে সকল শিল্পী আমাদের প্রতি মুহূর্তে আনন্দ দান করছে তাদের এইটুকু সম্মান আমাদের প্রত্যেকেরই দেওয়া উচিত। আর এই কুমোরটুলির শিল্পীদের সম্মান জানানোর জন্যই গত বছর কুমোরটুলি পার্কে পুজো মণ্ডপটি তৈরি হয়েছিল শিল্পীদের নাম খোদাই করে সেখানে রাখা হয়েছিল। আর এভাবেই হয়েছিল পুজোর থিম ।যেটা সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল ।তাই এটাই বলবো যে একটা বছর তাদের উদ্দেশ্যে না করে যেন প্রতি বছর তাদেরকে তাদের নাম বা তাদের কাজ আমরা সম্মান দিতে পারি সেটাই সকলের উচিত।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি বলেছেন দিদি যারা প্রতিভা তৈরি করে তাদেরকে আমাদের কুর্নিশ জানানো উচিত। একটা বিষয় জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো যে প্রতিটি মন্দিরে আলাদা আলাদা থিমের পূজা করা হয়। এর আগে আমাদের বড় দাদার বেশ কয়েকটি পোষ্ট থেকে কুমোরটুলি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম। আর আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আরো বেশি কিছু জানা হয়ে গেলো। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। তাইতো শিল্পীরা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুনি নিয়ে কাজ শুরু করে। ইন্ডিয়াতে অনেক বড় পরিসরে পুজো হয়। তাইতো প্রতিটি মন্দিরে আলাদা আলাদা থিমের পুজোর আয়োজন করা হয়। দিদি আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আসলে পৃথিবীটা এমনই দিদি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভিটির মূল্যায়ন করা হয় ঠিকই, কিন্তু ক্রিয়েটিভ মানুষের মূল্যায়ন করা হয় না। কতো নিখুঁত তাদের কাজ,দেখে আসলেই অবাক লাগে। আমাদের অবশ্যই উচিত তাদেরকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া। এতে করে ক্রিয়েটিভিটির প্রতি তাদের আগ্রহ আরও বেড়ে যাবে। যাইহোক দূর্গা পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি দিদি। পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদিভাই, কিছুদিন আগে আমি বড় দাদার কুমোরটুলি নিয়ে সিরিজ পড়েছিলাম, সেখানে কুমোরটুলির শিল্পীরা কিভাবে সেই মাটি প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে একদম মূর্তি তৈরি করা পর্যন্ত, সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই বড় দাদা ধাপে ধাপে তুলে ধরেছিল। আজ আপনার লেখায় আবারো কুমোরটুলির শিল্পীদের সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেলাম, সব মিলে বেশ ভালো লাগলো ব্লগটি।
শুভেচ্ছা রইল
যারা এগুলো তৈরি করে সেইসব মৃৎশিল্পীদের বাহবা দিতেই হয় দিদি। আসলেই কী সুন্দর তাদের হাতের কাজ। নিজের হাতের অসাধারণ গুণকে ফুটিয়ে তোলে। আর সেগুলো চলে যায় সারা কলকাতার সব পুজা মন্ডপে। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার করেছেন দিদি। সুন্দর একটা পোস্ট ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।