বেহালা বড়িশা ক্লাবের পূজো মন্ডপ
নমস্কার বন্ধুরা,
প্রথমে সকলকে জানাই বিজয়া দশমীর প্রীতি এবং শুভেচ্ছা। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে বেহালা বড়িসা ক্লাবের পুজোতে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
এই বছরের দুর্গা পূজা আমার কাছে একদম অন্যরকম বলা যেতে পারে । কারণ ব্ল্যাকসের সাথে এই বছরের দুর্গা পূজাতে প্রথম ঠাকুর দেখা। গত বছর ঠাকুর দেখেছিলাম কিন্তু সেটা একটা দিন দেখতে বেরিয়েছিলাম। কারণ ও গত বছর কলকাতায় ছিল না ,তাই ঠাকুর দেখা হয়নি। কিন্তু এই বছর পুরো পুজোটাই ব্ল্যাকস আমার সাথে ছিল। যত ঠাকুর দেখেছি সবটাই ওর সাথে দেখেছি।
আমি আপনাদের সাথে যে পূজা মন্ডপটা ভাগ করে নেবো সেই পূজা মন্ডপটা আমি সপ্তমীর দিন দেখতে গিয়েছিলাম। যত দিন যাচ্ছে পুজো মণ্ডপগুলোতে ভিড় বেড়েই চলেছে। এখন লোকে শুধু বিকেলবেলা বেরোয় না, সকাল থেকেই ঠাকুর দেখতে শুরু করে দেয়।
তাই যখনই ঠাকুর দেখতে যাই না কেন ভিড় যে পাবোই সেটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই আমরা খুব তাড়াতাড়ি সেদিন বেহালা পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলাম ।আর বিকেল বিকেল পৌঁছেও গিয়েছিলাম। বেহালা বরিশাল ক্লাবে কিন্তু পুজো একদিকে হলে গাড়ি রাখার জায়গা হয় আরেক প্রান্তে ।পূজা মন্ডপ থেকে গাড়ি রাখার জায়গায় আসতে গেলে প্রায় আধঘন্টা হেঁটে যেতেই হবে । এইভাবে বলতে গেলে অনেকটাই দেরি হয়ে যায় ।কিন্তু তাতে কি দুর্গাপূজা বলে কথা আর ঠাকুর দেখার জন্য যত কষ্টই হোক না কেন সেটুকু করাই যায়। আর আমার তো ঠাকুর দেখতে ভীষণ রকম ভালো লাগে। ঠাকুর দেখার সাথে কোনো কম্প্রোমাইজ আমি করি না। আর বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় উৎসব যখন দুর্গাপূজা তাই চারটে দিন কোনো কিছু না ভেবে শুধু ঠাকুর দেখে যাই।
তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আজ আমি আপনাদের সাথে বরিশা ক্লাবের পুজোর ছবিগুলো ভাগ করে নিচ্ছি। এই বছরের পূজোর থিম ছিল ভাঙ্গা-গড়া।
মানুষের জীবন চক্র হোক বা প্রকৃতির রূপ পরিবর্তন এইসবের মূলে আছে ভাঙা গড়ার খেলা । নদীর একপাড় ভাঙ্গলে অন্যদিকে পার গজিয়ে ওঠে। তৈরি হয় নতুন জনপদ, দাবানলে জঙ্গল পুড়ে খাক হয়ে যায় ।বৃষ্টি হলে ফের সবুজের সমারোহ ।ধ্বংসস্তূপে মাথা তোলে কিশলয়। অনাবৃষ্টিতে খরার ভ্রুকুটি। আবার অতিবৃষ্টি নিয়ে আসে প্লাবন ।বন্যার জল নেমে গিয়ে রেখে যায় পলি ।জমি হয় উর্বর ।এগুলি প্রকৃতির স্বাভাবিক খেলা ।কিন্তু মানুষ যখন হিংসায় উন্মত্ত হয়ে নিজের সৃষ্টিকেই ধ্বংসের খেলায় মাতে, তার ফল হয় খুব মারাত্মক ।এ এক নেশা। হাতের সামনে যা আছে সেটাই ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার রোখ চেপে যায় ।এই ধ্বংসলীলার কাছে ভূমিকম্প, প্লাবন এসব তুচ্ছ ।মানুষের আক্রোশ যে কতটা ভয়াবহ সেটা বোঝানো হয়েছে মণ্ডপের সামনে থাকা শিরচ্ছেদ হওয়া বুদ্ধমূর্তির মাধ্যমে ।বুদ্ধদেব শান্তির প্রতীক। রবি ঠাকুর লিখেছিলেন,' কর ত্রান মহাপ্রাণ আনো অমৃত বাণী,' মানুষ হানাহানির লড়াইয়ে সেই মহাপ্রাণকেও রেহাই দেয়নি। আর এর পরও জীবনচক্র নিজের মতো করে ঘুরে চলেছে ধ্বংসলীলা থেকে বাঁচতে মানুষের একমাত্র আশা ভরসা এই খেলায় জেনে নিয়ন্ত্রক সেই মহামায়া। নতুন প্রাণের আহবানে সাড়া দিয়েছেন মা। মায়ের মূর্তি ঘিরে তাই বীজ থেকে মাথা তুলেছে নতুন গাছ। সেই সৃষ্টিও ধ্বংসের খেলাকেই মন্ডপে ফুটিয়ে তুলেছে এই বড়িশা ক্লাব।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এবার দাদাকে নিয়ে ঠাকুর দেখেছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো দিদি।শারদীয় দূর্গাপূজা খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন এমনটাই আশাকরি। আপনার পূজা মন্ডপের অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ সুন্দর লাগলো।বেহালা বড়িশা ক্লাবের পূজোর থিমটা তো চমৎকার হয়েছে তাহলে।ভালোই লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।ধন্যবাদ জানাই আপনাকে অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
দিদি আজকে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন তা কিন্তু দারুন ছিল। আর ভালো লাগলো জেনে যে এবার দাদা কে সাথে নিয়েই পূজার মন্ডোব গুলো ঘুরে দেখেছেন। সেই সাথে মনে হয় এবার পূজোটা আপনাদের জন্য বেশ ভালোই কেটেছে। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মূহূর্তগুলো সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য।
আশা করি দিদি ভালো আছেন? বেহালা বড়িশা ক্লাবের পূজো মন্ডপে বেশ চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। শারদীয় দুর্গাপূজার মুহূর্তগুলো বেশ সুন্দরভাবে অতিবাহিত করছেন। পূজা উপলক্ষে সবার মাঝে বেশ আনন্দ বিরাজ করতেছে। আপনার ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। চমৎকার আলোকসজ্জা করা হয়েছে। প্রতিমার মূর্তির ফটোগ্রাফি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন দিদি।
দিদিভাই, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো যে এবারের পূজোর পুরো সময়টা ছোট দাদার সঙ্গে আপনি কাটিয়েছেন। তাছাড়া বেহালা বড়িশা ক্লাবের পূজো মন্ডপের ডেকোরেশন একদম দুর্দান্ত।
আপনাদের দুজনের সময় ভালো কাটুক, এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি। শুভেচ্ছা রইল 🙏
দাদার সাথে প্রথম ঠাকুর দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো দিদি। প্রিয় মানুষটি যদি পাশে থাকে তাহলে পুজোর আনন্দ সত্যিই অনেক বেড়ে যায়। বেহালা বড়িশা ক্লাবের পূজো মন্ডপ দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো দিদি।