কচুয়াতে লোকনাথ বাবার আশ্রমে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।কিছুদিন আগে বাবা লোকনাথের আশ্রমে ঘুরতে গিয়েছিলাম ।আজ তারই কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বেশ কিছুদিন আগেরই কথা ।আমার মা হঠাৎ করেই বলছিল কোথাও পুজো দিতে যাবে। কিন্তু যে কোনো কারনেই হোক সেটা হয়ে উঠছিল না। তাই হঠাৎ করেই একদিন ঠিক করলাম এবং তার পরের দিনই ভাবলাম কচুয়া যাবো ।সেই ভাবেই আমরা একদিন কচুয়া অর্থাৎ লোকনাথ বাবার আশ্রমে ঘুরতে গেলাম। ভগবান মানেই হচ্ছে একটা বিশ্বাসের জায়গা। আমাদের ১০০ কোটি দেব-দেবীর মধ্যে প্রত্যেকের বিশ্বাস এর জায়গা থেকেই সবাই আলাদা আলাদা ভাবে ভগবান মানেন ।আর সেভাবেই আমরা খুব লোকনাথ ভক্ত বলা যেতে পারে।
পুজো দেবো বলেই কচুয়া লোকনাথ মন্দিরে পূজা দিতে যাওয়া আর কচুয়া বললে ভুল হবে কচুয়ার পাশাপাশি চাকলা বলেও লোকনাথ বাবার আশ্রম রয়েছে। সেখানেও লোকনাথ বাবার পুজো হয় ।আমরা সকাল সকাল রেডি হয়ে প্রায় আটটা নাগাদ বেরিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ যত বেলা হবে রাস্তায় জ্যাম হবে । তবুও যখন আমরা আশ্রমে পৌছালাম তখন অলরেডি এগারোটা বেজে গিয়েছিল একটু দেরি হয়েছিল বলা যেতে পারে।
এই আশ্রমে আসলে যেন একটা আলাদা শান্তি অনুভূত হয় ।তখন পুজোর কাজ চলছিল ।এই জায়গাটিতে জন্মাষ্টমীর দিন প্রচুর ভিড় থাকে। কারণ কয়েক লক্ষ মানুষ এখানে বাবার মাথায় জল ঢালতে আসে ।আর আমরা জন্মাষ্টমীর ঠিক আগে আগে গিয়েছিলাম তার কিছুদিন পরেই জন্মাষ্টমী ছিল তাই সেই উপলক্ষেও অনেক প্রস্তুতি চলছিল সেখানে।
এছাড়াও সামনে একটি পুকুর ছিল সেখান থেকে জল নিয়ে আমরা বাবার মাথায় ঢাললাম এবং মিষ্টি কিনে পুজো দিলাম এবং বেশ কিছুক্ষণ ওখানে থাকার পর ওখান থেকে আমরা বেরিয়ে চাকলার উদ্দেশ্যে গেলাম সেখানে খুব সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছি এবং সেই মুহূর্তের কথা পরের পর্বে ভাগ করে নেব ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মায়ের ইচ্ছে পূজো দিতে যাবে।তাই কচুয়া গেলেন।জন্মাষ্টমীর আগে ছিল তাই সবকিছু সুন্দর করে সাজাচ্ছিল।বেশ কিছু সময় আপনারা ছিলেন।সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দিদি।জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
এর আখে সম্ভবত ব্ল্যাকস দাদার পোস্টে কচুয়ার এই মন্দিরের কথা পড়েছিলাম। অনেকদিন পর আপনার মায়ের এখানে পূজা দেওয়ার ইচ্ছা পূরণ হলো বিষয়টি দেখে ভালো লাগল। এবং পুকুর টি বেশ সুন্দর দেখছি। এবং জন্মাষ্টমি এর দিন এখানে এতো মানুষের ভীড় হয় বিষয়টি সত্যি বেশ চমৎকার। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল দিদি।।
আশা করি দিদি ভালো আছেন? আসলে ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলোতে গেলে খুবই ভালো লাগে। মায়ের ইচ্ছেতে কচুয়াতে লোকনাথ বাবার আশ্রমে গিয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই আপনার দুইজন বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। মন্দিরের ভিতরে এবং বাহিরের বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন দিদি।
দিদিভাই, আপনারা মা-মেয়ে মিলে বেশ ভালো সময় যে অতিবাহিত করেছেন মন্দিরে, তা যেন আপনাদের ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুভেচ্ছা রইল সকলের জন্য।
দিদি সত্যি একটি কথা না বলে পারছি না। কচুয়া মন্দির দেখতে যতই না সুন্দর তার চেয়ে সুন্দর কিন্তু আপনি। সে যাই হোক মায়ের ইচেছ পুরনের জন্য জন্মাষ্ট্রমীর আগে ভাগেই বাবা লোকনাথ এর মন্দির দর্শনে গেলেন। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।