কলকাতা টায়ার পার্ক।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।পরিত্যক্ত টায়ার থেকে যে এত সুন্দর শিল্প সৃষ্টি করা যায় তারই কিছু ছবি আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
আমাদের সকলেরই গ্লোবাল ওয়ার্মিং সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা রয়েছে তাই প্রত্যেকেই আমরা পরিবেশ সম্পর্কে অনেকটা সচেতন থাকার চেষ্টা করি ।আমাদের চারিপাশে নানান রকম বর্জ্য পদার্থ থাকে যা সহজে নষ্ট করা যায় না সেটা আমরা সকলেই জানি, তার মধ্যে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য গুলি সহজে নষ্ট হয় না। কিন্তু এই পরিবেশ সচেতনতা কথা ভেবেই কলকাতার বুকে পুরোনো টায়ার ব্যবহার করে এসপ্ল্যানেড চত্বরে গড়ে উঠেছে টায়ার পার্ক ।এই পার্কটি করার মূল উদ্দেশ্যই হল বজ্র পদার্থকে অর্থাৎ যেকোনো ফেলে দেওয়া বস্তু থেকে যে শিল্প তৈরি করা যেতে পারে তার স্পষ্ট ধারণা এই টায়ার পার্ক। একদম অভিনব চিন্তা-ভাবনায় এই পার্কটি তৈরি করা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন আগে ধর্মতলা গিয়েছিলাম শপিং করার জন্য।ওখানে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর জানতে পারলাম এই ধর্মতলাতে টায়ার পার্ক বলে একটি জায়গা আছে । জায়গার নাম শুনেই যেতে ভীষণ আগ্রহী হলাম । এই টায়ার পার্কে পরিত্যক্ত পুরোনো টায়ার গুলোকে নিয়ে নানা ধরনের জিনিস এখানে বানানো হয়েছে। টায়ার কেটে দোলনা ,চেয়ার, গাছ , খাবার টেবিল তাছাড়াও পুরো পার্কটাতে যে সকল জিনিসপত্র আছে সবটাই টায়ার দিয়ে বানানো। এত ইউনিক ভাবনা চিন্তা খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
বড় ছোট টায়ারকে নানান ভাবে কেটে এক এক রকম জিনিস তৈরি করে তার আকার দেওয়া হয়েছে। আর এই টায়ার দিয়ে সেজে উঠেছে পুরো পার্কটা ।আমি যখন গিয়েছিলাম তখন অনেকটাই সন্ধ্যে হয়ে গেছিল তার একঘন্টার মধ্যেই পার্ক বন্ধ হয়ে যাবার কথা ছিল কারণ এই পার্ক দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে আর আমি গিয়েছিলাম সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ তো অনেক দেরি হয়ে গেছিল হাতে খুবই সময় কমই ছিল তাও পুরো পার্ক টা ঘুরে দেখেছিলাম ।একটুখানি সময় ঘুরে ছিলাম সে একটুখানি সময় চোখ ধাঁধিয়ে গেছিল অভিনব শিল্পসৃষ্টি দেখে । ভিতরে সাউন্ড সিস্টেম ছিল । তার সাথে একটি ছোট ক্যাফে ছিল।
টায়ার দিয়ে তৈরি চেয়ার টেবিল
পার্কের পাশে ছিল স্মরণিকা ট্রাম রেস্টুরেন্ট। ট্রামের মধ্যে নানান রকম পুরানো দিনের যানবাহনের কিছু মডেল রেখে দেওয়া হয়েছে ।যা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারা যায় ।তার সাথে এই ট্রামে বসেই চা-কফি স্যান্ডউইচ খাওয়ার মত একটি জায়গা তৈরি করা হয়েছে ।যাতে মানুষ ঘুরতে আসলে এখানে বসে তাদের কিছুটা সময় কাটাতে পারে।
আশা করি আমার আজকের পোস্টটি সকলের খুব ভালো লাগবে।
কলকাতা টায়ার পার্ক খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন, দেখে ভালো লাগলো। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে, এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভ্রমণ করার ইচ্ছা জাগল।
এই ধরনের উদ্যোগকে সবসময় সমর্থন করি। টায়ার পার্কে অবশিষ্ট ফেলে দেওয়া টায়ার এর মাধ্যমে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যেটা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দিদি। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে সুন্দর একটি দৃশ্য তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
কলকাতার টায়ার পার্কটি খুব সুন্দর। সেখানে সবকিছু টায়ার তৈরি মনে হল। টায়ারের তৈরি চেয়ার-টেবিল খুব সুন্দর ছিল আপু। আপনি সেখানে ঘোরাফেরা করেছেন ফটোগ্রাফি করেছেন খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। এবং সেই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপু। আপনাকে ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
বিচিত্র এই পার্কটির কথা আজকে প্রথম শুনলাম তবে দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। ফেলে দেওয়া পরিত্যক্ত টায়ার থেকে নানান রকম জিনিস বানিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে অসাধারণ বললেও কম বলা হবে। টায়ার পার্ক নিয়ে পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নামটি অনেক সুন্দর লেগেছে দিদি মনি, টায়ার পার্কে হয়তো কোনো দিন যাওয়া হবে না, তবে আপনার মাধ্যমে পার্কটি দেখে খুবই ভালো লাগলো, অনেক সুন্দর করে আপনি পার্কটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দিদি মনি, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
কলকাতা টায়ার পার্কে কখনো যাওয়া হয়নি, তবে আপনার ফটো চিত্রের মাধ্যমে পার্কের কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।
টায়ার পার্কের ভেতরের সৌন্দর্য দেখে আমি রীতিমত মুগ্ধ হলাম। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব সাজানো গুছানো পরিবেশ। আমার কাছে সত্যি বলতে অসাধারণ লেগেছে। এই পার্কটি বাংলাদেশে হলে ঘুরতে যেতাম। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
কলকাতা টায়ার পার্কটি বেশ সুন্দর ছিলো। খুব চমৎকারভাবে পার্কটির বর্ণনা দিয়েছেন। আর পার্কটির ফটোগ্রাফিগুলো বেশ চমৎকার হয়েছে।
সত্যি এককথায় অসাধারণ আপু। এইরকম ফেলে দেওয়া জিনিস অসাধারণ কিছু করে দেখাতে সবাই পারে না। টায়ার পার্ক শুনতেই বেশ দারুণ লাগছে। কী সুন্দর ফেলে দেওয়া টায়ার দিয়ে পার্কটা সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দারুণ লাগছে দেখতে। যাইহোক ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে টায়ার পার্কটা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। আপনার পোস্ট না পড়লে এমনটা হতে পারে জানতেই পারতাম না। ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিল।।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে কলকাতার টায়ার পার্কে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমরা কলকাতার কিছু জিনিস দেখতে পারলাম এতেই আমরা আনন্দিত। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ