"৬ বালিগঞ্জ প্লেসে" -এ একদিন
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে ৬ বালিগঞ্জ প্লেস রেস্টুরেন্টের ফুড রিভিউ শেয়ার করলাম।
বেশ কিছুদিন আগে একটি বাঙালি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। বাঙালি রেস্টুরেন্টে খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।। কারণ বাঙালি খাবার গুলো আমার কাছে অনেক বেশি স্বাদের মনে হয়। তাই জন্য আমরা রাজারহাট নিউ টাউনের কাছে সিক্স বালিগঞ্জ প্লেসে খেতে গিয়েছিলাম।
এই 6 বালিগঞ্জ প্লেসের অনেকগুলো শাখা রয়েছে ।তার মধ্যে থেকেই একটি শাখা নিউ টাউনে রয়েছে ।আর এটা অনেকটা কাছাকাছি বলেই এখানে আমরা খেতে গিয়েছিলাম ।বাঙালি রেস্টুরেন্ট মানেই একটা আলাদা আভিজাত্য আছে। আর এই রেস্টুরেন্টে পুরোটাই বেশ বাঙালি আনার ছোঁয়া রয়েছে ।এখানে ঢুকলেই মনে হবে কোনো বাঙালি জায়গাতেই আমরা খেতে এসেছি ।মানে যদি এখানের decoration সম্পর্কে বলা হয় তাহলে বলবো খুব সুন্দর ডেকোরেশন। পুরো রেস্টুরেন্টটির ডেকরেশন নিয়ে কোনো কথা হবে না ।
এবার চলে আসি খাবারের দিকে প্রথমেই আমরা নিয়েছিলাম মটনের চপ । এই মটনের চপ খাবারটি মোটামুটি খুবই ভালো লেগেছিল।এরপর নিয়েছিলাম আমুদি ফ্রাই। যেটার টেস্টও খুব সুন্দর ছিল। বেশ সুন্দরভাবেই পুরো কোটিনটা ছিল। টেস্টটা খুব ভালো ছিল। এরপর নিয়েছিলাম ভাত ,তার সাথে মটন কষা, আলু পোস্ত ,ভেটকি মাছ, শুটকি মাছের ঝুরিভাজা, এছাড়া কাঁকড়া নিয়েছিলাম। তার সাথে ইলিশ মাছও নিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে বেশ অনেকগুলো আইটেম আমরা নিয়েছিলাম। এবার আসি খাবারের কথায় ।
আমুদি ফ্রাই এবং মটনের চপ বাদে প্রত্যেকটি খাবারের মান খুবই খারাপ ।মানে পুরোটাই ঘরোয়া স্টাইলে কিন্তু খেয়ে মনে হয়েছিল যে ঘরের খাবারও এর থেকে অনেক ভালো। কারণ যে কাকড়ার রেসিপিটি আমাদের দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে কোনো টেস্ট ছিল না, তার সাথে যে মটন কষা দেওয়া হয়েছিল মটন খুবই শক্ত ছিল এবং ইলিশ মাছের যে পিসটি দেওয়া হয়েছিল সেটাও ছিল একেবারেই ঠান্ডা ।তারপর আমরা সেই মাছটা গরম করতে বলাতে গরম করে নিয়ে আসে।কিন্তু টেস্ট একেবারেই ছিল না ।আর সবশেষে আসি ভেটকি মাছের কথায় ।ভেটকি মাছ মোটামুটি ভালো ছিল।
সব মিলিয়ে খাবারের মান দেখে আমরা পুরো আশাহত হয়ে গিয়েছিলাম। একেবারেই যেহেতু কোনো টেস্ট ছিল না ।আর খাবারের দাম ছিল অতিরিক্ত ।যদি আমরা বুফে খেতে পারতাম হয়তো ভালো হতো ।বিকেল বেলায় বুফেতে খাওয়া যায় না বলে তাই আমরা বুফেতে খেতে পারিনি। আলা কার্ট এ নিয়েছিলাম আর এখানে খাবারের দাম সব ৫০০ টাকার উপরে ।সেই অনুযায়ী টেস্ট একেবারেই ছিল না। তাই কোন রকমে কিছু খেয়ে আমরা বেরিয়ে গিয়েছিলাম।
সবশেষে একটাই কথা বলবো ৬ বালিগঞ্জ প্লেসের বাঙালি বুফে কিন্তু খুবই ভালো ।আমি জানি না সেদিনটা আলাকার্টে এতটা খারাপ কেন ছিল! তবে সেই দিন অনুযায়ী যদি আমাকে খাবারের রেটিং দিতে বলা হয় তাহলে আমি 10/4 দিলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি আপু, আপনার এই পোস্ট পড়ার শুরুতে ভেবেছিলাম হয়তো খুবই সুস্বাদু খাবার খেয়েছিলেন এই রেস্টুরেন্টে গিয়ে। কিন্তু পোস্টটি সম্পন্ন পড়ছ বুঝতে পারলাম যে সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস রেস্টুরেন্টে ডেকোরেশন এর দিকে সুন্দর হলেও খাবারের মান ততটা উন্নত না। যাহোক,সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস বাঙালি রেস্টুরেন্টে কাটানো মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আমি প্রথমে খাবার গুলো দেখে তো অনেক লোভ লেগে গিয়েছিল। পরে যখন পুরো পোস্টা পড়লাম তখনই বুঝতে পারলাম যে খাবারগুলোর মান ভালো ছিল না। আসলে দিদি আমি এরকম কয়েকবার পড়েছি। খুব ভালো ভালো হোটেলে খেতে যাবার পর খাবারের চেহারা ভালো দেখি কিন্তু খেতে গেলে দেখা যায় খাবারের মান অনেক খারাপ। কোন স্বাদ থাকে না তো সিদ্ধ হয় না। আবার কোন খাবার মুখে দিয়ে মনে হয় আগের দিনের তৈরি করা খাবার গরম করে দিয়েছে।আর তাই চিন্তা করে দেখি এর চেয়ে বাসায় তৈরি করে খাব এটাই ভালো তাতে শরীর সুস্থ থাকবে। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
দিদি আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম এই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলোর নাম তেমন ভালো ছিল না। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভালো কিন্তু খাবারের মান সে তুলনায় অনেক খারাপ। আমুদি ফ্রাই আর মাটনের চপ বাদে সব খাবারের মান খারাপ ছিল।৬ বালিগঞ্জ প্লেসে বাঙালি রেস্টুরেন্টে কাটানোর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
আমি মনে করি বাঙালি খাবার বিশ্বসেরা। কারণ বিশ্বের অনেক দেশে গিয়ে খাবার খেয়েছি আমি,তবে বাঙালি খাবারের মতো এতো স্বাদ কোথাও পাইনি। রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন সুন্দর হলেও কোনো লাভ নেই, যদি খাবারের মান ভালো না হয়। অতিরিক্ত দাম নেওয়ার পরও যদি খাবারের মান ভালো হয়, তাহলে কোনো আফসোস থাকে না মনের মধ্যে। রেটিং মাত্র ৪/১০ দিয়েছেন যেহেতু,সেহেতু বুঝতেই পারছি খাবারের মান কেমন ছিলো। ব্যুফেতে খাওয়া সবচেয়ে বেস্ট,কারণ নিজের মতো করে সময় নিয়ে খাওয়া যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যুফে দুপুর ১-৪ টা,সন্ধ্যা ৭-১০ টা পর্যন্ত। আপনারা তো বিকেলে গিয়েছেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
দিদিভাই, খাবারের স্বাদ আর রেটিং এর ব্যাপারটা জেনে কিছুটা খারাপ ই লাগলো , তবে এটা সত্যি কিন্তু দিদিভাই, খাবারের ছবিগুলো কিন্তু বেশ লোভনীয় ছিল। তাছাড়াও রেস্টুরেন্টের ভিতরের ডেকোরেশন এক কথায় চোখ ধাঁধানো।
বেশ উপভোগ করলাম ব্লগটি।
দিদি আপনার রেটিং দেখে তো হতাশ হলাম! নিশ্চয় খাবারের মান ভালো ছিল না। নয়তো এমন রেটিং হওয়ার কথাও না। তবে রেস্টুরেন্ট এর ভিতরের ডেকোরেশনটা ভালো ছিল
রেস্টুরেন্ট এর ডেকোরেশন তো ভালো কিন্তু খাবারের কোয়ালিটি ভালো ছিলনা । খাবার দেখে তো মনে হচ্ছিল ভালোই ছিল খেতে।বাঙালি রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে ভালো খাবার খেতে পারলেন না।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দিদি ৬ বালিগঞ্জ প্লেসের মত নামি দামি রেস্টুরেন্টের খাবারের মান যদি এমন হয় তাহলে কিছু বলার থাকে না। টাকাও বেশি খাবারের মানও ভালো না। দেখতে তো সুন্দর কিন্তুু স্বাদের দিক দিয়ে আশাহত হলেন। যায়হোক অভিজ্ঞতা হলো আর কি। ধন্যবাদ।