মধ্যরাতে গঙ্গার সান্নিধ্যে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।কিছুদিন আগে একটি পোস্টে আমি আপনাদের ভাই-বোনদের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আর বলেছিলাম যে সেই দিনটা আমরা রাত্রেবেলা ঘোরার প্ল্যান করেছিলাম আজকে আমি তারই কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
রাত্রেবেলা খাওয়া-দাওয়ার সময় গল্প করতে করতে ঠিক করলাম যে ঘুরতে বেরোবো ।এই ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনে তো সবাই এক পায়ে রাজি তখন আমি ব্লাক্সকেও বললাম ও যাবে কিনা! দেখলাম ও সবার সাথে রাজি হয়ে গেল ।
তাই তাড়াতাড়ি খেয়ে নিজের কিছু কাজ করে বেরোলাম। রাত্রেবেলা বেরোবো বলে আনন্দ হচ্ছিল। কিন্তু মায়ের জন্য চিন্তা হচ্ছিল কারণ আমি জানতাম যে আমি যতক্ষণ না আসব মা ততক্ষণ ঘুমাবে না ।তবুও অল্প সময়ের মধ্যে চলে আসবো ভেবেই সবাই মিলে একসাথে বেরোলাম ।আর কাছাকাছি জায়গাতেই গিয়েছিলাম ।
রাত্রে বেলায় গঙ্গার ঘাট কখনও আমার দেখা হয়নি।আমি প্রতিবারই বলেছি যে বিকেল বেলা যখন সূর্য ডোবে ওই সময়টা খুব ভালো লাগে ।তাই প্রতিবারই ওই সময়টা যাই।কিন্তু রাত্রেবেলা গঙ্গার ঘাট কেমন হয়! কতটা সুন্দর থাকে! কতটা নিস্তব্ধ থাকে! সেটা দেখার ভীষণ ইচ্ছে ছিল. তাই কোনো কিছু না ভেবেই গঙ্গার ঘাটে যাব বলেই বেরোলাম। মোটামুটি ৫-৭ মিনিটে পৌছে ও গেলাম । আর সেদিন আমরা তিনটে বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলাম।
পৌঁছে একটা আলাদাই ভালো লাগা কাজ করছিল। কারণ কোনো লোক ছিল না। শুধু আমরা ছিলাম ।আর সত্যি বলতে রাত হয়েছে বলে যে লোক নেই বা লোক কম এরকম মনে হয়নি ।মায়ের ঘাটে তো একেবারে লোক ছিল না। তাই সাথে সাথেই গিয়ে কয়েকটা ছবি তুললাম । আর কিছুক্ষণ বসলাম ।
এরপর গেলাম আহিরীটোলা ঘাটে। আর সেখানের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিল না যে কোনো ভাবেই রাত তখন একটা বাজে যে।কারণ এত পরিমান লোক ছিল ওখানে বলে বোঝাতে পারবো না। এমনকি মেয়েরাও ঘাটে বসে আড্ডা দিচ্ছিল ।এই ব্যাপারটা একটু অবাক লেগেছিল ।কারণ অত রাতে ছেলেরা বাইরে থাকলেও মেয়েদের খুব একটা আমি দেখি না ।তাই দেখলাম যে অনেকে ওখানে ছিল আর এমনকি ওই জায়গাটা দেখে মনে হচ্ছিল না যে রাত হয়েছে।
যাই হোক ওখানে বেশিক্ষণ থাকিনি। কারণ ওতো লোকজন ছিল আর রাতের বেলা একটু ভয় ভয় লাগছিল। তাই কিছুক্ষণ ওখানে দাঁড়িয়ে আমরা আবার ফিরে গিয়েছিলাম। কিন্তু মায়ের ঘাটে আমরা যে মজা করেছিলাম তা কখনো ভোলার নয় । একসাথে থাকার ভীষণ আনন্দ ,ভীষণ মজা আর রাত্রে বেলায় বেড়ানোর একটা আলাদাই উত্তেজনা ।তো সব মিলিয়ে মোটামুটি এক ঘন্টার মধ্যে বাড়ি চলে এসেছিলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
গঙ্গা ঘাটে আপনার সন্ধ্যা অব্দি থেকেছেন কিন্তু কোনদিন রাতে দৃশ্য সেখানে দেখেন নাই। রাত্রে মুহূর্তে কেমন অনুভূতি কেমন ভালোলাগা থাকে সেটা এর প্রথম উপলব্ধি করলেন। আর এরই মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের। আসলে যে জায়গায় প্রথম উপস্থিত হওয়া যায় আর রাত্রে কাল মুহূর্তে থাকা যায় তখন একটু ভয় ভয় অনুভব আসবেই। তবে বেশ ভালো লাগলো নতুন এক অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে উপস্থিত করেছেন দেখে।
রাতের বেলা নদীর পাড়ে কিংবা সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। সেই অনুভূতিটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। যাইহোক মধ্যরাতে গঙ্গার ঘাটে এবং আহিরীটোলা ঘাটে সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছেন, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো বৌদি। সবমিলিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন গঙ্গার ঘাটে। আসলে সবাই মিলে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হুটহাট এরকম ঘুরতে যাওয়ার মজাই অন্যরকম। আর রাতের বেলা নদীর পাড়ের সৌন্দর্য থাকে সম্পূর্ণ আলাদা। নির্জন নদীর পাড়ে বসে ঢেউগুলোর তীরে আছড়ে পরার শব্দ শোনা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। আশা করি আপনাদেরও সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে। পোস্টটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদিভাই, মধ্যরাতে যে গঙ্গার ধারে বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা,তা কিন্তু আপনার লেখা পড়ে ও ছবি দেখেই বুঝতে পারছি, এভাবেই হাসি আনন্দে কাটুক আপনাদের জীবন।
শুভেচ্ছা রইল।
সবাই মিলে এত রাতে ঘুরতে বেরিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো দিদি। আপনার পরিবারের সবাইকে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি আপনার পরিবারের মানুষগুলোর সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি দিদি। আর এত সুন্দর প্রকৃতি দেখার সুযোগ পেলে সত্যিই ভালো লাগে। নিরিবিলি পরিবেশ আর রাতের প্রকৃতি মিলেমিশে বেশ ভালো লেগেছে বুঝতেই পারছি দেখি। তবে এটা ঠিক দিদি আপনারা না ফেরা পর্যন্ত হয়তো আপনার মা অপেক্ষা করবে। আসলে মায়েরা সবসময় সন্তানদের নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করে।
ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলে সবাই এক পায়ে রাজি হয় দিদি। হা হা হা...🤭 তবে দিদি, আমি কিন্তু কখনো রাত্রিবেলা গঙ্গার ঘাটে ঘুরতে যাইনি। যাইহোক, তোমরা ওখানে ঘোরাঘুরি করেছ এবং সবাই মিলে মজা করেছ, জেনে খুবই ভালো লাগছে। আসলে রাত্রিবেলা যখন গঙ্গার ঘাট নিস্তব্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ সেখানে যখন কোন লোক থাকে না, তখন সেখানকার পরিবেশটাই অনেকটা ভুতুড়ে হয়ে যায় এবং ভয় ব্যাপারটা কাজ করে তখন।