আহারে বাহারে বাঙালিয়ানা
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে বাঙালিয়ানা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।। আশা করি সকলের ভালো লাগবে ।
"বাঙালি খাবার" খেতে ভালোবাসে না, এমন মানুষ কিন্তু খুবই কম দেখতে পাওয়া যায়। আর ভোজন রসিক বাঙালি খেতে কিন্তু খুব ভালোবাসে, শুধু খেতে ভালোবাসে বলাটাও ভুল হবে তারা যেমন খেতেও ভালোবাসে তেমন কিন্তু খাওয়াতেও ভালোবাসে। বাঙালি খাবার বলতে আমরা প্রথমেই বুঝি মাছের ঝোল আর ভাত। তাই সব সময় আমরা দুপুর বেলা খাবারের পাতে ভাত কিন্তু চাই- ই চাই।
আজ সকালবেলা আমি আর ব্ল্যাকস অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়েএকটু বেরিয়েছিলাম। তাই ফিরতে দেরি হবে বলে দুপুর বেলা একটি বাঙালি রেস্টুরেন্টে যাই ।কারণ আমার আর ব্ল্যাকস দুজনেরই বাঙালি খাবার খেতে খুব ভালো লাগে ।আর তার থেকেও বড় কথা দুপুরবেলা আমি বিরিয়ানি ,ফ্রাইড রাইস এসবের থেকে সবচেয়ে খেতে ভালবাসি ভাত খেতে।তাই রেস্টুরেন্টের কথা ভাবলে আমার সবার প্রথম মাথায় আসে বাঙালিয়ানা খাবারের কথা।
কাজ সেরে ভাবলাম দুপুরবেলা কোনো বাঙালি রেস্টুরেন্টে যাওয়াটাই ঠিক হবে। তাই গুগল সার্চ করে আমরা ঠিক করলাম সপ্তপদী রেস্টুরেন্টে যাবো।আর এর আগেও অনেকগুলো বাঙালিয়ানা রেস্টুরেন্টে গেছি তাই সপ্তপদী রেস্টুরেন্টে যাওয়াটা কিছুটা আগে থাকতেও ঠিক করা ছিল ।তবে যাই হোক দুপুরবেলা আড়াইটার সময় রেস্টুরেন্টে এসে পৌঁছালাম ।পৌঁছানোর সাথে সাথেই আমাদেরকে বলা হল আমরা বুফেতে খাবো না আলাদা করে এক একটা খাবার অর্ডার করে খাবো !
ব্যুফে কথাটি শোনার পরেই আমরা বুফেতেই যাওয়াটা প্রাধান্য দিলাম। কারণ এক একটা খাবার আলাদা করে অর্ডার দিলে আমাদের সময় অনেকটা চলে যেত ।তাই ব্যুফেতে খেলে সবকিছু রেডিই থাকতো আর অনেকগুলো খাবারও একসাথে টেস্ট করতে পারতাম। তাই বুফেতেই চলে গেলাম খেতে।
প্রথমেই ঢোকার সাথে সাথে আমাদের ওয়েলকাম ড্রিংকস দেওয়া হল যেটা লেবু, জল,চিনি এবং লঙ্কা দিয়ে করা ছিল এবং অপূর্ব টেস্ট , গরমে রাস্তা দিয়ে আসার পর যখন এরকম একটা শরবত পাওয়া যায় তখন সেটা অমৃতই মনে হয়। এরপর একটি ফুচকার স্টল ছিল সেখান থেকে ফুচকা ট্রাই করলাম । ফুচকাও কিন্তু দারুন টেস্ট ছিল। এরপর আমাদের স্টাটার হিসাবে দেওয়া হল পনির পকোড়া, চিকেন পকোড়া ,ফিস ফিঙ্গার। প্রত্যেকটি স্ট্যাটার আইটেমের টেস্ট কিন্তু খুবই ভালো ছিল।
এরপর স্টার্টার খাওয়া হয়ে গেলে মেন কোর্সের দিকে যাওয়ার পালা। মেনকোর্স হিসাবে প্রথমে আমি লুচি আলুর দম নিলাম। তার সাথে ছিল ভাত ,সুক্ত ,আবার ছোলার ডাল ,বাসন্তী পোলাও, মটন কষা, চিকেন কষা, ভেটকি পাতুরি, চিংড়ি মালাইকারি।উফফফফফ🔥। আর সবগুলো খাবার একটু করে টেস্ট করে ছিলাম । কিন্তু আমার কাছে বা আমাদের কাছে ভেটকি পাতুরির মাছটা খুব একটা ভালো লাগেনি ।তাছাড়া চিংড়ি টেস্ট ভালো ছিল। এ ছাড়া বাদবাকি খাবার গুলো ভালো ছিল।
এরপর গেলাম ডেজার্ট আইটেম গুলোর কাছে ,সেখানে ছিল চাটনি, পাপড় ,রসগোল্লা। চাটনির টেস্ট খুবই ভালো । কিন্তু রসগোল্লা একেবারেই ঠিক লাগেনি। সব মিলিয়ে জমিয়ে বাঙালি খাবার খেলাম এবং খুব ভালো লাগলো আজকে পুরো দুপুর বেলা খাবারের আয়োজনটা ।
সব মিলিয়ে আমার সপ্তপদী রেস্টুরেন্টের বাঙালিয়ানা খাবার আমাদের কাছে মোটামুটি ভালই ছিল। তাছাড়া এই রেস্টুরেন্টের আম্বিয়েন্স খুব সুন্দর ।আপনারা হয়তো অনেকেই জানবেন উত্তম সুচিত্রার অভিনীত সপ্তপদী সিনেমাটির কথা। নামটিকে মাথায় রেখে তারই আদলে তৈরি হয়েছে পুরো রেস্টুরেন্টে অ্যাম্বিয়েন্স। যাতে করে আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তাছাড়াও উত্তম সুচিত্রার অভিনীত যে সকল সিনেমা রয়েছে সেই সকল সিনেমার গান মিউজিক হিসাবে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে খাবারের সাথে এমবিয়ান্স দারুন । তবুও যদি রেটিং হিসাবে আমাকে দিতে বলা হয় তাহলে আমি ১০/৮ দেবো
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি দিদি যত খাবারই থাক না কেন, মাছে ভাতে বাঙালি আমরা।তাতে দুপুরে ভাত ই আমাদের পারফেক্ট খাবার।আপনার খাবারের অনুভূতি পড়ে ভীষন ভালো লাগলো। গরমে লেবুর শরবত খেলে শরীর, মন দুটোই শীতল হয়ে যায়। অনেকটা সতেজ লাগে।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর কিছু অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাঙালি মানেই দুপুরবেলায় গরম ভাত আর মাছের ঝোল। অন্যান্য খাবারের চেয়ে মাছের ঝোল ভাত খেতেই বেশি ভালো লাগে। দুপুরবেলায় যেহেতু বাঙালি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন আশা করছি দুজনে মিলে বেশ দারুন খাওয়া দাওয়া হয়েছে। হয়তো মিষ্টি এবং ভেটকি মাছের পাতুরি ভালো লাগেনি। তবে অন্যান্য খাবারগুলো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো দিদি। উত্তম সুচিত্রার অভিনীত সপ্তপদী সিনেমাটি সবার কাছেই জনপ্রিয়। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ সুন্দরভাবে তাদের রেস্টুরেন্টে ডেকোরেশন করেছে। পুরো রেস্টুরেন্টেটিতে বাঙালিয়ানা ফুটে উঠেছে। সব মিলিয়ে দারুন লেগেছে দিদি।
আজকের পোষ্ট টাইলটা বেশী ভালো লেগেছে আমার কাছে দিদি, সত্যি কথা বলেছেন খাবারের বিষয়টি নিয়ে। তবে খাবারের কথা আর কি বলবো রেস্টুরেন্টে অ্যাম্বিয়েন্স দেখে তো আমি পুরাই মুগ্ধ, দারুণ সময় ব্যয় করার সুন্দর একটা জায়গা হতে পারে এটা, তার সাথে বাড়তি স্বাদ হিসেবে খাবারের মেন্যুতো থাকবেই। ধন্যবাদ
সাথে প্রিয়জন আর এরকম বাঙালি ভোজ হলে আর কি চায় ? এতগুলো আইটেম খাবারের কথা শুনে জীভে রীতিমতো জল চলে এলো। আমাদের দেশে এই ধরনের বাঙালি খাবারের বুফে খুবই কম দেখা যায়। এই বুফ্যেটা বাঙালিদের জন্য একদম পারফেক্ট। সময়টা দুজন মিলে বেশ ভালোই কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
দিদি রেস্টুরেন্টের ছবি দেখে তো মনে হচেছ খুব সৌখিন একটি রেস্টুরেন্ট। দুই জন মিলে এত সুন্দর একটি রেস্টুরেনেট দুপুরের খাবার খেয়ে নিলেন। আসলে আমরা যারা মাছে ভাতে বাঙালি তাদের কাছে দুপুরে একটু ভাত হলে আর কিছুই লাগে না। বেশ তো খাবার খেয়েছেন। আর আমাদের সাথে শেয়ারও করেছেন। আবার নাকি লেবুর শরবতও। সব শুনে তো কেমন যেন খেতে ইচ্ছে হচ্ছে।
আসলে বুফে তে খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক ধরনের আইটেম খাওয়া যায় যত খুশি। আবার রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করার সাথে সাথে খাবার রেডি পাওয়া যায়। যাইহোক খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো জিভে জল চলে এলো দিদি। মাটন কষার নাম শুনেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দিদি ভাই আমার খাবারের থেকেও বেশি ভালো লেগেছে রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন। তবে খাবারগুলো বেশ ভালো ছিল তা কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারছি।
আপনাদের দুজনের সময় সর্বদাই ভালো কাটুক, এমনটাই প্রত্যাশা করি।
শুভেচ্ছা রইল 🙏
লেখাটা পড়ছিলাম আর ঢোক গিলে যাচ্ছিলাম দিদি। বাপরে বাপ, এত কিছু এক সাথে খাওয়া যায় !! তবে ভেতরের ডেকোরেশন টা এক কথায় দূর্দান্ত ছিল। মনে ভরে গেল যেন দেখে। আর নাম টাও দারুন 👌