গ্রামের প্রকৃতির সাথে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আপনাদের সাথে গ্রামে কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
গ্রাম অনেকেরই খুব পছন্দের জায়গা বলা যেতে পারে ।কারণ যে সকল মানুষ গ্রামে থাকে আমি শুনেছি তারা কিন্তু শহরে আসলে কোনো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। এর থেকে বোঝা যায় যে গ্রামের পরিবেশ কতটা সুন্দর থাকলে এবং শহরে আসলে সবকিছু হাতের মুঠোয় পেলেও তাদের ভালো লাগে না। আর এটা বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রেই হয় ।তাছাড়াও এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা শহরে খুব একটা থাকতে পছন্দ করে না। তাদের কিন্তু বেশিরভাগই গ্রামে থাকতে পছন্দ করে। আসলে গ্রামের পরিবেশ অনেক সুন্দর এবং অনেক বিশুদ্ধ তার সাথে গ্রামে যে সকল শাকসবজি পাওয়া যায় তার মধ্যে কোনো ভেজাল থাকে না।কিন্তু শহরের বেশিরভাগ শাকসবজি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়। এমনকি শরীরের পক্ষেও কোনো ভাবেই ভালো নয়। সে দিক থেকে অনেক ভালো গ্রামের পরিবেশ।
তাছাড়াও গ্রামের পরিবেশে ছোটো ছোটো বাচ্চা ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার জন্য কোনো অসুবিধা হয় না ।যেটা শহরে হয়ে থাকে। কোনো খেলার মাঠ খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের শৈশবটা বলতে গেলে ফোনের মধ্যে দিয়ে চলে যায়।কিন্তু এই শৈশব কাটানোর জন্য একটু খেলার মাঠ বা কোনো পার্ক না হলে একেবারেই হয় না ।
কিছুদিন আগে গ্রামের দিকে ঘুরতে গেছিলাম আর সেটা বিকেল বেলার সময়টাতে । যত গ্রামের ভিতরে ঢুকছিলাম তত যেন মনে হচ্ছিল প্রাণ খোলা নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম ।যেখানে গাড়ির কোনো যানজট নেই ।পুরো নিস্তব্ধ জায়গা ।গ্রামের ছোট ছোট বাড়ি আর ভর্তি গাছপালা । আঁকাবাঁকা রাস্তা আর তার সাথে পুকুর তো আছে। এগুলো কিন্তু আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এছাড়াও অনেক রকম গাছ দেখতে পেলাম যেটা শহরে একেবারে দেখতে পাওয়া যায় না। গ্রামের বাড়িগুলোতে প্রত্যেকটি ঘরের সাথে কিন্তু দালান থাকে , বা কিছুটা ফাঁকা জায়গা রেখে দেয় যেখানে অনেক সবজির গাছ লাগানো থাকে বা ফলের গাছ ,ফুলের গাছ লাগানো থাকে যেগুলো দেখতেও খুব ভালো লাগে ।আমি যখন সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম দেখতে পাচ্ছিলাম যে প্রতিটি ঘরের সাথে ফুল বা ফল তার সাথে আর সবজির গাছ রয়েছে এগুলো দেখতেও যেমন ভালো লাগে এবং মানুষকে খুব আকর্ষণ করে ।যেহেতু আমরা শহরে এই সকল জিনিসগুলো দেখতে পাই না। আর তাছাড়াও কিছু ছোটো ছোট জমি দেখলে। যেখানে বেগুন , লঙ্কা , ফুলকপি,পিয়াজ চাষ হচ্ছে। যেগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছিল এবং খুব সুন্দর ভাবে জায়গাটাকে উপভোগ করছিলাম ।
কলকাতা শহরটা যত দিন যাচ্ছে শুধু বাড়ি আর ফ্ল্যাট এ ঢেকে যাচ্ছে।আর যে সকল ফাঁকা জায়গা আছে তাতেও ফ্ল্যাট উঠে যাচ্ছে। বলতে গেলে কোনো ফাঁকা জায়গাই দেখতে পাওয়া যায় না ।হয়তো যতদিন বাড়বে আরো এরকম ফ্ল্যাটের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনেক বড় বিপদের মুখেই পড়তে চলেছে ।যা আমরা বুঝতেই পারছি।তাই মনে হয় যে এই কথাটা সত্য যদি গাছপালা থাকে তাহলেই মানুষের জীবন থাকবে ।তাছাড়া কিন্তু মানুষ একেবারেই অসহায়।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমার পরিচিত অনেক মানুষ আছে যারা বাধ্য হয়ে শহরে থাকে। কারণ জীবিকার তাগিদে তাদেরকে শহরে থাকতে হয়। কিন্তু মনেপ্রাণে তারা গ্রাম খুব পছন্দ করে। কারণ গ্রামে থাকাটা আসলেই খুব মজার। গ্রামের খোলামেলা পরিবেশে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। তাজা সবজি, ফলমূল খাওয়া যায়। যা শহরে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন দিদি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। যাইহোক এতো মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামীণ পরিবেশ আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। দিদি আপনি বিকেল বেলায় গ্রামের দিকে গিয়ে চমৎকার চমৎকার গ্রামের প্রকৃতির সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। এধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে জাস্ট অসাধারন লাগে। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে গ্রামের কথা মনে পড়ে গেলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দিদি চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
গ্রামীণ প্রকৃতিতে যে একদম বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন, তা যেন আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দিদিভাই।
সত্যি বলতে কি দিদিভাই, আমারও শহরের জীবন একদম ভীষণ অপছন্দনীয়। তবে অনেকটা বাধ্য হয়েই থাকতে হয়।
গ্রামীণ পরিবেশে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দিদি।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। গ্রামে যারা থাকে তারা শহরের বন্দী জীবনে অভস্ত্য হয় না।তাদের গ্রামেই ভালো লাগে। গ্রামের সুশীতল বাতাস মনপ্রান জুড়িয়ে দেয়।সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সময় যত যাচ্ছে শহরের ফাঁকা জায়গাগুলো ততই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শহরের প্রত্যেকটি জায়গায় উঁচু উঁচু দালানকোঠা গড়ে উঠছে। তাইতো শহরের বাচ্চারা খেলাধুলার জন্য ভালো জায়গা পায় না। আর গ্রামে সবাই মনের আনন্দে খেলা করে ও ঘুরে বেড়াতে পারে। দিদি আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। গ্রামে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।
গ্রাম এবং শহরের সবচাইতে বড় পার্থক্য গ্রামে আপনি প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে পারবেন যেটা শহরে পারবেন না। আর আপনি যদি নিরিবিলি সবুজ ঠান্ডা পরিবেশ পছন্দ করেন তাহলে গ্রাম আপনার জন্যই। আমি এখন আমার গ্রামকে অনেক মিস করি। এককথায় শহর অশান্তি তৈরি করে এবং গ্রাম প্রশান্তি তৈরি করে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে।।
গ্রামে থেকে থেকে গ্রামীণ পরিবেশ কেমন একটা হয়ে গিয়েছে। হয়তোবা ইট পাথরের শহরে থাকলে গ্রামে আসতে অনেক বেশি মন চাইতো। আর আপনাদের কাছে তো বেশি ভালো লাগবে শহরে আছেন গ্রামে আসলেই বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তাই তো অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো আপনাদের কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লাগবে। কিন্তু আমাদের সবসময়ই এই প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জড়িত যেমন মাঠ ঘাট নদী নালা। আপনার তোলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছ থেকে শুভকামনা রইল আপু।
গ্রামকে পছন্দ করার ভেতরে অনেক মানুষ থাকে তার মধ্যে আমি একজন। গ্রামে যে কোন কিছু আমার ভীষণ ভালো লাগে। এর পক্ষান্তরে শহর আমার খুবই খারাপ লাগে নিজের কাছে। শহরের যানবাহন গাড়ী কোলাহল এগুলো আমার একটুও ভালো লাগেনা। গ্রামে কোন যানজট নেই সুন্দর মনোরম পরিবেশ। যেদিকে তাকাই শুধু সবুজের সমোরহ। এক কথায় বলতে গেলে গ্রাম হল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নীলাভূমি।
গ্রামীণ পরিবেশে সবারই পছন্দের বলা যায়।নিরিবিলি চারিপাশ সবুজে ভরা।পুকুর,গাছপালা সবকিছু মিলিয়ে দুর্দান্ত পরিবেশ।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার লাগছে দেখতে দিদি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দারুন হয়েছে আপু গ্রামীণ পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লাগলো। আসলে শহরের পরিবেশে মানুষ বাধ্য হয়ে থাকে এখানে জীবন জীবিকার তাগিদে। তবে যখন থাকতে থাকতে অভ্যাস হয়ে যায় তখন সে শহরের প্রতি একটা টান পড়ে যাই। কিন্তু গ্রামের মজাই আলাদা গ্রামের মানুষ শহরে আসলেই থাকতে চাই না সেটা সঠিক। যদিও আসে শহরে কিন্তু দুই/একদিন পরে আবার চটফট শুরু হয়ে যায় ফিরে যাওয়ার জন্য। অনেক সুন্দর ছিল প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে।