বারাসাতের সিরাজ উদ্যানে কাটানো কিছু মুহূর্ত।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আমরা ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা কত দূর দূরান্তে ছুটে বেড়াই, কিন্তু নিজেদের বাড়ির কাছাকাছি যে কত ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে তা আমরা জানিনা। আজকে আমি সিরাজদৌল্লারস্মৃতি বিজড়িত বারাসাতের সিরাজ উদ্যানে কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
বারাসাত ও তিতুমিরের বাঁশেরকেল্লা এই কটি কথা শুনলেই চলে যেতে হয় ইতিহাসের পাতায় ওয়াহাবি আন্দোলনে। এমন কিছু ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে তা আমাদের অজানা এবং সেটি সিরাজদৌল্লার সাথে স্মৃতি বিজড়িত সিরাজ উদ্যান যাকে হাতি পুকুর পার্ক বলে জানি।
বাংলা তখন রাজ্যপাট সামলাচ্ছে সিরাজদৌল্লা। নবাবের মসনদ মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি। মুর্শিদাবাদ থেকে মাঝেমধ্যে কলকাতায় আসতেন এই সিরাজ, সঙ্গে থাকত সৈন্য-সামন্ত।পথে পরতো এই বারাসাত। যাত্রা পথের ক্লান্তি কাটাতে এই বারাসাতেই জিরিয়ে নিতেন নবাব।নবাবের হাতি ঘোড়া কে জল খাওয়াতে কাছারি ময়দান ও হেস্টিংস ভিলার কাছে বারাসাতে একটি পুকুর খনন করেন। নবাবের হাতি এই পুকুরটি থেকে জল খেতে বলে পুকুরটির নামই হয়ে যায় হাতিপুকুর। এই হাতি পুকুর থেকে মিনিট পাঁচেক দূরে এই হেস্টিংস ভিলা ।
লকডাউনের পর পর মনে হতো যদি কোথাও থেকে ঘুরে আসতে পারতাম ভালো হতো সত্যি কথা বলতে টানা সাত-আট মাসের কাছাকাছি বাড়ি থেকে কোথাও বেরোইনি। শীতকাল পড়তে একদিন মনে হয়েছিল যে কাছাকাছি যদি কোথাও ঘোরার জায়গা থাকতো তাহলে ঘুরে আসা যেত ।হঠাৎ আমার এক বন্ধুর কাছে এই বারাসাতের সিরাজ উদ্যান সম্পর্কে জানতে পারি এবং ঘুরতে যাই ।এত সুন্দর একটি পার্ক আমাদেরই কাছাকাছি না গেলে বিশ্বাস হবে না ।এখানে হাতি পুকুর পার্ক এ ঢোকার মুখে রয়েছে নবাবি তোরণ। এছাড়াও হাতি ঘোড়ার মডেল রয়েছে। সেই মডেলের পিঠে রয়েছে তলোয়ারধারী সেনাদের মডেল, সাথে সিরাজদৌলার মূর্তি বানানো হয়েছে।
শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে হাজারো বন্দোবস্ত। কাশ্মীরের আদলে রয়েছে শিকারার মতো বোট। আর তার সাথে রয়েছে টয়ট্রেনও । হাতিপুকুরের মাঝখানে একটা দ্বীপের মতো রয়েছে। সেখান যাওয়ার জন্য রয়েছে একটি সেতুও। দ্বীপের এক দিকে লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ বানানো হয়েছে। সেখানে একটি বহুপ্রাচীন গাছ রয়েছে আর সেই গাছটি না কেটেই গুঁড়ি খোদাই করে দেওয়া হয়েছে মানুষের আদলে।
আমি যখন গিয়েছিলাম সেই দিনটি ছিল ২৫ ডিসেম্বর খুব ভিড় ছিল। কিন্তু এত সুন্দর একটি জায়গা ,এত সুন্দর করে পার্কটিকে বানানো হয়েছে, এত সাজানো-গোছানো বড় থেকে ছোটো সবারই খুব ভালো লাগবে ,আমারও ভীষণ ভালো লেগেছিল ।অনেকটা সময় এখানে কাটিয়েছিলাম, যেহেতু শীতকাল ছিল সেহেতু নানান ধরনের ফুলের গাছ ছিল ।তার সাথে এখানে গল্পগুজব করার জন্য একটি ক্যাফে ও ছিল ।যেখান থেকে কিছু খাবার অর্ডার করে খেয়েছিলাম।
এইবার থেকে বেরিয়েই সামনে একটি ধাবা ছিল সেখান থেকে লাঞ্চ করেছিলাম ধাবাটি ভীষণ নামকরা । প্রায় দু ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর জায়গা পেয়েছিলাম ।যেহেতু ক্রিসমাস ছিল সেহেতু খুব ভিড় ছিল। তাই জন্যই এই অবস্থা।
সব মিলিয়ে এই বারাসাতের সিরাজ উদ্যানে ভীষণ আনন্দ করেছিলাম এবং আমার খুব ভালো লেগেছিল ।মাঝে মাঝে এই ধরনের পার্কে ঘুরতে যেতে খুবই ভালো লাগে ।তাই আজ আমি সেই মুহূর্তটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
ঐতিহাসিক ও স্মৃতিবিজড়িত দৃশ্যপট দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। অনেক অজানা তথ্য আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম। বারাসাতে সিরাজ উদ্যানের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। সিরাজ উদ্যান হাতি পুকুরের ঘটনাটি জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক অজানা তথ্য ও আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বারাসাত এবং নবাব সিরাজ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে পারলাম, তার সাথে সাথে চমৎকার ফটোগ্রাফিগুলো উপভোগ করলাম। সুযোগ পেলে অবশ্যই কোন একদিন এখানে কিছু সময় উপভোগ করতে আসবো। ধন্যবাদ দিদি সুন্দরভাবে বারাসাতের সিরাজ উদ্যান উপস্থাপন করার জন্য।
বেশ কিছু তথ্য প্রায় বলতে গেলে অজানাই ছিলো।আজকে পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম।শেষের খাবার দাবারের পর্ব বেশ মজাদার হয়েছে তো।
বারাসাতে সিরাজ উদ্যান এ কাটানোর কিছু সুন্দর মুহূর্ত দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো আপু। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে বারাসাতের নবাব সিরাজ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে পেলাম। জায়গাটির দেখতে অনেক সুন্দর আপু। প্রতিটি ছবি দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। নবাব সিরাজের এত সুন্দর কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
বারাসাতের এই সিরাজ উদ্যান ইতিহাসের এক সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। যেকোনো ঐতিহাসিক স্থানে গেলেই একটা শান্তি আসে ভেতর থেকে। অনেকগুলো আলোকচিত্র দেখে ভালো লাগলো। সিরাজদ্দৌলা এখানে এসে জিরোতেন , নিঃসন্দেহে এটা ঐতিহাসিক সাক্ষ্য।
ধন্যবাদ দিদি আপনাকে আপনার এই বারাসাতে নবাব সিরাজ উদ্যানে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমি আমার মার হাত ধরে ছোটবেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম বারাসাতে যাইহোক ছোটকালে স্মৃতি আজ আবার মনে করিয়ে দিলেন ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।