শ্বশুরবাড়িতে আমার প্রথম লক্ষী পুজো
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে প্রথম লক্ষী পুজো কাটানোর কিছু সুন্দর মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।।
দুদিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার ছিল রাস পূর্ণিমা ।রাস পূর্ণিমা হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম উৎসব। এই রাস পূর্ণিমার দিনটি খুব ভালো একটি দিন হিসাবে বলা যায়। এই দিন অনেক বাড়িতে উৎসব বা পুজো করা হয়। তেমনভাবেই এই বছর রাস পূর্ণিমার দিন আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মী পূজা করা হয়েছিল।
লক্ষী পূজার দিন দাদারা না থাকার কারণে ওই দিনকে পুজো দেওয়া যায়নি। তাই ঠিক করা হয় রাস পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মী পূজা করা হবে ।
বিয়ের সাত দিন পর হয় অষ্টমঙ্গলা ।আর এই অষ্টমঙ্গলে উপলক্ষে মেয়েরা তাদের বাপের বাড়ি গিয়ে দুদিন মতো থেকে আসে। সেই মতো আমিও আমার বাবার বাড়িতে গিয়ে দুদিন থেকে তিন দিনের দিন চলে আসি আর ওই দিনকেই ছিল লক্ষ্মী পূজা। যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী বাবার বাড়িতে থাকতেই হবে তাই পুজোর কাজে কোনো ভাবেই আমি দিদিভাইকে সাহায্য করতে পারিনি ।কারণ ওই সময়টাই আমি থাকতে পারিনি সাথে ।আমি যখন শ্বশুরবাড়ি পৌঁছেছিলাম তখন দিদি সবকিছু গুছিয়ে ঠাকুরের সামনে রেখেছিল। খুব সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে ,নানান রকম রান্না করে ঠাকুরকে দিয়েছিল।নিজের হাতে লুচি, সুজি, পাঁচমিশালী তরকারি, খিচুড়ি পাপড় ,চাটনি ।তাছাড়াও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে নারকেলের নাড়ু বানিয়ে রেখেছিল।
আমি আসার পর দিদিভাই পাঁচালী পড়ে পুজো সম্পন্ন করে। আমার এই বছর শ্বশুরবাড়িতে প্রথম লক্ষী পুজো। তাই হাতে হাতে সাহায্য করতে না পারলেও আসার পর যতটুকু আমাকে বলা হয়েছিল ততটুকু কাজ করে দিয়েছিলাম। এতে করে আমারও খুব ভালো লেগেছিল ।পরের বছর থেকে ইচ্ছা আছে সমস্ত কাজে দিদিভাইয়ের পাশে থেকে সাহায্য করার।
যতটুকু সময় আমি থেকে ছিলাম সেইটুকু সময় খুব সুন্দর ভাবে পুজো দেখেছিলাম এবং পূজোর পর সবাইকে মিষ্টি ফলপ্রসাদ ভাগ করে দিয়েছিলাম ।এই ভাবেই সেদিনের পুজো সম্পন্ন হয়েছিল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বিয়ের পর বাড়িতে প্রথম লক্ষ্মী পুজোর দিনের বিবরণ পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দিদিভাই। অষ্টমঙ্গলার দিন হওয়াতে বাপের বাড়িও কিছুক্ষণ থাকা হয়েছিলো, পরে নতুন বাড়িতেও বাকি সময়টুকু থাকা হয়েছিলো,এটিও কিন্তু ভালোই। আশা করছি পরের বার অবশ্যই বড়বৌদির সাথে সব কাজেই মিলেমিশে পুজোর কাজ করতে পারবেন। মা লক্ষ্মীর আশির্বাদ বজায় থাকুক আপনাদের পরিবারের উপর-এটিই কামনা।
বিয়ের পর সবকিছুর অনুভূতিই একটি আলাদা মাত্রা যোগ করে। বিয়ের পর এই প্রথম লক্ষ্মীপুজো পালন করলেন দিদি শ্বশুর বাড়িতে।অষ্টমঙ্গলার কারনে বাবার বাড়ি থাকা হলেও ফিরে এসে দিদির সাথে খুব সুন্দর ভাবে পুজোর আয়োজন করে সমাপ্ত করলেন খুব চমৎকার ভাবে। দোয়া করি দিদি জীবন আপনার সুন্দর কাটুক সবার মাঝে।অনেক অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য। অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।
প্রথমবার লক্ষীপুজায় সাহায্য করতে পারেননি বাবার বাড়ি বিয়ের নিয়ম পালনের জন্য থাকার কারনে। কিন্তু ফিরে এসেতো সাহায্য করেছেন। এবং পুরো পুজাই ভালোভাবে করেছেন। পুজোর মিষ্টি ফল সবাইকে দিয়েছেন।পরের বছর বৌদির সাথে সাথে সকল পুজোর কাজ নিজের পছন্দ মতো করতে পারবেন সেই দোয়া করি । বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
বিয়ের পরে প্রথম অনুষ্ঠানগুলো খুব ভালো লাগে যে কোন কিছু প্রথমবার হলে তার মধ্যে আলাদা আনন্দ কাজ করে। দিদি আপনি প্রথম লক্ষ্মীপূজায় অংশগ্রহণ করেছেন। যদিও পুরো কাজ করতে পারেন নি। আশা করি পরবর্তী থেকে সব কাজই করতে পারবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বিয়ের পর প্রতিটি মেয়ে শ্বশুরবাড়ীতে নিজেকে ঘরণী রূপে দেখতে বেশ পছন্দ করে। আপনি কিন্তু বিয়ের প্রথমেই শ্বশুরবাড়ীর লক্ষী পুজোয় নিজেকে তো দেখছি বেশ মানিয়ে নিয়েছেন। আসলে আাজকে আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো আমার । শুভ কামনা রইল আপনার নতুন জীবনের জন্য।
বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে প্রথম লক্ষী পূজা পালন করেছেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো বৌদি। আসলে যারা সাংসারিক মেয়ে তারা সংসারের দায়িত্ব ঠিকঠাক মতো পালন করতে চায় সবসময়। আপনি অষ্টমঙ্গলা উপলক্ষে বাবার বাড়িতে গিয়েছিলেন বিধায়,কাজ কর্মে ততটা হেল্প করতে পারেননি। আশা করি পরবর্তীতে সবকিছুতেই আপনি অনেক সাহায্য করতে পারবেন। সবসময় খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন সেই কামনা করছি। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল বৌদি।
দিদিভাই, নারিকেলের নাড়ু খেতে আমার সেই রকম ভালো লাগে। আপনার আর বৌদির ভিতরে বন্ধন দৃঢ় হোক এবং আপনাদের আগামীর দিন গুলো আরও ভালো কাটুক এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।
শুভেচ্ছা রইল 🙏