দোলের দিন
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে দোলের দিনের কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
দোল উৎসবের দিন ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা ও বলা হয়। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও গোপিকাদের সঙ্গে রং খেলায় মেতে উঠতেন।
এই বছর দোলের দিন একদম অন্যরকম ভাবে আমার কেটেছে । বিয়ের পর যেহেতু আমার প্রথম দোল খেলা ।তাই শ্বশুরবাড়িতে কিছুটা সময় দোল খেলে আবার আমি বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম ।এই দোলের দিন আমি প্রচুর পরিমাণে রং খেলি আর রং বলতে আবির খেলি ।
এই বছর আলাদাই মজা হয়েছে।যেহেতু বিয়ের প্রথম বছর।তারমধ্যে বাড়ির সবাই একসাথে রং খেলি । তাছাড়াও আমি প্রতি বছর সবার সাথেই আবির খেলি ।আবির খেলার পর আমাদের বাড়িতে একসাথে ভোগ প্রসাদ খাওয়া হয়। সারাটা দিনই আমরা একসাথে থাকি ।এবং আমাদের বাড়িতে দোল উৎসবের পুজো দুইদিন ধরে হয়। নিয়ম অনুযায়ী ঠাকুরের পায়ে দোলের দিন আবির দিয়ে দিনটা শুরু করতে হয়।
আর এই দিন সমস্ত ভোগের রান্না মা কাকিমারাই করে থাকে। আর আমরা দুপুর বেলা রং খেলে সবাই একসাথে বসে প্রসাদ খেয়ে সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে আমরা বিকেলবেলা বেরিয়েছিলাম ।বিকেলবেলা বেরিয়ে ভীষণ মজা করেছিলাম। সেই গল্প আমি আপনাদের সাথে পরের পর্ব ভাগ করে নেব ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বিয়ের পর প্রথম দোল উৎসবের দিনটা তাহলে বেশ ভালোই কেটেছে বৌদি। রং খেলতে কিন্তু ভালোই লাগে। ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের দেশের বিয়ের অনুষ্ঠানে রং মাখামাখি করা হতো। কিন্তু এখন এসব তেমন একটা দেখা যায় না। যাইহোক এবারের দোল উৎসব তাহলে শ্বশুর বাড়ি এবং বাবার বাড়িতে মিলিয়েই করেছেন। রং খেলা,আড্ডা এবং মজার মজার খাবার খাওয়া,সবমিলিয়ে একেবারে জমে গিয়েছে বৌদি। ফটোগ্রাফি গুলোও দারুণ হয়েছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি ভীষণ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দোল পূর্ণিমা সম্পর্কে এতো বিস্তারিত তথ্য আগে জানতাম না দিদিভাই। তবে সময়টা যে আপনার বেশ ভালো কেটেছিল, তা কিন্তু বুঝতে পারছি। তাছাড়া খাবারের ছবিগুলো বেশ লোভনীয় ছিল। দারুণ উপভোগ করলাম ব্লগটা।
বুঝতেই পারছি দিদি, বিয়ের পর প্রথম দোল, শ্বশুরবাড়ির সাথে সাথে বাবার বাড়িতেও আবির খেলার দারুণ আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছেন, জীবনটা এমনই রঙিন থাকুক। অনেক ধন্যবাদ