হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। তাই সুযোগ পেলে আমারও ভ্রমণ করতে যেতে ইচ্ছে জাগে দেশের যে কোন প্রান্তে। আম্মার অসুস্থতার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে বাস জার্নি করেছিলাম, তার পঞ্চম পর্ব নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আশা করি আজকের এই পর্বে বেশ কিছু জানার সুযোগ পাবেন। তাহলে চলুন শুরু করি কুমারখালী থেকে দৌলোদিয়ার ঘাট পর্যন্ত বাস জার্নির বিস্তারিত বিষয়।
photography device: Infinix Hot 11s
What3words Location
কুষ্টিয়া শহর পার হয়ে কিছুটা ফাঁকা পরিবেশের দিকে অগ্রসর হলো আমাদের এসবি পরিবহন। কুমারখালির দিকে যেতে ই গড়াই নদী আর সে ব্রিজ। এরপর ব্রিজ অতিক্রম করে কিছুটা পথ এগিয়ে যেতে আমি লক্ষ্য করতে থাকলাম, এই এলাকায় ঘনবসতীর সংখ্যা হাইরোডের পাশ দিয়ে খুবই কম। আর বেশিরভাগ লক্ষ্য করলাম নারিকেল গাছ আম গাছসহ বিভিন্ন প্রকার গাছ-গাছালি অনেক। একটা দেশের জন্য ২৫% এর বেশি গাছপালা প্রয়োজন। তবে খেয়াল করে দেখলাম কুষ্টিয়া কুমারখালীর লোকজন এই বিষয়ে বেশ সচেতন। তাই রাস্তার পাশে অসংখ্য গাছপালা। সুন্দর এই পরিবেশের মধ্য দিয়ে গাড়িতে যেতে বেশি ভালো লাগছিল। আর জায়গায় জায়গায় লক্ষ্য করে দেখলাম বেশ মসজিদ রয়েছে রাস্তার পাশ দিয়ে। আর একটা বেশি বিষয় লক্ষ্য করেছিলাম কারেন্টের তার অতিমাত্রায়। আমাদের এলাকায় এত বেশি কারেন্টের তার লক্ষ্যনীয় নয়। শুধু আমাদের গাংনী উপজেলার দিকে একটু এমন কারেন্টের তার লক্ষ্য করেছি। কিন্তু এ পথে যেতে পুরা রাস্তার কোলেই অত্যাধিক কারেন্টের তার। তাই গাছপালা যেন কারেন্টের তারের সাথে লেগে না যায় সে বিষয়ে যথেষ্ট জন থাকার প্রয়োজন রয়েছে এলাকাবাসী ও কারেন্টের লোকজনের।
photography device: Infinix Hot 11s
What3words Location
আর এভাবেই দেখতে দেখতে লক্ষ্য করতে করতে সময় পার হতে থাকলো পাশাপাশি গাড়িও এগিয়ে যেতে থাকলো কুমারখালী হয়ে কুষ্টিয়া খোকসা পার হয়ে রাজবাড়ীর দিকে। আমিও বাসের মধ্য থেকে অচেনা জায়গা গুলো দেখার জন্য চেষ্টা করতে থাকলাম। বাসের ভেতর থেকে যতদূর যা কিছু দেখা সম্ভব হলো সেগুলো সচক্ষে দেখার চেষ্টা করলাম আর মাঝে মধ্যে চেষ্টা করলাম কিছু ফটো ধারণ করার। এর আগে ঢাকাতে গেছি কুষ্টিয়া ভেড়ামারা হয়ে লালন শাহ ব্রিজ ওদিকে যমুনা সেতু পার হয়ে টাঙ্গাইলে হয়ে ঢাকা সাভার দিয়ে। এ পথে এই প্রথম যাত্রা। তাই অচেনা জায়গা গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।
photography device: Infinix Hot 11s
What3words Location
পূর্বে শুনেছিলাম কুষ্টিয়া শহর দিয়ে দৌলোদিয়ার ঘাট হয়ে ঢাকায় যাওয়া আমাদের এদিক থেকে সহজ এবং দুই ঘন্টা টাইম কম লাগে। তবে ভয় লাগতো ঘাটপার হতে হয় এজন্য। তবে এখন কিন্তু নিশ্চিত হয়ে যাওয়া হয়েছে যে ঘাটের এরিয়ার ব্যবস্থা মোটামুটি ভালো আর বেশ শর্ট টাইমে যাওয়া যায়। হিসেব করে দেখা গেছে প্রায় ১০০ কিলো পথ কম এই পথ দিয়ে গেলে প্রায় দুই ঘণ্টা টাইম কম লাগে। তাই বেশি সুবিধা মনে হয়েছিল আমার কাছে এদিকে মোবাইলের গুগলে লোকেশন ধরে আমিও লক্ষ্য করে দেখলাম ঘাটপার হলেই মানিকগঞ্জ তারপরে ঢাকা সাভার। তবে তখন ঢাকা রাজবাড়ীর পাংশা শহরের দিকে এসে পৌছালাম তখন দেখতে পারলাম ঘাট অতি নিকটে। এই মুহূর্তে আবহাওয়াটা বেশ দারুন ছিল। তবে এই প্রথম ঘাট পার হতে চলেছি। তাই একটু কেমন জানি মনে হচ্ছিল যে এখানে ব্যবস্থাটা কেমন।
photography device: Infinix Hot 11s
What3words Location
অতঃপর ঢাকা রাজবাড়ী পার হয়ে এসে দোলোদিয়ার ঘাটে উপস্থিত হলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম ঘাটের ব্যবস্থাটা সুন্দর। কারন ফেরি পারাপারের জন্য খুব সুন্দর করে বাঁধাই করা রয়েছে বাস ওঠা নামার জায়গাটা ঠিক এমন মুহূর্তে আমার খালা আমাকে সাবধান করে দিলো এখানে মোবাইল ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফেরিতে অনেক খারাপ ছেলেপেলে থেকে থাকে যারা মোবাইল ছিনতাই করে চলে যায়। তখন আমার পকেটের দুইটা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও ষাট হাজার টাকার মত ছিল। এজন্য খালা বেশি আমাকে বলছিল সবকিছু যেন সামলিয়ে রাখে। কারণ আমি খালাকে বলেছিলাম আমি একটু ফটো ধারণ করবো তাই বাস থেকে আগেই নেমে পড়েছিলাম। তারপর গাড়িটা ফেরিতে উঠলো। আমি ও চলে গেলাম। কারণ ফেরি লোড হয়ে গেলেই ছেঁড়ে যাবে। বিস্তারিত পরবর্তী পর্বের পোস্টে জানানো হবে।
photography device: Infinix Hot 11s
What3words Location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন গাংনী | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
ভাইয়া আন্টিকে নিয়ে ঢাকায় আসার পঞ্চম পর্বের ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে ভালই লাগলো।খুব সুন্দর করে আপনার পোস্টটি লিখেছেন। কুষ্টিয়া দিয়ে আশা থেকে শুরু করে প্রতিটা প্রকৃতির দৃশ্যই আমার কাছে ভালো লেগেছে।আর দৌলোদিয়া ঘাটে আমিও চার বছর আগে যশোর যাচ্ছিলাম তখনই শুনতে পেয়েছি দোলোদিয়া ঘাটে নাকি ছিনতাই হয়। আমাদের যখন দৌলোদিয়া ঘাটে গাড়ি নেমেছিল তখন নেমে আমি ফটোগ্রাফি আর ভিডিওগ্রাফি করছিলাম। তখন আমার ভাই ও বলেছিল মোবাইল সাবধানে রাখতে।ওই জায়গাটা নাকি ভালো না। ধন্যবাদ ভাইয়া। ঢাকায় আসার ভ্রমণ পোস্ট ও তার বর্ণনা সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ এই জন্যই খালাম্মা বারবার সাবধান করেছিল।