ঢাকা শহরে জ্যামের ভোগান্তি
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। কলেজ থেকে আসার মুহূর্তে জ্যামের ভোগান্তির কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আমার কলেজের নাম হচ্ছে,বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। আমি বর্তমানে সেকেন্ড ইয়ারে অধ্যায়নরত রয়েছি। আমার বাসা থেকে কলেজ এর দূরত্ব বেশ ভালোই। আমার পাশে যে বান্ধবীটা বসে আছে।ওর বাসা আমার বাসায় একই জায়গায়। তাই আমরা দুজন একসাথে কলেজে যাই। আবার প্রাইভেট গেলেও একসাথে যাই।
এটা হচ্ছে বাইপাইল স্ট্যান্ড। বাইপাইল স্ট্যান্ডে সাধারণত সবসময়ই জ্যাম লেগেই থাকে। কারণ বাইপাইলে বড় সবজির বাজার। এজন্য প্রায় সময়ই কলেজ থেকে আসার সময় যেন সম্মুখীন হওয়া লাগে। আমার কলেজ বাইপাইল থেকে সামান্য যাওয়া লাগে। তবে আজকে একটু বেশি জ্যাম লেগেছিল। বিশেষ করে কলেজ থেকে আসার সময় জ্যাম লেগে থাকলে অনেক বিরক্ত লাগে। কারণ সারাদিন ক্লাস করার পর জ্যামের মধ্যে বসে থাকতে ভালো লাগে না। এখানে প্রায় ৩০ মিনিট জ্যাম লেগেছিল তারপর রাস্তা একটু স্বাভাবিক হতে লাগলো।
বাম সাইডের রাস্তা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল কিন্তু ডান সাইডের রাস্তা পুরো ব্লক ছিল। বাম সাইডে রাস্তা স্বাভাবিক হওয়াতে বাস অনেক দ্রুত চলে আসছিলবাস অনেক দ্রুত চলে আসছিল। ঢাকা শহরের দিকে জ্যাম না থাকলে যাতায়াত করা কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু যখন গ্রামের সম্মুখীন হতে হয় তখন যাতায়াত করা খুবই সমস্যা হয়ে যায়। বিশেষ করে যারা অফিস করে তাদের বেশি সমস্যায় পড়া লাগে। কারণ অফিসে দেরি হলে অফিসের বস ঝামেলা করে।
তারপর আমরা খুব দ্রুত বিশ মাইল বাস স্ট্যান্ডে চলে আসলাম। আসলে জ্যাম না থাকলে খুব একটা টাইম লাগে না। আমাদের ২০ মাইল বাসস্ট্যান্ডে ও নানারকম জিনিস বিক্রি করে। ফুটপাতে জিনিস গুলা দেখতে বেশ ভালোই লাগে। মাঝেমধ্যে আমিও ফুটপাতের জিনিস ক্রয় করে থাকি। তবে আজকে আর সময় পেলাম না। কারণ এমনিতেই জ্যামের কারণে বাসার ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
তারপর আমরা ওওভারব্রিজ দিয়ে উপরে উঠে গেলাম এবং যাওয়ার সময় দেখতে পেলাম একটি আঙ্কেল ফুল বিক্রি করছিল। ফুলগুলো বেশ সতেজ ছিল। দেখতে আমার কাছে চমৎকার লাগছিল। এমনিতেই ফুল আমি অনেক পছন্দ করি। শুধু আমি না ফুল পছন্দ করে না এমন খুব মানুষই পাওয়া যায়। বিশেষ করে আমার কাছে গোলাপ ফুল অনেক ভালো লাগে। আঙ্কেলটি হলুদ, সাদা এবং গোলাপি রঙের গোলাপ ফুল বিক্রি করছিল।
Camera: realme note50-13mp
[What3words
location] ///drilled.suiting.infinite
বিশেষ বিশেষ তথ্য
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
---|---|
ক্যামেরা | realme note50-13mp |
আমার লোকেশন | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @sumiya23 |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
আমার ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আমি মোছাঃ সুমাইয়া, আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা সাভার, বিশ-মাইল। আমি বিবাহিত,একজন কলেজ ছাত্রী। আমার হাজব্যান্ড একজন বেসরকারি কর্মকর্তা। আমি বর্তমান ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে অধ্যয়নরত রয়েছি। আমার কলেজের নাম বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা সাভার। আমরা দুই ভাই বোন। আমার @sumiya23 স্টিমিট আইডির নাম।
ঢাকা শহরে জ্যামের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে গেছে। তাড়াতাড়ি নিজের কলেজে কিংবা বাসায় পৌঁছানো সত্যি অনেক কঠিন। এই জ্যাম একদম ভালো লাগে না। কি আর করার সবকিছু মেনে নিতে হয়। চাইলেই কোন কিছুর সমাধান হয় না। ঢাকা শহরে জ্যামের ভোগান্তির কথা আমাদের সকলের জানা।
জ্বী আপু।ঢাকা শহরের জ্যাম লোকজনকে কঠিন ভোগান্তিতে ফেলে।